
একদার সবচেয়ে বোহেমিয়ান, জাতীয় চিরকুমার সমিতির আহবায়ক বন্ধুটি মধ্য চল্লিশ পেরিয়ে এক ধ্রুপদী ঘরানার ডাক্তারনীর আকর্ষণে সমিতির সদস্যপদ হারালো, আর আমরা হারালাম একদা তুমুল আড্ডাবাজ বন্ধু সংগ।বছর ঘুরতেই ওদের সংসারে এলো নতুন অতিথি, ওর সাংসারিক কর্তব্য স্বাভাবিক কারনেই আরো বাড়লো। মাস খানেক পরে এক কি একটা কাজে ওদিকে যাওয়া পড়লো। ভাবলাম দেখে আসি বন্ধুটি এখন কেমন আছে। ভাবীর প্রায়ই হাসপাতালে নাইট ডিউটি থাকে বিষ্যুদবারের রাতে। তো ওদের বাসার দরজায় বেল বাজানোর আগেই জানালা দিয়ে দেখা-শোনা অডিও-ভিজ্যুয়াল ক্লিপটি সারাজীবনের জন্য মগজে গেঁথে গেলো। বন্ধুটি সেই বিষ্যুদবারের রাতে এক মাস বয়সী আত্নজাকে শাহ আবদুল করিমের গানের একটা কলি একটু ঘুরিয়ে বার বার শুনিয়ে ঘুম পাড়াবার চেষ্টা করছিলো:
"..আগের বাহাদুরি এখন গেলো কই? গেলো কই?
আড্ডা-মাস্তি আর চলে না, দিনে দিনে ড্যাডি হই,
আগের বাহাদুরি এখন গেলো কই? গেলো কই?
আগের বাহাদুরি এখন গেলো কই.."
[ইহা সম্পূর্ণ কাল্পনিক গল্প, কাহারো সহিত মিলিয়া গেলে লেখককে পাপারাজির লগে গুলিয়ে ফেলো না প্লিজ, বন্ধুরা!
#বিষ্যুৎবারের বিতলামি]

সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



