চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার কয়েকটি বিলে আমন চাষাবাদে কৃষকের পাশে নেই উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা। চাষাবাদে নানা সমস্যা দেখা দিলেও প্রতিকারে কোনো পরামর্শ না পেয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন তাঁরা। উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের পদুয়া বিলের কৃষক এমদাদুল ইসলাম (৫৬) ও পূর্ব খুরুশিয়া বিলের কৃষক জানে আলম (২৯) জানান, দুই বছর ধরে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা বিলে আসেন না। একইভাবে লালানগর ইউনিয়নের নিশ্চিন্তাপুর বিল, ইসলামপুর ইউনিয়নের ঘাগড়া বিল, রাজানগর ইউনিয়নের বগা বিল ও রইস্যা বিলের জন্য কোনো উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নেই। এ কারণে গত বোরো মৌসুমে চাষাবাদ নানা রোগ ও পোকায় আক্রান্ত হয়। এতে উৎপাদন কমে যায়। চলতি মৌসুমেও কোনো পরামর্শ না পাওয়ায় ফসল উৎপাদনে ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটতে পারে।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফজলুল করিম জানান, রাঙ্গুনিয়ায় ৪৫টি ব্লক রয়েছে। এর মধ্যে পদুয়া ইউনিয়নের পদুয়া বিলের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম ডেপুটেশনে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর এবং পূর্ব খুরুশিয়া বিলের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পুতুল দাশ চট্টগ্রাম পাঁচলাইশ কৃষি কার্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন। তাঁরা প্রতি মাসে এক দিন বেতন নিতে আসেন। এ দুটি ব্লকে পাশের ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রাসেল মহাজন ও মিল্টন দাশ দায়িত্বে রয়েছেন। যাঁদের পরামর্শ পাওয়ার কথা কৃষকদের।
রাসেল মহাজন জানান, তিনি মাঠে যান। তবে দুটি ব্লকে কাজ করা খুবই কঠিন। মিল্টন দাশ জানান, তাঁর বাড়ি পদুয়া ইউনিয়নের সুখবিলাস গ্রামে। তাঁকে সবাই চেনে। তবে অন্য ব্লকে দায়িত্ব দেওয়ার ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকের পাশে নেই, এ ব্যাপারে কেউ আমাকে বলেনি। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সবাই সংশ্লিষ্ট এলাকায় থাকার কথা বললেও কেউ কেউ চট্টগ্রাম শহরে থাকার বিষয়টি আমি জেনেছি। বিষয়গুলো যাচাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ আর যেকোনো সমস্যায় ০১৭৩১৫৮৯৬৭৭ এই নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য কৃষকদের অনুরোধ জানান তিনি।