somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গ্লোবাল ওয়ার্মিং অথবা বৈশ্বিক উষ্ণায়নঃ বাংলাদেশ কি করবে...?

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


মানুষ প্রকৃতির অংশ। প্রকৃতির সপ্রাণ সজীব অংশ মানুষ। প্রকৃতির যে সচেতন অংশ চিন্তা করার ক্ষমতা আছে বলে প্রকৃতিকে রক্ষা, তার লালন পালনের ভার হাতে তুলে নেয় — প্রকৃতির সেই সচেতন অংশ হলো মানুষ। সে হিসাবে মানুষ নিজেই তো প্রকৃতি। পুনরুৎপাদনের মধ্য দিয়ে প্রতিনিয়ত মানুষ নিজেই বিনির্মাণ করে তার প্রকৃতির।

মনে মনে একটা দৃশ্য কল্পনা করার চেষ্টা করছিলাম। দুনিয়ার বুকে সব কিছু রয়ে গেল, যেমন আছে এই প্রকৃতি, তার সৌন্দর্য্য তার যাবতীয় সম্পদ। শুধু সেখানে নেই কোন মানুষের উপস্থিতি। সবুজ ঘাসের বুকে আর কোন অবোধ শিশু প্রজাপতির পিছু ছুটবে না!! অস্তমান সুর্যের গাঢ় রক্তিমে কোন মানব মানবী হাতে হাত রেখে হাটবে না!!! সন্দেহ নাই আঁতকে ওঠার মতো বিষয়। এই প্রকৃতি এই বিশ্বজগত মনুষ্যবিহীন হয়ে যাবে!! কি ভয়ংকর কথা।

গত অক্টোবর মাসের ৩০ তারিখে মারা গেলেন ফরাসি নৃতাত্বিক সমাজবিদ ক্লদ লেভি স্ট্রস। কার্ল মার্ক্সের অনুসারী এই সমাজ বিজ্ঞানী বেঁচেছিলেন প্রায় ১০০ বছর। গতকাল লেভি-স্ট্রসের ১৯৫৫ সালে লেখা অটোবায়োগ্রাফি “Tristes Tropiques.”(বাংলা করলে দাঁড়ায় মন ভার করা বিষয়-আশয়)র একটা রিভিউ পড়ছিলাম। পড়তে গিয়ে ক্লদ লেভি স্ট্রসের এই কথাটায় চোখ আটকে গেল, "The world began without the human race and will certainly end without it,” ...মনুষ্য প্রজাতি ব্যতিরেকেই বিশ্বজগত তার যাত্রা শুরু করেছিল, এবং নিশ্চিত ভাবেই তার সমাপ্তি ঘটবে এটা (মনুষ্য প্রজাতি) ছাড়াই।...

ক্লদ লেভি স্ট্রসের আত্মজীবনী “Tristes Tropiques.”আমার এখনো পড়া হয় নি, ফলে কি ধরনের মন ভার করা টপিক সেখানে আছে, জানি না — কিন্ত তার আগেই মন খারাপ হয়ে গেল লেভি স্ট্রসের আরও কিছু মন্তব্যে। “What else has man done except blithely break down billions of structures and reduce them to a state in which they are no longer capable of integration?” “কোনও কিছুর তোয়াক্কা না করে লক্ষ-কোটি কাঠামোকে ভেঙেচুড়ে পুনরায় একীভুতকরণের সম্ভাবনারহিত অবস্থায় নিয়ে আসা ছাড়া, আর কোন কাজটা মানুষ করেছে? "

১৯৩৫ সালের দিকে ব্রাজিলের সাও পাওলো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিটিং প্রফেসর হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন ক্লদ লেভি স্ট্রস। আমেরিকান ইন্ডিয়ানদের শেকড়ের খোঁজে সে সময় আমাজনের গভীর অরণ্যে বেশ কয়েকটি নৃতাত্বিক অভিযান চালিয়েছিলেন তিনি। ১৯৩৯ সাল পর্যন্ত আমাজনের রেইন ফরেষ্টএ তিনি যে সব ভ্রমন অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন, তা নিয়েই লিখা তার এই আত্মজীবনী। ‘বিশ্বজগতে মানুষ এমন কোন সুবিধাজনক অবস্থায় নাই, তার অস্তিত্বের কোন ধরনের উল্লেখযোগ্য চিহ্ন রেখে যাওয়া ব্যাতিরেকেই মানুষ একদিন দুনিয়া থেকে নির্মুল হয়ে যাবে... এই ছিল ক্লদ লেভি স্ট্রসের বিশ্ববীক্ষা।

দুনিয়া থেকে মানুষ নির্মুল হয়ে যাবে কিনা, এ আশঙ্কা সম্ভবতঃ নতুন কোন চিন্তা নয়। বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তীকালে আনবিক বোমার ধ্বংশাত্মক ক্ষমতা আর তার পরে পরাশক্তি সমুহের ঠান্ডাস্নায়ুযুদ্ধের কালে এই বোধ বেশ তীব্র ভাবেই সামনে এসেছিল, মুর্খ মুঢ় মানব সন্তানেরা সত্যি সত্যি তাদের আত্মধ্বংশ ডেকে আনবে কিনা।

সামগ্রিক বিচারে এই আশঙ্কাও হয়তো চরম ছিল না, অন্ততঃ যুদ্ধ এলাকার বাইরের মানুষেরা ভাগ্যের কৃপা দাক্ষিণ্যে নিজদের নিরাপদ ভাবতে পারতো। অথবা শক্তিমত্তার ভারসাম্যে এগিয়ে থাকলে বিপদ এড়ানো গেলেও যেতে পারত। নির্মুল নিশ্চিহ্ন হয়ে যাক কোন পিছিয়ে থাকা জনপদ, মুছে যাক কোন শক্তিহীন দুর্বল জনগোষ্ঠীর নাম পৃথিবীর বুক থেকে। বিজয়ীদের জন্যই তো এ জগত সংসার, কে না জানে বীরভোগ্যা বসুন্ধরা...

অতিরিক্ত উষ্ণ হয়ে উঠছে সমগ্র বিশ্বঃ

অথচ বিপদের দিক থেকে উঁচু নিচু মানুষ কিংবা উন্নত অনুন্নত জনগোষ্ঠী নির্বিশেষে এক নতুন ধরনের সাম্যাবস্থা এনেছে সম্ভবতঃ Global warming (বৈশ্বিক উষ্ণায়ন)। অগ্রসর অথবা পিছিয়ে পড়া যে কোন জনসমষ্টির জন্যই সমান মাত্রার বিপদ নিয়ে সে হাজির। ভাগ্যের কৃপা অথবা শক্তিমান হওয়া কোনটাই যথেষ্ট নয় এই বিপদ থেকে নিজকে নিরাপদ ভাবতে। ক্রমশঃ নাগরিক সভ্যতার বিস্তৃতির প্রক্রিয়ায়- শক্তির জন্য অতিমাত্রায় ফসিল ফুয়েলের (জীবাশ্মজ্বালানী) উপর নির্ভরতা, শক্তির উৎস হিসাবে প্রাকৃতিক শক্তির (সুর্যের আলো, নদীর স্রোত, বায়ুপ্রবাহ) উপর নির্ভর না করা, সর্বোপরী শক্তির পুনঃপুনঃ ব্যবহারযোগ্যতা কে নিশ্চিত করতে পারার ব্যার্থতা প্রতিনিয়তই এই হুমকির ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে। পরিবেশ প্রতিবেশকে হুমকির মধ্যে নামিয়ে এনে এও এক আত্মধ্বংশের প্রতিযোগিতা। প্রতিনিয়ত নিজেরাই লিখে চলছি নিজেদের মৃত্যু পরোয়ানা।

সারা পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা আশংকাজনক ভাবে বেড়ে যাচ্ছে, এই তাপমাত্রা বাড়ছে মুলতঃ পরিবেশে নির্গত কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমান বেড়ে যাওয়ার ফলে তৈরি হওয়া সমস্যা গ্রীনহাউস এফেক্টের জন্য। বলা হচ্ছে এই তাপমাত্রা যদি এভাবে বাড়তে থাকে, তবে এর সরাসরি প্রভাব পড়বে মেরু অঞ্চলের জমাট বাধা বরফ আর উঁচু পর্বতগুলোকে ঢেকে রাখা বরফে। এই বরফগুলো গলে যাওয়ার হার বেড়ে গেলে বিভিন্ন উপকুলীয় অঞ্চলে সমুদ্রের উচ্চতা বেড়ে যাবে, বিশাল এলাকা তলিয়ে যাবে পানির নিচে। বলা হচ্ছে গ্লোবাল টেম্পারেচার আর ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়লেই সম্ভাব্য বিপদের মধ্যে দুনিয়ার ৩০ থেকে ৪০ ভাগ প্রজাতির ধ্বংশ, আগের চেয়ে ব্যাপক তীব্র এবং ভয়ঙ্কর তাপ প্রবাহ এবং খরার উপস্থিতি, বন্যা সাইক্লোন সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের তীব্রতা বৃদ্ধি আর সেই সাথে সমুদ্রের পানির উচ্চতা অন্ততঃ ১ মিটার বৃদ্ধি পাবে। এ সবের নিট ফলাফল, বিপন্ন হবে লক্ষ-কোটি মানুষের জীবন...

তো পরিবেশে কার্বন নিঃসরনের (Carbon emission) হার বেড়ে যাওয়ার থেকে শুরু এই বিপর্যয় যা নিঃশব্দ ঘাতকের মতো আমাদের ঘিরে ফেলছে — একটা বিষয় খুব পরিস্কার এখানে এই কার্বন এমিসনের জন্য দায়ী একমাত্র মানুষ... অন্য কেউ নয়। প্রকৃতিতে প্রতিনিয়ত মানুষই উগড়ে দিচ্ছে বিষাক্ত কার্বন...

এ হল খুবই সাধারন ভাবে কিছু নমুনা, যা তথ্য হিসাবে আমাদের মনে রাখা উচিত। মনে রাখতে হবে আধুনিক মানুষের জীবন যত প্রযুক্তি নির্ভর এবং জটিল হয়ে উঠছে কার্বন নিঃসরনের পরিমান ততো বাড়ছে। সভ্যতা, উন্নতি, ভোগ বলতে যে মানদন্ড আমরা নিজেরা নির্ধারন করেছি তার ঘেরাটোপের মধ্যে আমরা নিজদের আটকে ফেলেছি। আধুনিক সভ্যতা বলতে আমরা এখনও বুঝি পশ্চিমা মডেল, উন্নতি বলতে বুঝি প্রযুক্তি নির্ভরতা। অন্ধভাবে পশ্চিমকে অনুসরন করে যাওয়া।

গ্লোবাল ওয়ার্মিং ইস্যুকে আমাদের ভাবতে হবে পরিবেশ নিয়ে আমাদের সামগ্রিক দৃষ্টি ভঙ্গী কি — সেই আলোকে। আমরা আরও সভ্য আরও উন্নত হতে গিয়ে আমাদের প্রকৃতিকে কিভাবে ব্যাবহার করছি— যে কোন উপায়ে প্রকৃতিকে পদানত করে, তার উপর নিরঙ্কুশ আধিপত্য এনে দানবীয় যে পদ্ধতিতে আমরা এ যাবত আমাদের প্রকৃতিকে ভোগ করেছি, আজ সময় এসেছে সে সব নিয়ে নতুন ভাবে চিন্তা ভাবনা করার। ষাট এবং সত্তরের দশক জুড়ে পশ্চিমাদের দেওয়া প্রেশক্রিপশন অনুযায়ী আমরা উন্নয়নের যে রীতি-নীতি অনুসরন করেছি- তার খেসারত কি আমরা নানা ভাবে দিচ্ছি না? সবুজ বিপ্লবের নামে যথেচ্ছ টিউবওয়েল বসিয়ে ভুগর্ভস্থ পানি তুলে এনে আমরা কি আর্সেনিক এর বিষ সৃষ্টি করি নাই? সব কিছুতে রাষায়নিক সার আর কীটনাশকের অবাধ ব্যাবহার আমাদের কে শিখিয়েছে...?

বৈশ্বিক উষ্ণায়নের এই ভীতিকর পরিস্থিতির জন্য আমরা আসলে নিজেরাই দায়ী। এর জন্য প্রয়োজন পরিবেশ সম্পর্কে আমাদের সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন। প্রয়োজন নিজস্ব উন্নয়ন মডেল দাড় করানো, বিশ্বব্যাংকের প্রস্তাবিত পশ্চিমা উন্নয়ন ব্যবস্থাপত্রের প্রতি অন্ধ আনুগত্য পরিত্যাগ করা। সচেতন থাকা, যাতে করে পশ্চিমা প্রযুক্তির রমরমা জৌলুশ যেন আমাদের চোখ ধাঁধিয়ে না দেয়।

ক্লদ লেভি স্ট্রস সারাজীবন কাজ করেছেন বিভিন্ন জনগোষ্ঠীতে প্রচলিত পৌরাণিক মিথ, লোকজ গল্পগাথা, যুগের পর যুগ চলে আসা নির্দিষ্ট অভ্যাস অথবা ভঙ্গী নিয়ে। প্রায় তিন দশক ধরে আমাজনের ইন্ডিয়ানদের জীবনাচরন ব্যাখা বিশ্লেষন করে দুনিয়ার যাবতীয় পৌরানিক কাহিনীগুলোর মধ্যে একটা সার্বজনীন বৈশিষ্ট্য খুঁজে পেয়েছেন। পৌরানিক মিথ ও প্রথার মৌলিক ধারনাকে তিনি বিশ্লেষন করে আবিস্কার করেছেন তার অন্তর্নিহিত বিন্যাস, তার অভ্যন্তরীন প্যাটার্ণ। লোকজ স্থানীয় মিথ নিয়ে কাজ করার সময় ক্লদ লেভি স্ট্রসের মিথলজি হয়ে যায় মিথলজিক। যুক্তি দিয়ে বোঝা লোককল্প। ফলে নির্দ্বিধায় তিনি দাবী করেন আদিম সমাজ নিয়ে তার তাত্ত্বিক অবস্থান- আদিবাসী মানুষের মানস বৈশিষ্ট্য নিশ্চিত ভাবেই পশ্চিমা সভ্যতার মানসের সমকক্ষ। যে কোন জাতিসত্ত্বার নিজস্ব চিন্তা সংস্কৃতি ঐতিহ্যের মধ্য দিয়ে যে ভাবনা প্রকাশ করে, পশ্চিমা যে কোন ভাবনার চেয়ে তা কোন অংশে কম নয়।

বাংলাদেশ কি করবে?

উপকুলীয় অঞ্চলের বদ্বীপ হিসাবে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকির পরিমান যে কোন এলাকার চাইতে অনেক বেশি। আমাদের সমুদ্রের যা গড় উচ্চতা, তাতে সমুদ্রের পানির লেভেল ১মিটার বাড়লে দেশের একটা বিশাল অংশ স্রেফ সমুদ্রের বুকে বিলীন হয়ে যাবে। এই বিপর্যয় কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে তা হয়তো আমরা অনুমানও করতে পারছি না। আমরা সত্যিই জানি না কারা আমাদের সাহায্য করবে, এমনকি বিপদের সেই মুহুর্তে কোন ধরনের সাহায্য আমাদের জন্য যথেষ্ঠ বলে বিবেচিত হবে কিনা!!

তবে আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসাবে আমাদের ক্ষমতার উপর আস্থা রাখি- নিজ-অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই শুরু করার এটাই সেরা সময়। আমাদের উচিত হবে কারও ভরসায় না থেকে নিজদের করনীয়গুলো স্থির করা ও সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া। আমাদের সমস্যাগুলোর প্রকৃতি নিয়ে ব্যপক আলোচনা, মতবিনিময় এবং জনমত গঠনের কাজ শুরু করা।

প্রকৃতির সপ্রাণ সচেতন অংশ হিসাবে প্রকৃতির সাথে আমাদের সম্পর্ক কিছুতেই খাদ্য খাদকের সম্পর্ক হতে পারে না। প্রকৃতিকে নষ্ট করে, জীব প্রজাতি ধ্বংশ করে আমরা কোন ধরনের উন্নয়নই চাইতে পারি না। পশ্চিমের অন্ধ অনুকরন না করে, বরং আমাদের উচিত হবে নিজের ফাঁদে আটকে পড়া পশ্চিমা সভ্যতার কৃত ভুলগুলো এড়িয়ে চলা।

ক্লদ লেভি স্ট্রসের উপর আস্থা থাকলে আমাদের বিশ্বাস করাই উচিত প্রত্যেক জাতিগোষ্ঠী তার নিজস্ব সংস্কৃতি আর জীবন যাপনের পদ্ধতির ভেতর দিয়ে যে মানসের ছবি ফুটিয়ে তোলে তা কোন অংশেই পশ্চিমা আধুনিক সভ্যতার অন্তঃর্নিহিত মানসের চেয়ে তুচ্ছ নয়। প্রত্যেক সংস্কৃতি তার নিজস্ব উদ্ভাসের ভেতর নিখিল ও জগতের একটা পরিপুর্ণ এবং স্বয়ম্ভু কাঠামোকে আত্মস্ত করে রাখে। প্রয়োগ ও সাফল্যের দিক থেকে সে কাঠামো বিজ্ঞান বা প্রযুক্তির মতোই স্বয়ংসিদ্ধ।

*ছবির বিষয়বস্তু টারজান, WWF এর সৌজন্যে নেট থেকে পাওয়া।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:৩৫
৪০টি মন্তব্য ২৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×