

আজকাল আমরা অনেকেই বিড়ালের প্রতি এক অদ্ভুত মায়া অনুভব করি। কেউ হয়তো একা থাকে, কেউ হয়তো ব্যস্ততার ভিড়ে হারিয়ে গেছে। কারও জীবনজুড়ে সম্পর্কের ভাঙাগড়া, কারও আবার ক্লান্তি—মানসিক আর আবেগের। অথচ এই সমস্ত কিছুর মধ্যেও একটি ছোট বিড়াল হঠাৎ আমাদের জীবনে আশ্রয় হয়ে দাঁড়ায়।
প্রশ্ন হচ্ছে—আমরা কি সত্যিই বিড়ালকে এতটা ভালোবাসি? নাকি আমাদের ভেতরে নিঃস্বার্থ ভালোবাসার যে অভাব, সেটা পূরণ করতেই আমরা বিড়ালের কাছে আশ্রয় খুঁজি?
মানুষের সম্পর্কগুলো এখন আগের মতো সহজ না। ভালোবাসা যেন হয়ে উঠেছে একটি লেনদেন—কে কাকে কতটুকু দেবে, কে কাকে কতটা গুরুত্ব দেবে। সেখানে ভুল বোঝাবুঝি আছে, আছে প্রত্যাশার চাপ, আর আছে নিজের মতো করে বাঁচতে না পারার বেদনা।
কিন্তু বিড়াল কিছু চায় না। তারা আমাদের নিখুঁত হতে বলে না, আমাদের ব্যর্থতা নিয়ে বিচার করে না। তারা কখনো পাশে বসে থাকে, কখনো ঘুমিয়ে যায়, কখনো আবার খামখেয়ালি হয়ে দূরে চলে যায়। তবুও তাদের ভালোবাসা শর্তহীন।
এই শর্তহীনতা, এই স্বস্তি—হয়তো এটাই আমাদের টানে। বিড়ালের মাঝে আমরা খুঁজে পাই এক ধরনের নীরব ভালোবাসা, যা আমাদের মনকে ছুঁয়ে যায়।
তাই যখন আমরা বিড়ালের দিকে ঝুঁকি, তখন সেটা শুধু একটা পোষা প্রাণীর প্রতি মায়া নয়—তা হয়তো এক নীরব আকুতি, নিঃস্বার্থ ভালোবাসার খোঁজে নিজেরই দিকে ফিরে দেখা।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৭:৩৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





