ক্রিকেট একসময় ছিল উপনিবেশিক মনিবদের খেলা। ব্রিটিশরা যখন তাদের সাম্রাজ্য বিস্তার করছিল, তখন তারা রেললাইন, কোর্ট-কাচারি আর চায়ের বাগানের সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে এসেছিল ক্রিকেট ব্যাট আর লাল বল। সেই খেলা এখন তাদের ছেড়ে উপনিবেশগুলোর হাতে, যারা ক্রিকেটকে শুধুই খেলায় সীমাবদ্ধ রাখেনি—তারা এটিকে সম্মান, আত্মমর্যাদা আর মাঝে মাঝে জাতীয়তাবাদের হাতিয়ার বানিয়ে ফেলেছে।
দেখুন না, আজ বিশ্বের সেরা ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলোর দিকে—ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিক, অ্ট্রেলিয়া । এরা সবাই একদিন ছিল ব্রিটিশদের অধীন, উপনিবেশে বন্দী। অথচ তারাই আজ ক্রিকেট বিশ্বে রাজত্ব করছে। গড়পড়তা চোখে মনে হতে পারে, এটি শুধুই ক্রীড়াক্ষেত্রের উন্নয়ন। কিন্তু কেউ কেউ বলবে—এটা ‘ভালো দাসে’র সফলতা। মনিবের ভাষা যেমন শিখে তারা কাব্য লিখেছে, তেমনি মনিবের খেলা রপ্ত করে তারা এখন মঞ্চে উঠছে।
একটি অপ্রিয় প্রশ্ন তাই উঁকি দেয়—ক্রিকেট কি আমাদের মুক্তির খেলা, না কি সুন্দরভাবে গৃহীত দাসত্বের প্রমাণ? আমরা কি ক্রিকেটে ভালো বলেই ভালো দাস? নাকি দাস বলেই এত ভালো ক্রিকেটার?
বাংলদেশও খেলছে। তবে ভাল দাস হয়তো নয় তাই ভাল খেলছে না!
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই মে, ২০২৫ সকাল ৯:৪০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





