মিয়ানমারে ৮ দিন বন্দী থাকার পর দেশে ফিরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নায়েক আবদুর রাজ্জাক দেশে ফিরেছেন। বিজিবি মহাপরিচালক, সামাজিক মাধ্যমে এবং দেশে পত্র পত্রিকায় নায়েক রাজ্জাককের অপহারণ নিয়ে বিভিন্ন প্রতিবেদন দেখলাম। তাতে দেখা যায় নায়েক রাজ্জােককে যেখান থেকে অপহারণ করা হয় তা হল ইয়াবা চোরাচালানের স্বর্গরাজ্য। আর মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী পুলিশ (বিজিপি) সাদা পোশাকে ট্রলারে করে এসে বিজিবির বোট থেকে রাজ্জাককে অপহরণ করে নিয়ে যায়। আমরা জানতে পারলাম যে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী পুলিশ ইয়াবা চোরাচারনে সহাযতা করে থাকে। আমরা আরো জানি যে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাংলাদেশের সাথে কখনোই প্রেম নিবেদন করে না। দিনের পর দিন তারা শত্রুতা মূলক আচারণ করেই চলেছে।
আমার প্রশ্ন হলঃ ১মত। ঐ স্থান যাদি ইয়াবা পাচারর স্বর্গরাজ্য হয়ে থাকে তবে বিজিবি র সেখানে কঠের নজরদারী ও সর্বচ্চো সতর্কতা থাকার কথা। যাতে ইয়াবা কোন মতেই দেশে প্রবেশ করতে পারে। এই ইয়াবা দেশের যুব সমাজকে ধংশের পথে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে দেখতে পাচ্ছি যে দেশের মধ্যে প্রচুর পরিমানে ইয়াবা উদ্ধার করা হচ্ছে। তাহলে এ গুলি কি ভাবে কাদের সহায়তায় আসছে? আর বিজিবি এ সব প্রতিহত করার জন্য কি করছে?
২য়তঃ নদীতে কোন যন্ত্র চালিত যানবহন নিশব্দে চলতে পারে না। সাদা পোশাকে মিয়নমারের পুলিশ কি ভাবে বিজিবির বোটের কাছে ভিড়তে পারলো? নিয়ম অনুযায়ী ঐ ট্রলারকে নিরাপদ দুরত্বে হল্ট বা থামানোর কথা। অথবা নিরাপদ দুরত্বে যদি না থামে তা হলে বিজিবি গুলি করার অধিকার আছে। কারণ প্রতিপক্ষ সিভিল ড্রেসে আসছিল। তাহলে সিভিল ড্রেসে ট্রলার নিয়ে কিভাবে বিজিবির বোটের কাছে এসে প্রতিপক্ষ কি ভাবে গুলি করে এবং নায়েক রাজ্জাককে অপহরণ করে বিজিবি মান সন্মান ধুলায় মিটিয়ে দেয়? এই নির্বুদ্ধিরা দায় দায়িত্ব কার?
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুন, ২০১৫ রাত ১১:৩৩