এ বছর শিক্ষা মন্ত্রানালয় একদশ শ্রেনীর ভর্তি প্রক্রিয়া অনলাইনের মাধ্যমে শুরু করেছে। এ প্রক্রিয়ায় কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি দেখা যাচেছ। তাতে একশ্রেনীর ব্যাক্তিবর্গ বা কিছু মিডিয়া এটাকে নিয়ে তুমুল বির্তক সৃষ্টি কারা অপচেষ্টায় লিপ্ত। প্রথম অনলাইনে ১২ লক্ষ শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা সহজ সাধ্য নয়। মাননীয় মন্ত্রী জনাব নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং তার শিক্ষা মন্ত্রানালয় এ ত্রুটি বিচ্যুতিকে অতিক্রম করে দেশে একটি নতুন পদ্ধতি প্রচলন করার চেষ্টা করছেন। একজন অভিবাবক হিসাবে আমি মনে করি আমাদের সকলকে এ প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানিয়ে ধর্য্য ধারণ কোরে প্রক্রিয়াটিকে বাস্তাবায়নে সহযোগীতা করা উচিৎ। এ পদ্ধিতিতে অভিবাবকদের কি উপকার হচ্ছে তার কিছু বিবরণ আমি দিতে চাই।
১) কলেজে কলেজে অভিবাবকদের দৌড়াদৌড়ীর হয়রানি বন্ধ হল।
২) বিভিন্ন কলেজের ফর্ম বিক্রির বানিজ্য বন্ধ হল।
৩) কলজগুলির গভর্নিং বডির সদস্য বা কর্তৃপক্ষের ভর্তির বিনিময়ে যে লক্ষ লক্ষ টাকার বানিজ্য হত তা বন্ধ হল।
৪) ততবীর বাজদের ততবীর বানিজ্য বন্ধ হল।
এরকম হয়ত আরো কিছু বন্ধ হল তা হয়ত আমার জানার বাইরে। এর জন্য কিছু সুবিধাবাদী স্বার্থনেশী গোষ্ঠি উঠে পড়ে এর সমালচনায় মূখর হয়েছে। এর সাথে যুক্ত হয়েছে কোচিং বানিজ্যের নামে যারা শিক্ষাকে বিক্রি করার বিনিময়ে অর্থ লুটপাটকারিরা। আমি অন্তরের অন্তস্থল থেকে এ পদ্ধিতি শুরু করার সাহসী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য মাননীয় মিন্ত্রী জনাব নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং শিক্ষা মন্ত্রনালয়কে ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন জানাচ্ছি।
আমি আরো আশা করছি আগামীতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যায়লেও এভাবে অনলাইন ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করা হোক। যাতে অভিবাবকদের হয়রানি কমে যাবে। এবং যারা শিক্ষা নিয়ে বানিজ্য করে তাদের বানিজ্য বন্ধ হয়ে যাবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:৪৬