দেশে বিগত কিছু দিনের মধ্যে দুজন বিদেশীকে হত্যার পর সরকারের এখন লেজে গোবর অবস্থা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্টমন্ত্রীর চেহারা দেখলে আমার তাই মনে হয়। সরকারের মন্ত্রীরা এক এক জন এক এক রকম করে ব্যখ্যা দিচ্ছেন। প্রথমে বলা হল বিছিন্ন ঘটনা এখন বলা হচ্ছে পরিকল্পিত ঘটনা। তদন্ত না করেই তার বিরোধী দলের উপর অভিযোগের আঙ্গুল নির্দেশ করছেন। এভাবে একটা সভ্য দেশ কি ভাবে চলতে পারে? সব কিছুতে রাজনীতি আর কাদা ছুড়া ছুড়ি করলে লাভটা কার হয়? আমদের সামনে জজ মিয়া নাটকের ঘটনা জ্বল জ্বল করছে। সরকারের আনেক অর্জনকে ম্লিান করে দিয়ে, দেশের ভাবমূর্তী নষ্ট যা হবার তা তো হয়েই গেছে। কিন্ত অপরাধীদের এখনো পর্যন্ত ধরা সম্ভাব হয় নি। আন্তর্জাতিক ভাবে যারা (পশ্চিমা গোষ্ঠি) জঙ্গীদের পালছে, পুসছে, তারাই এখন বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে উঠে পড়ে লেগেছে। ইরাক, লিবিয়া, সিরিয়াকে ধংশ করে এখন তাদের নজর বাংলাদেশ সহ ইন্দোনেশিয়া পর্য়ন্ত। কিন্তু আমরা সতর্ক হচ্ছি কই? সমাধানের পথে আমরা যাচ্ছি কই?
আমাদের মত অনেকেই বহু আগে থেকে বলে আসছেন জঙ্গীরা বিভিন্ন প্রকার সাহয্য সহযোগীতায় পেয়ে দিন দিস ক্ষমতাধর হচ্ছে। কেউ তা শোনার মত সময় পায় নি। গত কিছু দিনে যা ঘটে গেল তা হঠাৎ করে হয় নি। রাজনৈতিক দলগুলির আচার আচরণ জঙ্গীদের এ কাজ করতে সাহস যুগিয়েছে বলে আমার মনে হয়। শাপলা চত্তরের জঙ্গীদের উন্মাদনায় এখনো পর্যন্ত কোন সাজা হল না। মসজিদ মাদ্রাসাকে ঘিরে দীর্ঘদিন জঙ্গীরা তৎপরতা চালাচ্ছে। সেখানে কোন খোজ খবর রাখা হয় বলে আমার মনে হয় না। পশ্চিমা প্রভাবশালী কয়েকটি রাষ্ট্র দ্বারা সৃষ্ট এসব জঙ্গীরা মুসলিম দেশগুলিকে ধংশ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। খৃষ্টান কয়েকটি দেশ একতাবদ্ধ ভাবে মুসলিম দেশগুলিকে অস্থিতিশীল করতে ব্যস্ত। বিপরিতে মুসলিম দেশগুলি বিভক্ত অথবা পশ্চিমাদের ক্রিড়ানক। এখনো সময় আছে, সঠিক তদন্ত করে অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার। আর জঙ্গী উৎপাদন কেন্দ্রগুলি কঠোর নজরদারীতে রেখে যারা পরিকল্পিতভাকে দেশকে সিরিয়ার মত অবস্থায় নিয়ে যেতে চায়, তাদের প্রতিহত করার এখনি সময়। দযা করে তামাসা বন্ধ করে দেশকে ধংশের হাত থেকে রক্ষা করুন।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৫