দেশে চলছে ধর্মের নামে নিরিহ মানুষ হত্যা। এ ঘটনাগুলি নিয়ে বিদেশে আমাদের দেশর বিরুদ্ধে অপপ্রচারের সুযোগ করে দিচ্ছে। এ সুযোগে কাছা মেরে নেমে পড়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সহযোগীতার নামে তারা শুরু করেছে দৌড়ঝাপ। জঙ্গী দমনে তাদের কাছ থেকে সহযোগীতা নেওয়ার জন্য দিয়ে যাচ্ছে একের পর এক চাপ। কোন রকমে তাদের কথিত সহযোগীতার বড়ি খাওয়াতে পারলেই তাদের ষড়যন্ত্র সফল হবে, আর বাংলাদশের বারোটা বাজবে। এই মার্কিনই, তালেবান দমনে সহযোগীতার নামে ঝপিয়ে পড়েছিল আফগানস্তান ও পাকিস্তানে। অনেক বছর হয়ে গেলেও, এ দুটি দেশের অবস্থা কি তা আমরা জানি।মার্কিনরাই সহযোগীতার নামে ঝপিয়ে পড়েছিল ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াতে। আনেক বছর পার হলেও সে দেশে কোন শান্তি আনে নি। পরে ইহুদী-মার্কিন সৃষ্ট ‘আই এস’ কে সামনে এনে চালাচ্ছে লুটপাট আর হত্যাযজ্ঞ। এবার এই ‘আই এস’কে সামনে হাজির করে অন্য মুসলিম দেশগুলিতে অশান্ত ও লুটপাট করার ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। লক্ষ্য করার ব্যপার হল, ইহুদী-মার্কিন সৃষ্ট ‘আই এস’ সন্ত্রাসীরা ইসলামের নামে মুসলিম দেশগুলিতে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে। তারা মুসলিম শরনার্থীদের বিপদে ফেলার জন্য ইউরোপে হামলা করছে। কিন্তু ৫০/৬০ কিঃ মিঃ দূরে ইসরাইলে বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাদের কোন তৎপরতা নেই। এ এক সুদূর প্রসারি যড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে মার্কিনরা অপ তৎপরতায় লিপ্ত। সরকার সঠিক ভাবেই এখনো পর্যন্ত এ অপ তৎপরতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে চলেছে। সরকার সঠিক ভাবেই দেশে ‘আই এস’ এর অস্তিত্ব অস্বীকার করে, আমার মনে সঠিক অবস্থানে আছে। কিন্তু কতদিন এটা সরকার করতে পারবে? কারণ জঙ্গীদের হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করতে সরকার ব্যর্থ হচ্ছে। একের পর এক ঘটনা তাইতো প্রমান করে। সরকারের ব্যর্থতা দেশকে মার্কিন ষড়যন্ত্রের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। গুপ্ত হত্যার নামে কতজন জঙ্গী তৎপরতায় লিপ্ত? মাত্র কয়েক শ বা কয়েক হাজার। এদের দমনে তো আমাদের বিভিন্ন নিরাপত্তা বহিনীগুলিই যথেষ্ট।
আমাদের পুলিশ বাহিনীকে যে ভাবেই চিহিৃত করা হোক না কেন, তাদের সঠিক দিক নির্দেশণা দিলে তারা পারে। অতিতে এই পুলিশ বাহিনী বেশ কিছু কাজে তাদের দক্ষতার প্রমান দিয়েছি। আমি দেখেছি, যখন প্রযুক্তির প্রসার ছিল না, তখনিই এই পুলিশই দুটি ‘ক্লু লেস’ ঘটনা ( গুলিস্তানে ব্যাংকের মধ্যে গার্ড হত্যা ও পূরাতন বিমান বন্দরে কাষ্টম গোডাউনে চুরি) সফলবাবে উদঘাটন করেছে। তাইলে এখন প্রযুক্তি সম্বৃদ্ধ সময়ে পুলিশ এসব গুপ্ত হত্যা উদঘাটন করতে পারছে না কেন? গুপ্ত হত্যা আগাম প্রতিরোধ করা যায় না। তবে অপরাধীদের আইনের আওয়াতায় এনে তা এগুলি কমানো সম্ভাব। এক্ষ্রত্রে কোথায় অযোগ্যতা ও অদক্ষতা তা গভীর ভাবে দেখা দরকার। পুলিশ প্রধান জনগণকে সাথে নিয়ে জঙ্গী তৎপরতা মোকাবেলার ঘোষনা দিয়েছেন। পুলিশ প্রধানের কথায় জনগণ কেন সহযোগীতা করবে? এ জন্য ঘোষনা আসতে হবে সরকারের প্রধান থেকে। এবং সারা দেশের সরকারী দলের নেতা-কর্মিদের সম্পৃক্ত করতে হবে। তারাই দলমত নির্বিশেষে স্থানীয় জনগণকে সাথে নিয়ে, এসব অপতৎপরতায় লিপ্ত গুটি কয়েক জঙ্গীদের আইনের আওতায় খুব সহজে আনতে পারে বা বন্ধ করতে পারে। শুধু মুখের ফুলঝুরি মিডিয়াতে প্রচার করে তো এদেরকে দমন করা যাবে না। আবার শুধু পুলিশকে দিয়ে এদের অপ তৎপরতা বন্ধ করা যাবে না। প্রয়োজন ব্যাপক জনগোষ্ঠিকে সম্পৃক্ত করা জরুরী। তা না হলে দেশ এক গভীর ষড়যন্ত্রের মুখে পড়তে যাচ্ছে। অতএব, সাধু সাবধান। সময় দ্রুত চলে যাচ্ছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৮