: আছেন না বিজি ?
: আছি ।
: বস , কিষু কথা ছিল ।
: কও ।
: কবিতা লিকা ষিখতে চাই ।
: হঠাৎ ।
: বস , আগে কবিতা লিখলে মাইনষে পষন্দ করতো এখন করে না ।
: কেমনে টের পাইলা ?
: আগে টের পাই নাই । কাইলকা আমার বন্ধু রাতুল কইল , মাইনাস খাইতে খাইতে নাকি এককবির দফারফা হইয়া গেছে ।
: মাইনাস খাইলে অসুবিদা কী ? এখন তো টপলিস্ট বইলা কুনু বিষয় নাই।
: হ , তবুও । শুনলাম এক পাবলিকে নাকি অফিসে বইসা বইসা হাজার হাজার নিক বানাইয়া একলাই মাইনাষ দিয়া যাইতেচে ।
: একজনেই , এটা তুমারে কে কইলো ?
: বস ,সবগুলা নিক একলগে আসে , একলগে যায় । সবাই বিকাল ৬টার পরে একসাথে চুপ মারে ।
: হা হা হা ।
: উনার বোধহয় আমার কবিতা পছন্দ না । তাই ভালো কইরা কবিতা লিখতে চাই । শিখাইয়া দেন ।
: আগে ছন্দ শিখো , কাব্য ভাষা শিখো । মধ্যযুগের বাংলা কবিতার সাথে ৩০ দশকের কাব্য ভাষার তফাৎ শিখো । কবিতা লেখা এতো সহজ না ।
: বস , একটা কবিতা লিখছি । যদি একটু পইরা ভুলত্রুটি কইয়া দিতেন ।
: কিন্তু তুমারে একলা কইয়া লাভ কী ? তার চাইতে একটা পোস্ট দেই , সবার লগে কথা হউক ।
: না বস , এইটারেই আপনে দরকার হইলে পোস্ট কইরা দিবেন নে । মাগার আমার লগে কথা কইতে হবে ।
: ঠিকাছে ।
: কবিতাখান কি পাঠামু ?
: কিন্তু কবিতাট পাঠাইয়া লাভ কী ? ধরো এই কবিতাটাও মাইনাস খাইলো রাতুল ভাইয়ের কাছে ।
: বেপার না , তাইলে বুঝুম উনার এই কবিতাটা পছন্দ হয় নাই , তখন আরো সুন্দর কইরা লিখতে থাকুম ।
: আইচ্ছা পাঠাও । তবে এখন সময় নাই । পরে আলোচনা হইবে ।
:ঠিকাছে বস । এখন কবিতাটা দেইখা রাখেন । আলোচনা পরে কর্লে হইব ।
কবিতাটা দেইখা রাখেন :
খাসী ছিল বান্দর , ভ্যাকরন মানি না ,
হয়ে গেলু খোদাসী , কেমনে যে জানি না ।
লুঙির গিট্টুতে লিখেষিল লেখা তার
ভেবেষিল সে লেখায় পেয়ে যাবে দেখা "তার" ।
কালুদার লালু বাড়ি , একদিন সন্ধ্যায় ,
" তার " দেখা পেয়ে গেল ,খোদাসী আন্ধায় ;
তারপর নিবেদন নানাবিধ ম্যাৎকারে ;
তবু খাসি উড়ে যায় , বালিকার ফুৎকারে ।
ফুৎকারে উড়ে গিয়ে , কই কথা মিছানা
খোদাসী নিয়ে নিল তিনদিন বিছানা ।
তারপর দিনরাত কাজে কামে ঠিকনা
চিন্তায় শুকাইলো জিমে গড়া চিকনা ।
খাসী ভাবে , ফাসি নিয়া আর কোন লাভ নাই
ফুৎকার খেয়ে ছি তো , আর কোন ভাব নাই
আহা যদি লাদি নয় , হাচা ভালো লিখতাম ;
তাহলে তো এই বেলা প্রেমখেলা জিততাম ।
এই ভেবে খোদাসী পোস্ট দিলো বিদায়ের
পুরানা সে নাটকই , সিমপ্যাথী আদায়ের ।
এই থেকে হয় না তো তার কোন ফায়দা
খাসী তাই বের করে নতুন এক কায়দা ।
জিরো থেকে হিরো হতে চায় খাষী দামড়ায়
তাই সেতো বাপেদের পাছা দেখে কামড়ায় ।
তারপর নিজে নিজে বহু নিক বানিয়ে
একা বসে রেট করে দাতমুখ শানিয়ে ।
এই দেখে হেসে হেসে ,বলে সেই এলোকেশী
মানুষ আর হবে না তো , জিমবাজ কালোখাসী ।
: হুম , ঠিকাছে । কবিতার আলোচনায় এই কবিতাটারেই পরের পোস্টে বিশ্লেষণ করুমনে । তখন তুমি বুঝতে পারবা কিভাবে কবিতার ব্যকরন মাইনা , সুন্দর কবিতা লিখা যায় ।
সেইখানে কবিতার ইতিহাস নিয়াও আলোচনা পর্যালোচনা করুম নে ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


