somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মায়ানমারের সর্বশেষ সংঘাত আমাদেরকে আক্রান্ত করবে

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


গত কয়েক বছরে প্রতিবেশী মায়ানমারের (বার্মা) কন্ডিশন আমাদেরকে রোহিংগা বিষয়ক জটিল অবস্থায় নিপতিত করেছে, এটা বাস্তবতা। আর এখন যতই চোখ বন্ধ করে রাখি না কেন তাদের প্রেজেন্ট কন্ডিশনও অদূর ভবিষ্যতে আমাদেরকে জটিল ভৌগলিক সমীকরণ এর মুখেও দাঁড় করাবে এটা নিশ্চিত। অন্ধ হলেও প্রলয় বন্ধ হয় না। এখানে একটা কথা মনে রাখা আবশ্যক যে, কোন ভৌগলিক মানচিত্রই ধ্রব নয়। মানচিত্র নিয়ত পরিবর্তনের মাঝ দিয়ে যায়। আমাদের এই অঞ্চলের মানচিত্রের রি-শেইফ সমাগত। বিশ্ব ইতিহাসের এক জটিল সময় আমরা পার করছি।

মায়ানমারের জন্মের ৭৫ বছরই সংঘাতময়। এই ৭৫ বছরের মাঝে তাদের সরকারি বাহিনী (তাতমাদো) এই প্রথম সম্মিলিত শক্তির অলআউট আক্রমণের মুখে তাদের দেশের সবচেয়ে কম অংশের নিয়ন্ত্রণ করছে। গত কয়েকদিনের সংঘাতে তাদের সরকারি বাহিনীর ১০০ এর উপর সদস্যের অস্রসমেত আমাদের ভুখন্ডে প্রবেশ এর পর আত্মসমর্পণ এই সংঘাতেকে একটা পরিনতির দিকেই নিয়ে যাচ্ছে।

আভ্যন্তরীণ সংঘাত এর পর মায়ানমার কয়েকটি ভাগে ভাগ হয়ে নতুন কয়েকটি স্বাধীন ভুখন্ড/দেশ দেখতে পাওয়া এখন বাস্তবতা। ভিন্ন ভিন্ন জাতি হিসেবে শান, কারেন, কাচিন, চিন, রাখাইন দের আলাদা আলাদা ভুখন্ড এখন তাদের নিজেদের নিয়ন্ত্রণে। সবকিছুর পরেও বামাররা যেহেতু জনসংখ্যার প্রায় ৬০% এবং আর্মির সিংহভাগই তারা, তাই মায়ানমারের সিংহভাগ অঞ্চল তাদেরই থাকবে এটা নিশ্চিত। তবে তা কি সরকারি বাহিনী নাকি বিদ্রোহী বাহিনীর হাতে যাবে তা জানতে আরও অপেক্ষা করতে হবে।

তুমি একটা কথা স্মর্তব্য যে, ক্ষমতাসীন সামরিক জান্তার সবচেয়ে বড় সহযোগী চীন। তারাও সর্বশেষ সংঘাতে কনফিউজড হয়ে ক্ষমতাসীন জান্তার পাশাপাশি বিদ্রোহীদেরও অস্র ও অর্থ দিয়ে সহায়তা করছে। মিয়ানমারে কে যে কার পক্ষে লড়ছে তা এক জটিল ধাঁধাঁ।

উপরের জাতিগোষ্ঠীগুলো সহ প্রায় ১৩৫ টির মত জাতি মায়ানমারে বিদ্যমান। সবগুলো জাতিগোষ্ঠীর মিলিত শক্তিই তাদের আর্মির বিপক্ষে এলায়েন্স করে লড়াই করছে। মজার ব্যাপার এখন এলায়েন্স করে লড়াই করা দলগুলো নিজেদের মাঝে কিছুদিন আগেও লড়াইয়ে লিপ্ত ছিলো। পৃথিবীর ইতিহাস বলে ভিন্নজাতীগোষ্ঠীর সদস্যরা কমন শত্রুর বিরুদ্ধে একসাথে লড়াই করে জিতলেও জেতার পরই তাদের মাঝে স্বার্থের সংঘাত শুরু হয়। নিকট ইতিহাসে আফগানিস্তান ও লিবিয়া তার উৎকৃষ্ট প্রমান।

আমাদের পররাষ্ট্রনীতির মূল কথা "সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে শত্রুতা নয়", স্মার্টলি এই নীতি থেকে সরে আসা মনে হয় আজকের বাস্তবতা। আমরা কোন একটা পক্ষ বেছে না নিলে, বিপদে কারও সহায়তা ই আমরা পাবো না। রোহিংগা ইস্যুতে কিন্তু আমরা আমাদের ন্যাচারাল এলাই ভারত বা আনকন্ডিশনালি সবচেয়ে বেশী ফাইন্যান্সিয়াল সহায়তা দেয়া জাপান, অথবা প্রেজেন্ট ব্যাবসায়ীক অংশীদার চীন কারোই সহায়তা পাইনি। পশ্চিম আমাদেরকে সহায়তা করতে চেয়েছে, তবে বাস্তবতা তাদের পক্ষে ছিলো না বা নেই। আবার পশ্চিম এর সহায়তাও যথেষ্ট প্রশ্নবোধক!

গত ৭৫ বছরের মতোই আগামী অনেক বছর মায়ানমার সংঘাতের জগতেই থাকবে, তবে তা কোন ফর্মে তা আমাদের বা তাদের কারোই জানা নেই। এখন আমাদেরকে অনেক বেশি সতর্ক অবস্থানে যেতে হবে দেশ হিসেবে সার্ভাইব করতে হলে

(লেখাটি যৌথভাবে আমার আমার ফেসবুক একাউন্টেও প্রকাশিত)
গত কয়েক বছরে প্রতিবেশী মায়ানমারের (বার্মা) কন্ডিশন আমাদেরকে রোহিংগা বিষয়ক জটিল অবস্থায় নিপতিত করেছে, এটা বাস্তবতা। আর এখন যতই চোখ বন্ধ করে রাখি না কেন তাদের প্রেজেন্ট কন্ডিশনও অদূর ভবিষ্যতে আমাদেরকে জটিল ভৌগলিক সমীকরণ এর মুখেও দাঁড় করাবে এটা নিশ্চিত। অন্ধ হলেও প্রলয় বন্ধ হয় না। এখানে একটা কথা মনে রাখা আবশ্যক যে, কোন ভৌগলিক মানচিত্রই ধ্রব নয়। মানচিত্র নিয়ত পরিবর্তনের মাঝ দিয়ে যায়। আমাদের এই অঞ্চলের মানচিত্রের রি-শেইফ সমাগত। বিশ্ব ইতিহাসের এক জটিল সময় আমরা পার করছি।

মায়ানমারের জন্মের ৭৫ বছরই সংঘাতময়। এই ৭৫ বছরের মাঝে তাদের সরকারি বাহিনী (তাতমাদো) এই প্রথম সম্মিলিত শক্তির অলআউট আক্রমণের মুখে তাদের দেশের সবচেয়ে কম অংশের নিয়ন্ত্রণ করছে। গত কয়েকদিনের সংঘাতে তাদের সরকারি বাহিনীর ১০০ এর উপর সদস্যের অস্রসমেত আমাদের ভুখন্ডে প্রবেশ এর পর আত্মসমর্পণ এই সংঘাতেকে একটা পরিনতির দিকেই নিয়ে যাচ্ছে।

আভ্যন্তরীণ সংঘাত এর পর মায়ানমার কয়েকটি ভাগে ভাগ হয়ে নতুন কয়েকটি স্বাধীন ভুখন্ড/দেশ দেখতে পাওয়া এখন বাস্তবতা। ভিন্ন ভিন্ন জাতি হিসেবে শান, কারেন, কাচিন, চিন, রাখাইন দের আলাদা আলাদা ভুখন্ড এখন তাদের নিজেদের নিয়ন্ত্রণে। সবকিছুর পরেও বামাররা যেহেতু জনসংখ্যার প্রায় ৬০% এবং আর্মির সিংহভাগই তারা, তাই মায়ানমারের সিংহভাগ অঞ্চল তাদেরই থাকবে এটা নিশ্চিত। তবে তা কি সরকারি বাহিনী নাকি বিদ্রোহী বাহিনীর হাতে যাবে তা জানতে আরও অপেক্ষা করতে হবে।

তুমি একটা কথা স্মর্তব্য যে, ক্ষমতাসীন সামরিক জান্তার সবচেয়ে বড় সহযোগী চীন। তারাও সর্বশেষ সংঘাতে কনফিউজড হয়ে ক্ষমতাসীন জান্তার পাশাপাশি বিদ্রোহীদেরও অস্র ও অর্থ দিয়ে সহায়তা করছে। মিয়ানমারে কে যে কার পক্ষে লড়ছে তা এক জটিল ধাঁধাঁ।

উপরের জাতিগোষ্ঠীগুলো সহ প্রায় ১৩৫ টির মত জাতি মায়ানমারে বিদ্যমান। সবগুলো জাতিগোষ্ঠীর মিলিত শক্তিই তাদের আর্মির বিপক্ষে এলায়েন্স করে লড়াই করছে। মজার ব্যাপার এখন এলায়েন্স করে লড়াই করা দলগুলো নিজেদের মাঝে কিছুদিন আগেও লড়াইয়ে লিপ্ত ছিলো। পৃথিবীর ইতিহাস বলে ভিন্নজাতীগোষ্ঠীর সদস্যরা কমন শত্রুর বিরুদ্ধে একসাথে লড়াই করে জিতলেও জেতার পরই তাদের মাঝে স্বার্থের সংঘাত শুরু হয়। নিকট ইতিহাসে আফগানিস্তান ও লিবিয়া তার উৎকৃষ্ট প্রমান।

আমাদের পররাষ্ট্রনীতির মূল কথা "সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে শত্রুতা নয়", স্মার্টলি এই নীতি থেকে সরে আসা মনে হয় আজকের বাস্তবতা। আমরা কোন একটা পক্ষ বেছে না নিলে, বিপদে কারও সহায়তা ই আমরা পাবো না। রোহিংগা ইস্যুতে কিন্তু আমরা আমাদের ন্যাচারাল এলাই ভারত বা আনকন্ডিশনালি সবচেয়ে বেশী ফাইন্যান্সিয়াল সহায়তা দেয়া জাপান, অথবা প্রেজেন্ট ব্যাবসায়ীক অংশীদার চীন কারোই সহায়তা পাইনি। পশ্চিম আমাদেরকে সহায়তা করতে চেয়েছে, তবে বাস্তবতা তাদের পক্ষে ছিলো না বা নেই। আবার পশ্চিম এর সহায়তাও যথেষ্ট প্রশ্নবোধক!

গত ৭৫ বছরের মতোই আগামী অনেক বছর মায়ানমার সংঘাতের জগতেই থাকবে, তবে তা কোন ফর্মে তা আমাদের বা তাদের কারোই জানা নেই। এখন আমাদেরকে অনেক বেশি সতর্ক অবস্থানে যেতে হবে দেশ হিসেবে সার্ভাইব করতে হলে

(লেখাটি যৌথভাবে আমার আমার ফেসবুক একাউন্টেও প্রকাশিত)
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:১৯
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মামুনুলের মুক্তির খবরে কাল বৃষ্টি নেমেছিল

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৯


হেফাজত নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত হওয়ায় তার অনুসারীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বলল, তার মুক্তির খবরে কাল রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়ায় আজ গাজীপুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×