সমাজ পরিবর্তন হচ্ছে !!
এলাকায় বিল্ডিংয়ের সংখ্যা বাড়ছে, নিম্ন আয়ের পরিবার গুলোও ধিরে ধিরে অনেক টাকা পয়সার মালিক হচ্ছে।
হকার, মাছ বিক্রেতা, ভ্যান চালক ইত্যাদি থেকে শুরু করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরও একই ধান্ধা ছাদ করে বিল্ডিং করার।
মাসাল্লাহ খুবই ভাল স্বপ্ন, দুনিয়াদারির পাশাপাশি দ্বীনাদারি হলে তো আরো ভাল।
কিন্তু........!!!
গতকাল লক্ষ করলাম
এক সময়ে ভাল অবস্থানে থাকা কিছু পরিবার গ্রামে ছেড়ে ঢাকায় পাড়িয়ে জমিয়েছে স্বপরিবারে।
ব্যাপার টা এত তারাতারি বুঝতে পারিনি।
নিজের সুখের বসত ভিটা ছেড়ে শেষ আশ্রয় হিসাবে ঢাকায় কেন ভির জমাচ্ছে ?
কাওকে জিজ্ঞাস করলে সে বলল
আজ যাদের দেখছি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে তারা অধিকাংশই এই এলাকার বিশিষ্ট সুদারু।
চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খাওয়ার কারনেই তাদের দৌরাত্ম্য এত দুর।
পরে তার কিছু বিবরণ শুনালো।
কে কে সুদ খেয়ে কি কি করেছে।
আর কে কে সুদের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে ঢাকায় পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
সুদ হারাম
শিক্ষিত এবং অশিক্ষিত সবাই জানে।
কিন্তু সমাজে কিছু দ্বীনি দায়ী সোচ্চার স্বেচ্ছাসেবক না থাকায়,
সুদের মত শরিয়ত নিষিদ্ধ হারাম এই বস্তু টি মানুষের রন্দে রন্দে ঢুকে যাচ্ছে।
দ্বীন বিমুখতা বেড়ে যাচ্ছে। সমাজ আর্থিক ভাবে উন্নীত হলেও নীতি নৈতিকতার দিক দিয়ে চরম অধঃপতন হচ্ছে।
সুদ এক দিকে সংখ্যা কতক লোক কে ধনী বানালেও অন্যদিকে অধিকাংশ মধ্যবিত্ত পরিবার কে পথে বসাচ্ছে।
সুদ মানুষের অকল্যাণ বয়ে আনে-
সমাজ কে ধ্বংস করে দেয়।
তাই আসুন নিজে সুদ বর্জণ করি,
এবং অন্যকেও সুদ খাওয়া থেকে বিরত রাখি।
আজ থেকে আমার আপনার সপথ হোক, দু বেলা না খেয়ে থাকলেও সুদের মত হারাম বস্তু কখনো লেনদেন করবো না।
আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন।
এটাতো আমার এলাকায় হচ্ছে আপনার এলাকায় কি হচ্ছে?????