দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে আমার।শ্বাস নিতে পারছি না।
চারপাশ পানি থৈথৈ,অনেক কষ্টে মাথা পানির উপরে রেখেছি।পানি ধিরে ধিরে বাড়ছে,
প্রকৃতির মূত্র বিসর্জন বৃষ্টি বন্ধ হবার নাম নেই।আশ্চর্য আমি সাতার জানতাম,এখন সাতার দিতে পারছি না কেন??পা দুটি ভার হয়ে গেছে।খুনি শিকদার হয়তো পায়ে সিমেন্ট বস্তা বেধেঁ দিয়েছি,পা নাড়ানো যাচ্ছে না।
হ্যাঁ,আমি মরে যাচ্ছি।কালেমা পড়া শুরু করতে হবে।শেষ শ্বাস যেন আল্লাহর নামে হয়।দোযখ পুড়ে কয়লা হওয়া থেকে বাচাঁর পথ একটাই।
চোখ খুলে দেখলাম শুধু আমি না এমনভাবে সারা পৃথিবীর মানুষ ডুবে যাচ্ছে।হাজার কোটি বছরের সভ্যতার পৃথিবী অসভ্যদের কাছে হেরে যাচ্ছে।পানির উৎস এবার বুঝা গেল।দোজখের আগুন তাপ পৃথিবীতে গলিয়ে দিচ্ছে বরফ পাহাড়। যদিও মনে হচ্ছে যেন অতি তাপে মানুষের ঘাম জমে ডুবিয়ে দিচ্ছে সবাইকে।বিদঘুটে গন্ধ সবদিকে।মৃত্যুপথ যাত্রি মানুষের হাহাকার চারপাশ।
ধংসের মুখে পৃথিবী,কিছু দরবেশ সুফি জিকির আজকার করে পার করছে একটু উঁচু টিবিতে বসে।বাঁচার জন্য কোন নূহের কিস্তি এবার বানানো হয় নাই।মৃত্যু সব দিক থেকে ঘিরে রেখেছে।উপরে তাপ নিচে পানি।বাচাঁর জন্য কোথাও যাবার পথ নেই।
মঙ্গল গ্রহে প্লট কিনা থাকলে না হয় চিটিংদের সিটিং বাসে সেখানে যাবার চিন্তা করতাম।নেই যখন জড়িয়ে নেই মৃত্যুকে।মৃত্যুর দীর্ঘস্বরধ্বনি বাতাস আকাশ কাঁপিয়ে যাচ্ছে।আবার বৃষ্টি হবে হয়তো,মেঘ জমছে ধিরে ধিরে।আর মনে হয় বাচাঁ হল না।ডুবে যাচ্ছি আমি আমরা তুমি তোমরা সে তারা আর আমাদের পৃথিবী।শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করার আগে দেখলাম আমার পাশেই ডোনান্ড ট্রাম্প ডুবে মরছে।
চিরন্তন বানী আবার সত্যি হয়ে সামনে এলো "শয়তান কখনো একা মরে না"।
পুনশ্চ: বেচেঁ না থাকলে দিবস দিয়ে কি হবে? পরিবেশ দিবস নিপাত যাক।
ছবি : সংগ্রহীত
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৫৯