আজ আন্দলনের কর্ম সূচি শুরু হয় স্লোগানের মদ্ধ দিয়ে। নানা রকম দেশের স্লোগান আর রাজাকারদের ফাঁসির জন্য স্লগানে মুখরিত হয়ে ছিল জামালপুর শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ। স্লোগানের ফাঁকে ফাঁকে জামালপুরের উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী পরিবেশন করে অনেক গুলো দেশের গান, স্বাধীনতার গান এবং কবিতা।
জামালপুরের সবাই এক হয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে। চলছে আন্দোলন চলবে এই আন্দোলন। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চালিয়ে যাব।
ঢাকা সহ সারা দেশের ভাইয়েরা, তোমার এগিয়ে যাও আমরা সমগ্র দেশবাসী আছি তোমাদের সাথে। এটা এখন আমাদের স্বাধীনতার সম্ভ্রম রক্ষার আন্দোলন। এই আন্দোলন আরও আগেই শুরু হওয়া দরকার ছিল। দেরীতে হলেও শুরু হয়েছে এই আন্দোলন। দেশের প্রতিটি স্বাধীনতার পক্ষের মানুষ আছে আমাদের এই আন্দলনের পক্ষে। স্বাধীনতা বিরোধী চক্র এইবার টের পাবে আমজনতার শক্তি কততুকু। এতদিন যুদ্ধাপরাধীরা দেশের জনগণদের ধোঁকা দিয়ে দেশের পতাকা নিজেদের গাড়িতে নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছে। কিন্তু আজ জনগনের চোখ খুলে গেছে তারা এবার সক্রিয় হয়েছে এই কুচক্রী মহলের বিরুদ্ধে। এবার তারা সমূলে উৎখাত হবেই। দেশের মানুষ কলঙ্ক মুক্ত হবে। যে কলঙ্ক স্বাধীনতার পর এত বছর ধরে বয়ে বেড়াতে হচ্ছে সেই কলঙ্কের কালি থেকে মুক্তি পাবে দেশের মানুষ।
এবারের আন্দোলন আমাদের স্বাধীনতার মান রক্ষার আন্দোলন। বীর বাঙ্গালী ৭১'এ একজোট হয়ে নিজেদের প্রান বিসর্জন দিয়ে দেশের জন্য স্বাধীনতা এনে দিয়েছিল। আমরা পেয়েছিলাম একটা মানচিত্র, একটা পতাকা কিন্তু সেই মানচিত্রের গায়ে পতাকার গায়ে লেগে ছিল কলঙ্কের কালি। এইবার জাতি সেই কালি মুছনের সংগ্রামে একজোট হয়েছে। কালি এবার মুছন হবেই। জাতি মুক্তি পাবে কলঙ্ক থেকে আমরা পাব নতুন স্বাধীনতা। যে স্বাধীনতা আমরা রক্ত দিয়ে অর্জন করেছিলাম সেই স্বাধীনতা আমরা কখনই মলিন হয়ে যেতে দেব না। রাজাকারদের ফাঁসি দিয়েই ছাড়ব।
জামালপুরে আমাদের আন্দলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেছে জামালপুরের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এবং সর্বস্তরের জনগন। ধন্যবাদ জামালপুর বাসিদের আমাদের সাথে যোগ দিয়ে আমাদের আন্দোলনকে আরও বেগবান করার জন্য।
বীর বাঙ্গালী অস্র ধর
রাজাকার নির্মূল কর

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


