সারা দিনই আন্দোলনে কম বেশি মুখরিত ছিল জামালপুর শহর। দুপুরে আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ফোরাম এক বিশাল মিছিল নিয়ে যোগদান করে জামালপুরের মুক্তমঞ্চে। তাদের স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত থাকে সমগ্র এলাকা। বিকালে মিছিল নিয়ে আসতে থাকে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন। সন্ধার সময় জামালপুরের জনসাধারণ বের করে এক বিশাল মশাল মিছিল। মিছিলটি সকাল বাজার থেকে ঘুরে লম্বা গাছ মোড় পর্যন্ত গিয়ে আবার মুক্তমঞ্চের দিকে চলে আসে। মিছিলটি শুরু হয়েছিল জামালপুরের তমালতলা মোড় থেকে।
সন্ধ্যা সাতটার পর কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার বক্তব্য দানকে কেন্দ্র করে সাধারণ জনগনের মধ্যে বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায়। কিন্তু নেতা তো নেতাই, একবার মাইক হাতে পেলে আর ছাড়তে চান না। জনগণের কথা ভুলে গিয়ে শুরু করে দেয় রাজনৈতিক বক্তৃতা। জনগন খেপে গিয়ে বক্তৃতার বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শুরু করে কিন্তু তাতেও কর্ণপাত না করে তাদের বক্তৃতা চালাতে থাকে। করার কিছু নাই। অবশেষে তাদের বিভিন্ন জনের লম্বা চড়া বক্তৃতা শেষে মাইক ছেড়ে দেয় উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর হাতে। গান পরিবেশন করে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। গানের ফাঁকে ফাঁকে চলতে থাকে জাগরণী স্লোগান।
এরই মাঝে চলে আসেন জামালপুরের বিখ্যাত মুক্তি যোদ্ধা, জামালপুর সরকারী আশেক মাহমুদ কলেজের মাননীয় প্রিন্সিপাল জনাব শফিক উদ্দিন আকন্দ। তিনি তার কয়েকজন শিক্ষকদের সাথে নিয়ে চলে আসেন তরুন প্রজন্মের আন্দোলনে। তিনিও আমাদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেন। আমাদের সাহস দেন এবং সামনে এগিয়ে জাওয়ার কিছু নির্দেশনা দেন।
এভাবে চলল আজকের কার্যক্রম। আগের দিনের তুলনায় আজকে লোক সমাগম সামান্য বেশি ছিল।
জয় বাংলা বাংলার জয়।
বাঁশের লাঠি তৈরী কর,
রাজাকার নিধন কর।
Made in Pakistan,
জামাতে ইসলাম।
একটা একটা জামাত ধরো,
ধইরা ধইরা জবাই করো।
তোমার আমার ঠিকানা,
পদ্মা, মেঘনা, যমুনা।
জয় বাংলা, বাংলার জয়

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


