খবরের কাগজের উপর ভিত্তি করে কৌশিকের পোষ্ট দেখে আমার নিজের একটা কাহিনি আজ বলতে খুব ইচ্ছা হচ্ছে ।
প্রায় দুই বছর আগে আমার ভাবী এক বছর বয়সী ভাতিজাকে নিয়ে উনার বাপের বাড়ী থেকে আমাদের বাড়ী যাচ্ছিলেন রিক্সায় করে । ঘটনা আমাদের গ্রামের বাড়ী মৌলভীবাজারে । বাড়ি দইটা বেশি দুরে না তবে হাইওয়ে দিয়ে যেতে হয় । বড় রাস্তা পার হবার সময় একটা দ্রুতগামী বাস তাদের রিক্সা ধাক্কা দিলে দুজনেই সিটকে রাস্তার পশের একটি দেয়ালের উপর পড়ে । ভাবীর যখম হলেও হাড় ভাঙ্গার মতো কিছু ঘটেনাই । কিন্তু আমার ভাতিজা মারাত্বক আহত হয় । তার মাথার এক পশ ভেঙ্গে একটু ভেতরে দেবে যায় । প্রথমে স্থানীয় এবং পরে সদর হাসপাতালে নেয়া হয় কিন্তু রাখেনি । শেষ পর্যন্ত সিলেট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । সন্দা ৭টার দিকে একজন ডাক্তার এসে আমার ভাতিজাকে দেখে বলে এই ছেলেকে চিকিৎসা করে লাভ নাই সে বাচবেনা । এই বলে চলে গেল ।
রাত বারটার দিকে যখন দেখলাম আমার ভাতিজার কাশে গলা বন্দ হয়ে গেছে শাস নিতে পারছে না তখন অনেক ডাকাডাকির পর একজন ইন্টার্নি ডাক্তারকে পেলাম, সে এসে ঝাড়ি দিয়ে বল্ল আমি বলেছি এই ছেলে বাচবেনা তার পরও আমাকে ডাকা হচ্ছে কেন, এই বলে চলে গেল আমার ভাতিজার দিকে ফিরেও তাকালো না । পরে একটা ওয়র্ড বয়কে কিছু টাকা দিয়ে একটা মেশিন এনে আমরা নিজেরাই তার গলা পরিষ্কার করে দেই । পরদিন সেখান থেকে তাকে একটা প্রইভেট হাসপাতালে নিয়ে যাই । আমার ভাতিজা এখন পূরোপূরি সুস্থ ।