তুমি ছিলে নন্দীত গর্বীত হে মহা প্রাণ
তুমিই গেয়েছিলে প্রথম শিকল ভাঙ্গার গান ।
আমরা দেখেছি তোমাকে
এক দুঃখিনী মায়ের দুঃখী ছেলে,
এই উপমহাদেশে তুমিই প্রথম
বিদ্রোহী কবি ছিলে ।
হে শ্রষ্ট কবি
তুমি ছিলে দুর্বার দুরন্ত
আজ তুমি দিকে দিকে নন্দীত ।
এই পৃথিবীতে কত দূর্গম পথ
মাড়িয়েছ তুমি দুই পাঁয়ে,
কারাগার থেকে জনমঞ্চ
কোথায় পাইনি মোরা তোমাকে ?
উত্তাল সমুদ্রে যেনো
তোমার ঐ বিপ্লবী সুর বাজে,
হে চির সবুজ কবি
আদি অন্ত তুমি ছিলে যৌবন সাজে ।
তুমি শুনিয়েছ এদেশের মানুষের কাছে
প্রথম বিপ্লবের শপথ,
সেই সুর ধরে আজ এই বাংলা
এসেছে এতদুর পথ ।
বাংলার মানুষের কাছে
তুমি হলে প্রভাতের পাখি,
ভোরের সুর্যোদয়ে মোরা
তোমাকেই যেনো দেখি ।
শিশু থেকে বৃদ্ধ সবার প্রিয়
তুমি হে নজরুল,
মোহন বাশিঁর সুরে মুগ্ধ করেছো
বাংলার দুই কুল ।
এদেশ মুক্ত হবে
তুমি দেখেছ কত স্বপন,
চেয়ে দেখ আজ এই বাংলা
তোমারই নন্দন কানন ।
হে কবি সম্রাট
ভাবতে পারিনা আজ
আমাদের কাছে তুমি নাই,
এই গল্প এই কবিতার মাঝে
তোমাকেই শুধু খুজি তাই ।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মে, ২০০৯ সকাল ১০:৪৯