আমি একজন বাব মায়ের হতভাগা পোলা কইতাছি। আমার ভালবাসা সুখ স্বপ্ন মোটামুটি ভাবে সবই শেষের পথে।
ইচ্ছ আকাঙ্খা যা ছিল তা আরও বাইরা গেছিল কালকে এইচ.এস.সি রেজাল্ট টা পাওয়ার পর পরই (তখন ও মূল রেজাল্ট আসে নাই)। খালি দেখলাম একটা এ(+) (জি.পি.এ-৫.০০) নামের পাশে সুন্দর করে মোবাইলে কানতাছে। আমি চিক্কুর মাইরা জড়াইয়া ধরলাম তাহারে। সেও শান্তি পাইল আমিও পাইলাম।।
দৌড় দিয়া (হাইটা না সাইকেলে) আব্বার কাছে গেলাম..বোন ছিল ভাই ও ছিল সবাই মোটামুটি দিলখুশ হইল।।।।
আমি তখনও আনন্দ শুরু করি নাই কেননা এরি মাজে জাইন্না গেছি আমাদের ৮ জনের গ্রুপের এক জনের এ(+) ছুইটা গেছে।
সারাটাদিন না খাওয়া..খাইতে যামু তাও পারতাছি না বন্ধুরা সব আমাদের ঐ বন্ধুটারে নিয়া ব্যস্ত..সান্তনায় সান্তনায় অস্থির আমরা সবাই।
কিন্তু ঐ যে একটা কথা আছে না- সূর্য দেখে কান্দিস না মন তর চেয়ে ও বেশি কাদবে ঐ আকাশ।
আমার অবস্থাও ঠিক এই রকম হইয়া গেল রাতের বেলা যখন সুন্দর কইরা আমার মাথার উপর চান্দি টা ভাইঙ্গা পড়ল।শুনলাম গোল্ডেন তো আসেই নাই বরং রসায়নে আমার এ(৪) আইছে।
শুইনা তো আমি শেষ। কোচিং করতাছিলাম ইঞ্জিনিয়ারিং এখন কি হইব।।।
যদিও আমার স্কোর এখন (১৯) তারপরেও যারে ভালবাসি সে যদি আমারে মুলা দেখাইয়া দেয় তা হইলে কি আর ভাঙ্গা মন জোড়া লাগানো যাবে!!!!!!!!!!!
আমার মনটা এখন কাচের টুকরা টুকরা করা এক একটা অংশ হইয়া গেছে।
দুঃখ লাগে যখন দেখি যারে আমি দেখাইলাম সেও ঐ খানে(আমার স্বপ্নের পৃথিবীতে) পরীক্ষা দিতে পারবে আর আমি আশায় আশায় ভেলা বাসাইতাছি...চিন্তা করতাছি হবে কি হবে না
যা হোক মূল এবং আসল কথা হইল পড়তাম চাইতাছি কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং তাই বুয়েট সবার আগে......কিন্তু......
জীববিজ্ঞান আমার কাছে অন্য গ্রহের সাবজেক্ট মনে হয় (যদিও এ+) তার পরেও এইটা আমার ভাল লাগেনা।
আচ্ছা আমি যদি চ্যলেন্জ করি বোর্ডে কোন কি কাজ হইতে পারে।।
যদিও এস.এস.সি তে একবার এক সাবজেক্টের জন্য গোল্ডেন না পাওয়ার কারনে কোন লাভ ই হয় নাই.....
কিন্তু এখন কি রসায়নের জন্য কইরা কি কোন কাজ হবে...যদি কেই যানেন তয় আমারে একটু সান্তনা দিয়েন....
আমারে আমার বাপ মায় ভাই বোন বেবাকে মিইল্লা গণধোলাই দিবার চাইতাছে......কয় আমি নাকি ইচ্ছা কইরা এই কাজ করছি..ইচ্ছা কইরা নাকি পড়ছি না...কয় এ(+) পাওয়া কোন ব্যাপার ঐ টা এমনিতেই পাওয়া যায়....দুঃখ আমার চির জীবনের সাথী...সুখ আমার স্বপ্ন....সে আমার কাছে অধরাই রইয়া গেল আজীবন........