আমার ভাইয়ের রক্ত রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি...লাখো শহীদের রক্তে রাঙানো এই একুশে ফেব্রুয়ারি। একুশের ভোরে প্রভাতফেরিতে লাখো বাঙালি জনতার পদচারণ হবে অমর একুশের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে যাবেন আবালবৃদ্ধবণিতা, অনেকের হাতেই থাকবে ফুলের সমারোহ। কেউ হয়তো ফুলের বড় তোড়া দিয়ে আবার কেউ হয়তো শুধু একটি ফুল দিয়ে জানাবেন শহীদদের প্রতি তাঁর সম্মান। সে ক্ষেত্রে ফুলের দোকানে ফরমায়েশ দিয়ে অথবা ঘরে বসেই বানাতে পারেন আপনার পছন্দের ফুলের তোড়া, বলছিলেন শাহবাগের ফুল বিক্রেতা আবু। কর্কশিট, শোলা, পিন, কাগজ ইত্যাদি দিয়ে আপনি নিজেই বানিয়ে নিতে পারেন আপনার ফুলের রিং বা তোড়া।
রিং দিয়ে ফুলের শ্রদ্ধাঞ্জলি তৈরি করতে হলে
প্রথমেই আপনার পছন্দমতো ফুল ও পাতা নির্বাচন করতে হবে, যেটা দিয়ে আপনি আপনার কর্কশিট সাজাবেন।
এরপর ফুল ও পাতাগুলো দিয়ে পছন্দমতো নকশা করে নিতে হবে।
কর্কশিট গোল করে কেটে নিতে হবে।
এরপর বেইজের (কর্কশিট) পেছনে দুটি ছোট সরু বাঁশের টুকরা আড়াআড়িভাবে লোহার সরু তার দিয়ে বেঁধে দিতে হবে।
এই সরু বাঁশের টুকরোগুলোর কোনায় কোনায় ছোট কর্কশিট বসিয়ে র্যাপিং করে মুড়িয়ে নিতে পারেন ।
তারপর যে ফুল দিয়ে আপনি সাজাতে চান সে ফুলের গোড়ায় শোলা লাগিয়ে নিতে হবে। পিন দিয়ে ফুলসহ শোলা লাগিয়ে দিন কর্কশিটে।
কর্কশিটের চারদিক ফুল সাজানো থাকলেও মাঝখানের জায়গাটা খালি রাখতে হবে, সেখানে আপনি চাইলে কম্পোজ করে শ্রদ্ধাঞ্জলি লিখে নিতে পারেন, আবার চাইলে ফুল দিয়েও এটা লিখে নিতে পারেন।
সে ক্ষেত্রে অবশ্যই বাংলা বানান যেন ঠিক করে লেখা হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
ছোট ফুলের তোড়া বানাতে হলে
প্রথমেই ফুলগুলোকে আকার অনুযায়ী কেটে নিতে হবে যেন ফুলের তোড়ার নিচের দিকে ছোট-বড় না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
যে ফুল দিয়ে তোড়া তৈরি করা হবে, সেসব ফুলের গোড়ায় শোলা লাগিয়ে নিতে হবে।
এরপর ভেতরে কর্কশিট কিংবা কলার ডগার ওপরে পাতাগুলো একসঙ্গে করে ফুলসহ শোলা দিয়ে সাজাতে হবে।
আপনি চাইলে জিপসি ব্যবহার করতে পারেন ফুলের সঙ্গে।
এরপর ফুলের তোড়ার গোড়ার দিকে কর্কশিটের ওপর পছন্দমতো কাগজের মোড়ক লাগিয়ে নিতে পারেন।
দরদাম
কী ফুল দিয়ে রিং কিংবা তোড়া তৈরি করা হবে এবং সেটার আকার কেমন হবে, তার ওপর নির্ভর করবে দরদাম। তবে অবশ্যই এক কিংবা দুই দিন আগে থেকে ফরমায়েশ করতে হবে রিং দিয়ে তৈরি শ্রদ্ধাঞ্জলি বানাতে।
কর্কশিটের ওপরে রিং দিয়ে ফুলের বড় আকৃতির শ্রদ্ধাঞ্জলি তৈরি করতে হলে তার দাম পড়বে দেড় হাজার থেকে দুই হাজার টাকা, মাঝারি আকৃতির হলে দাম পড়বে ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা, আর ছোট আকৃতির হলে দাম পড়বে ৩০০ থেকে ৮০০ টাকা। আর কয়েকটি ফুলের সম্মিলিত তোড়া হলে দাম পড়বে ৫০ থেকে ৩০০ টাকা।
কোথায় পাওয়া যাবে
ঢাকায় শাহবাগের মোড়ে, বেইলি রোডে, হাইকোর্ট মাজারের সামনে আপনি রিং দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি কিংবা ফুলের তোড়া কিনতে পারেন।
* এ ধরনের আরও সুন্দর সুন্দর ও প্রয়োজনীয় সব ফিচার একসাথে দেখতে এখানে ক্লিক করুন
নিজে নিজেই তৈরি করুন একুশে ফেব্রুয়ারির ফুলের তোড়া
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
কে কাকে বিশ্বাস করবে?
করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।
সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন
বিসিএস পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষায় বসতে না পারার কষ্টটা সমালোচনার কোন বিষয়বস্তু নয়
গতকালের একটি ভাইরাল খবর হচ্ছে কয়েক মিনিটের জন্য বিসিএস পরীক্ষা দেয়া হলো না ২০ প্রার্থীর !! অনেক প্রার্থীর কান্নাকাটির ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।এ বিষয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান এর নিয়ামানুবর্তিতার জ্ঞান বিতরনের... ...বাকিটুকু পড়ুন
বারবাজারে মাটির নিচ থেকে উঠে আসা মসজিদ
ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়নে মাটির নিচ থেকে মসজিদ পাওয়া গেছে। এরকম গল্প অনেকের কাছেই শুনেছিলাম। তারপর মনে হলো একদিন যেয়ে দেখি কি ঘটনা। চলে গেলাম বারবাজার। জানলাম আসল... ...বাকিটুকু পড়ুন
সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?
আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন
পরিবর্তন অপরিহার্য গত দেড়যুগের যন্ত্রণা জাতির ঘাড়ে,ব্যবসায়ীরা কোথায় কোথায় অসহায় জানেন কি?
রমজানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকে বেপরোয়া হতে দেখা যায়। সবাই গালমন্দ ব্যবসায়ীকেই করেন। আপনি জানেন কি তাতে কোন ব্যবসায়ীই আপনার মুখের দিকেও তাকায় না? বরং মনে মনে একটা চরম গালিই দেয়! আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন