somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

খ্যাতিমানদের মজার ঘটনা-১৫

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নিউটনের জীবনী -বিচিত্রা

নিউটনের বয়স যখন তেইশ বছর তখন বিয়ে করেন নি। কিন্তু তার এক দূর সম্পরকিয়া আত্মিয়াকে বিয়ে করার ইচ্ছা হয়েছিল। নিউটন বলি বলি করেও প্রস্তাবটা দিতে পারছিল না। শেষে একদিন ঠিক করলেন আজ প্রস্তাব দিয়েই ছাড়বেন।
দুজনে বেড়াতে বের হল। নিউটন তখন জটিল বিসয় নিয়ে গবেষণা করছিলেন। মেয়েটি কথা প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করে বসলো, আপনার গবেষণা কদ্দুর এগুলো? ব্যস, আর নিউটন কে পায় কে! তিনি তখন ই শুরু করলেন তার বক্তৃতা। তার জটিল গবেষণা বুঝাতে শুরু করলো মেয়ে টিকে। নিউটনের মুখে যেন তখন খই ফুটছে। হবে না কেন তার পছন্দের বিষয় সে পেয়ে গেছে। ওদিকে মেয়েটির অবস্থা বুঝুন! বিজ্ঞানের সে কোন ধার ই ধারে না। মেয়েটি প্রতি মুহূর্ত ভাবছে, এই বুঝি নিউটনের বক্তৃতা শেষ হবে। শেষ করে এইবার বিয়ের প্রস্তাব দিবে। কিন্তু নিউটন তখন ভাবের রাজ্যে ঘুরছে। সে ততক্ষণে বিয়ের কথা একদম ভুলে গেছে। সেদিন আর প্রস্তাব দেয়া হল না। তার পরদিন ও না। তারপর বলি বলি করে আর কখনই বলা হল না। শেষে নিউটন আজীবন বিয়ে না করেই কাটিয়ে দিলেন।

বড় বিজ্ঞানী যখন, তখন সহজেই মনে হবে লোকটি ছিলেন সাদাসিধা, ঢিলাঢালা স্বভাবের মানুষ, সাজ পোশাকে, চালচলনে আড়ম্বরের ধার ধারতেন না। নিউটন ছিল একেবারে আত্মভোলা মানুষ। তুখোড় বুদ্ধি,অঙ্কে অসাধারন মাথা কিন্তু সাংসারিক ব্যাপারে একেবারে বেমানান।
নিউটনের বয়স যখন চৌদ্দ তখন তার মা একবার টাকে স্কুল থেকে ছারিয়ে ক্ষেত খামার দেখাশনার কাজে লাগিয়ে দেন। প্রতি শনিবার গ্রান্টহাম শহরে হাট বসত। নিউটনের উপর ভার ছিল এই হাটে প্রতি শনিবার গিয়ে কেনা বেচা করতে হবে। নিউটনের ছিল প্রবল বই পড়ার নেশা। নিউটন করতেন কি, হাটে না গিয়ে পথে একটা পাহাড় পরত, স্পিটলগেট পাহাড়, তার অলায় একটা নিরিবিলি ঝোপের আড়ালে গিয়ে বই খুলে বস্তেন। হাটে কেনা বেচা কাজের লোক করত। ফিরবার সময় সে নিউটন কে ডেকে নিয়ে যেত।
সে আমলে যানবাহন বলতে ঘোড়ার প্রচলন ছিল বেশি। নিউটন ও দীর্ঘ পথ যেত ঘোড়া নিয়ে। একবার নিউটন ঘোড়া নিয়ে সেই স্পিটলগেট পাহাড় পার হচ্ছিলেন। এবড়ো থেবড়ো পথে যেতে ঘোড়ার কষ্ট হচ্ছে দেখে সে ঘোড়া থেকে নেমে ঘোড়ার লাগাম হাতে ধরে চলতে লাগলেন। হাঁটতে হাঁটতে অঙ্ক নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছিলেন। এক সময় পাহাড় পার হয়ে সমতল রাস্তায় চলে এলো নিউটন। তখন ভাবলেন ঘোড়ায় চরবেন। কিন্তু ঘোড়ার পিঠে চড়তে গিয়ে দেখেন কোথায় ঘোড়া! ঘোড়া কখন লাগাম খুলে পালিয়েছে, তিনি শুধু লাগাম টা ধরে এতটা পথ হেটেছেন।
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×