somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পরী ও প্রলয়ের গল্প - ষষ্ঠ পর্ব

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জানুয়ারী, ২০১২

পরী,

প্রায় এক বছর পর তোমাকে লিখছি। হাত কাঁপছে থর থর করে। ভাবিনি কোনদিন লিখব। কিন্তু আমার ভাবনায় অনেক ভুল ছিল বলেই আবার লিখতে বসা।

জানতে চাইবো না তুমি কেমন আছ। সে অধিকার হারিয়েছি বহু আগেই। আর আমি জানি তুমি কেমন আছ, কারন আমি তোমাকে কি অবস্থায় রেখেছি তা চোখ বন্ধ করেই বলে দিতে পারি। তাই কেমন আছ জিজ্ঞেস করে তোমার কষ্ট বাড়াতে চাই না।

জানি আজ তোমার জীবনের একটা বড় প্রশ্নই কি হয়েছিল, বা কি করেছিলে যার কারনে আমার এমন করে হাওয়ায় মিলিয়ে যাওয়।

পরী, প্রতিটি মানুষের জীবন অনেক বিচিত্র। তার চেয়ে বিচিত্র মানুষের মন। সেই বিচিত্র মনেরই একজন আমি। আমার মনেও বিচিত্র চিন্তা খেলা করে তাই। যা কিছু স্বাভাবিক তাই যেনো আমার জন্য অস্বাভাবিক। যা কিছু অস্বাভাবিক তাই হয় আমার কাছে স্বাভাবিক। আমার নিরুদ্দেশ হওয়ার পেছনে তেমনই একটি বিচিত্র ভাবনা কাজ করেছিল। জানি কথাগুলো তোমাকে কষ্ট দিচ্ছে। তবু কথা গুলো বলতেই হবে আমাকে আজ।

আমার নিরুদ্দেশ হওয়া, কিছু না জানানো, সব কিছু থেকে দুরে থাকা। সত্যি বলছি তোমাকে কষ্ট দিতে নয় বরং তোমাকে বড় বেশি কষ্ট থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্যই আমার এই নিরুদ্দেশ হওয়া।

সেদিন তোমার কাছ থেকে চলে আসার সময় আমি যে কয়বার ফিরে ফিরে তাকিয়েছিলাম প্রতিবারই দেখেছি তোমার চোখে তীব্র বেদনার ছাপ। পুরোটা পথ জুড়েই শুধুই তীব্র বিচ্ছেদের বেদনায় নিয়ে তোমার তাকিয়ে থাকা চোখগুলো যেনো আমাকে তাড়িয়ে বেড়িয়েছে। আমার মনে একটা অদ্ভুত ভাবনা এলো। বলতে পার নিজের কাছে নিজের আত্মসমর্পন, নিজের ব্যবচ্ছেদ নিজেকে কাঠগড়ায় দাড় করানো। মনে হল আসলেই কি আমি তোমাকে ভালবাসি? নাকি একি কেবলই একটা মোহ? আমি তখনি সিদ্ধান্ত নিলাম আর তোমার সাথে কোন যোগাযোগ করব না। তুমি কষ্ট পাবে, কাঁদবে, হয়ত অভিশাপ ও দিবে। তবু আমি কেবল আমার মোহের জালে আটকাতে চাইনি তোমাকে। মোহ হলে একটা সময় তা ঠিকই কেটে যাবে, তখন তুমি কাকে নিয়ে বাঁচবে? কি নিয়েই বা বাঁচাবে?

পরী, তোমার ভালবাসা নিয়ে আমার একবিন্দু সন্দেহ নেই, তোমার জীবনের সবটুকু আমার হাতে অবলিলায় তুলে দিতে পারবে। কিন্তু আমি? আমি কি সত্যিই তোমাকে ভালবাসতাম নাকি কেবল একটু ভাল লাগার জন্যই ছুটে যেতাম? আমি প্রতারনা করতে চাইনি। কেবল মাত্র চেয়েছি নিজের কাছে নিজেকে খুঁজে নিতে। চাইনি যাতে কোনদিন তোমার মাঝে শঙ্কা না জাগে এই ভেবে যে আদৌ কি আমি ভালবাসি তোমাকে।

গত এতগুলো মাস ধরে কেবল আমি এই উত্তরই খুজে বেড়িয়েছি। এর মাঝে তোমার প্রতিটি চিঠি আমি পেয়েছি। একটিও পড়েনি। একবারও খুলিনিও। কারন তোমার প্রতিটি চিঠি আমাকে দুর্বল করে দিত।

হায় রে, কি বোকা আমি? যার কষ্টের কথা ভেবে ভেবে আমি রাত কাটিয়েছি রাতের পর রাত অথচ কেন এত কষ্ট পাচ্ছিলাম প্রতিদিন তার উত্তর খুঁজতে লাগল এতগুলো মাস। একবারো ভাবিনি যদি ভাল যদি নাই বাসতাম তবে এত কষ্টই বা পবো কেন? কেনই বা তোমাকে নিয়েই এত ভাবব? কারন আমি যে তোমাকে ভালবাসি।

পরী, আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি। প্রতিটি দিন আমি পুড়ে পুড়ে ক্ষত বিক্ষত হয়ে আজ আমি ফিরে এসেছি। না। আমার ভালবাসার এত শক্তি নেই। থাকলে তোমাকে ফেলে যেতে পারতাম না কোনদিনই। ফিরে এসেছি তোমার ভালবাসার কাছে আমি আত্মসমর্পন করতে।

জানি তোমার কাছে এসব কথা হয়ত ফাঁকা বুলির মত শোনাবে। ঘৃনাভরে ছুড়ে ফেলবে চিঠিটা দুরে কোথাও। তাতেও আমার দুঃখবোধ নেই। কেন জান? কারন আজ আমি আমাকে চিনি। যে অচেনা আমাকে এতদিন তাড়িয়ে বেড়িয়েছিল তাকে ফেলে এসেছি বহুদূর। এখন আমার মাঝে কোন দ্বীধা নেই, নেই কোন সংকা বোধ। আজ আমি চিৎকার করে বলতে পারি.. “আমি পরীকে এবং কেবল মাত্র পরীকেই ভালবাসি”।

ক্ষমা কর যদি পার কোনদিন।

প্রলয়।

আমার এখন কী চাই, মুঠো মুঠো সোনার মোহর, মেঘমহলে
ছিমছাম বাড়ি,
আলিঙ্গন, মাতাল বসন্তকাল?
না, এসব কিছুই আমার চাই না। চাওয়া
বলতে শুধু একখানা পর্ণকুটিরের মতো তুমি।
কিন্তু তুমি কে? কী নাম, কী স্থিতি, কী অবয়ব?
যে নামেই হও, নক্ষত্রমালা বৃষ্টিজল
আমি কাউকেই চাই না,
সত্য হচ্ছে কোনো নামই চাই না আমি।
আমি যাকে চাই—সে শুধু তুমি, নাম নয়
উত্তাল বিশেষ্য নয়, ভেজা সর্বনাম।

হয়তো এখন আমি কোনো ফোটা ফুলই চাই না
চাই উদ্যানের মনের মধ্যে লুকিয়ে থাকা
গোপন ফুল,
ঝিনুকের বুকের মধ্যে ঘুমিয়ে থাকা অদৃশ্য মুক্তো;
আমি যাকে দেখিনি তাকেই নাম দিয়েছি তুমি।
ঝনঝন করা কারুশিল্প, মোহিত করা কুহুস্বর,
চোখ ধাঁধানো প্রদর্শনী,
তুমি এসব কিছুই নও;
কোনো সমগ্র নয় আমি মাত্র
চেয়েছি অর্ধেক
শুধু তুমি, তোমাকে নয়—শুধু এই সর্বনামটুকু।


পুনশ্চঃ

পরী, শুন্য হাতে এসেছি কেবল ভালবাসা নিয়ে। দেবার মত আর কিছুই নেই। শুধু এটুকু যেনো এ ভালবাসা টুকু নিখাদ। দিনকে দিন পুড়ে পুড়ে আজ তা খাঁটি হয়েছে। আজ তাই নিয়ে এসেছি তোমার কাছে। ক্ষমা চাইনা, শুধু ভালবাসা টুকু কে একটু আশ্রয় দেও। মহাদেব সাহা যেনো নিজেই জানতো আমার কথা। তাইতো আমার এখন কি চাই কবিতাটা আমারি কথা গুলো বলছে।


--------------------------------------------------------------------------


মার্চ, ২০১২

পরী,

দু মাস অপেক্ষার পর আর পারলাম না। আমি পারবনা, পারছিও না, আগেও পারিনি। তখনো প্রতিদিন কষ্ট পেয়েছি আজো পাচ্ছি। তখন কষ্ট পেয়েছি যদি মনে হত আমি তোমাকে আসলেই ভালবাসিনি তখন কিভাবে তোমার সামনে দাড়িয়ে সেই কথাটা বলব সেটা ভেবে আর এখন কষ্ট পাচ্ছি আমার সেই উদ্ভট ভাবনার কারনে আমি তোমাকেই হারিয়ে ফেললাম আজ।

পরী, আজ তোমার চিঠি গুলো পড়েছি আজ। অনেক সাহস নিয়ে খুলেছি। ভেবেছিলাম কত বিচ্ছিরি ভাষায় বকা দিয়ে লিখেছো। কিন্তু আমার সমস্ত ধারনা তুমি মিথ্যে করে দিয়েছ। আমি প্রতিটা চিঠি পড়েছি আর শিশুর মত কেঁদেছি। এ আমি কি করলাম পরী। এভাবে তোমাকে দিনকে দিন কষ্টে মেরেছি। তোমার কাছে কি ক্ষমা চাইব। নিজেকেই নিজে ক্ষমা করতে পারছিনা।

পরী, কেন এত ভালবাসো আমাকে? এখনো কি বাস? আমি যে তোমার যোগ্য নই। প্রমান তো পেয়েছই। আমি খুব নির্বিকার ভাবে তোমাকে প্রতিদিন খুন করেছি। প্রতিদিন তোমার ভালবাসাকে পদদলিত করেছি। নিজেকে অভিশপ্ত অভিশপ্ত মনে হচ্ছে। নিজেকে পশু টাইপের মনে হয় এখন। মনে হয় দুদিন পর ছোরা হাতে রাস্তায় নেমেও খুন খারাপি করতে পারব। আমার মনুষত্যের মাত্রা তো এতই নিচে নেমে আছে।

প্রায় একটা বছর, দিনের পর দিন, রাতের পর রাত তুমি কেবল মাত্র আমার ফিরে আসার জন্য প্রতীক্ষায় ছিলাম। আর আমি কুপমন্ডুকের মত শুধু ভেবেছি নিজের কথা। নাহ্ । ভুল বললাম। কেবল নিজের কথা ভাবিনি। সারাক্ষন প্রতি মুহুর্ত তুমি আমাকে তাড়িয়ে বেড়িয়েছ। আর আমি পালাতে চেয়েছি। শুধু মনে হয়েছি আমি তোমার যোগ্য নই। আমার ভালবাসায় সেই শক্তি নেই যা তোমাকে ধরে রাখতে পারে। আমি অনেক বড় ভুল করেছি। সেই ভুলের সাজা হয়ত আমাকে সরার জীবন বয়ে বেড়াতে হবে।

তোমার একটাই জানার ছিল কি তোমার অপরাধ। নাহ্। । তোমার কোনই অপরাধ ছিরনা। যদি অপরাধী হই সে আমি। আমার অপরাধ ছিল আমার নিজের উপর বিশ্বাস ছিলনা। আমি জীবনে কোন কিছুই সহজে পাইনি। প্রতিটা সময় আমাকে যুদ্ধ করতে হয়েছে আমার ভাগ্যের সাথে, নিয়তির সাথে। আমি কখনো কারো ভালবাসা পাইনি। হয়ত সেই যোগ্যতাও আমার নাই। প্রতিনিয়ত চেষ্টা করেছি আমার চারপাশের মানুষগুলোকে ভাল দেখতে। ছোট বেলায় ঈদের সময় যখন মার্কেটে নিয়ে যেতো জামা জুতো কেনার জন্য, জানো তখন আমি সবচেয়ে কম দামীটাই পছন্দ করতাম। পছন্দ না হলেও দাম দেখে বলতাম এটাই চাই এটাই ভাল লেগেছে। ভাবতাম যদি কিছু টাকা বেঁেচ যায় তবে সেটা দিয়ে অন্যদের জন্য ভাল কিছু কিনতে পারবে। এখনো তেমনই করি। অথচ কেউ কিন্তু সেটা বুঝেনা। ভাবে আমার মাঝে আসলে তেমন কোন ব্যাক্তিত্বই নেই। হয়ত নেই। আমি কখনো নিজেকে ভালবাসতে পারিনি। দিনের পর দিন নিজেকে কষ্ট দিয়ে অন্যের ভাল লাগার চেষ্টা করেছি। সেটা যদি ব্যক্তিত্বহীন হয়ে থাকে না হয় থাকুক। তবু বদলাতে পারিনি, পারবোওনা, পারতে চাইও না। ওটার মাঝেই যে আমার আনন্দ। তবু মানুষের কাছ থেকে কষ্ট পেতে পেতে যখন জীবনকে একরকম মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলাম তখনই যেন তুমি এলে জীবনে। এক পশলা বৃষ্টির মত আমার সব সিক্ত করে দিলে। এত অবলীলায় কেউ আমাকে এমন করে ভালবাসবে কখনো ভাবিনি। কখনো আশাও করিনি। সত্যি বলছি আমি কখনো চাইনি তুমি আমাকে বল কোনদিন “আমি তোমাকে ভালবাসি”। কারন আমি ভালবাসা পাবার যোগ্য নই। আমি কেবল ভালবাসতে পারি, ভালবাসা পেতে নয়। সেদিন আমি বুঝতে পেরেছিলাম তুমি আমাকে ভালবেসে ফেলেছো। আমি সেদিন থেকেই প্রান পনে ছুটে বেড়িয়েছি.. তোমাকে আমার জীবনের এনে তোমার মাঝে নতুন কোন কষ্টের মাত্রা যোগ করতে চাইনি। নিজের কাছে নিজেকেও অপরিচিত ঠেকছিল। মনের এক অংশ বলছে তুমি পরীকে গ্রহন কর, পরী কে বল, অন্য অংশ বলছে ভুল করছ ভুল করছ। আমি পাগলের মত দিন কাটিয়েছি, নির্ঘুম রাতকে সঙ্গী করে ভোরের তারা মিলিয়ে যেতে দেখেছি। শুধু মনে হয়েছে গ্রহন করি বা না করি তোমাকে আর এক বিন্দু কষ্ট দিতে আমি পারবনা নতুন করে। যদি গ্রহন করি কোনদিন যেনো মনে না হয় তোমার আমি তোমাকে ভালবাসিনা আর যদি গ্রহন না করি তবে যেনো সারাজীবন আমাকে ঘৃনা কর। মোবাইল, ফেইসবুক সব বন্ধ করে দিয়েছি। যাতে তোমার মনে হয় লম্পট একজন প্রতারনা করে চলে গিয়েছে। ঘৃনা ভরে ভুলে যাও আমাকে।

পরী, কিন্তু কি আশ্চর্য জানো, যতবার ভেবেছি তুমি আমাকে ভুলে যাচ্ছ আমার বুকের ভেতর দুমড়ে মুচড়ে একাকার হয়ে যাচ্ছিল। ইচ্ছে করত ছুটে গিয়ে তোমার সামনে হাটু গেড়ে করজোরে বলি... “আমাকে ক্ষমা কর.. আমাকে তুমি আপন করে নেও”।

আমি নিজের কাছে পরাজীত আজ, পরাজীত তোমার ভালবাসার কাছেও। আজ আমার মনে চোখে চোখ রেখে বলার সাহস আছে “আমি তোমাকে ভালবাসি এবং তোমাকে আর কোন কষ্টই আমি ছুঁতে দেবনা কোনদিন।”

প্রলয়।

আমার প্রেমিকা-নাম তার খুব
ছোটো দুইটি অক্ষরে
নদী বা ফুলের নামে হতে পারে
এই দ্বিমাত্রিক নাম,
হতে পারে পাখি, বৃক্ষ, উদ্ভিদের নামে
কিন্তু তেমন কিছুই নয়, এই মৃদু সাধারণ নাম
সকলের খুবই জানা।

আমার প্রেমিকা প্রথম
দেখেছি তাকে বহুদূরে
উজ্জয়িনীপুরে,
এখনো যেখানে থাকে সেখানে পৌঁছতে এক হাজার একশো কোটি নৌমাইল পথ পাড়ি দিতে হয়;
তবু তার আসল ঠিকানা আমার বুকের ঠিক বাঁ পাশে-
যেখানে হৃৎপিণ্ড ওঠানামা করে।

পাঁজরের অস্থিতে লেখা তার টেলিফোন নম্বরের সব সংখ্যাগুলি;
আমার চোখের ঠিক মাঝখানে তোলা আছে,
তার একটি মাত্র পাসপোর্ট সাইজের
সাদাকালো ছবি।

আমার প্রেমিকা তার নাম সুদূর নীলিমা, রক্তিম গোধূলি,
নক্ষত্রখচিত রাত্রি,
উচ্ছ্বল ঝর্ণার জলধারা,
উদ্যানের সবচেয়ে নির্জন ফুল,
মন হুহু করা বিষন্নতা
সে আমার সীমাহীন স্বপ্নের জগৎ,
দুচোখে এখনো তার পৃথিবীর সর্বশেষ রহস্যের মেঘ,
আসন্ন সন্ধ্যার ছায়া-

আমার প্রেমিকা সে যে অন্তহীন
একখানি বিশাল গ্রন্থ
আজো তার পড়িনি একটি পাতা,
শিখি নাই
এই দুটি অক্ষরের মানে।


পুনশ্চ:
কেবল তোমার কথা ভেবেই চলে গিয়েছিলাম একদিন হঠাৎ করেই। আজ তোমার কাছেই ফিরে এসেছি। এই আসা যাওয়ার মাঝে জীবনের প্রতিটি মূহুর্ত তুমিই জড়িয়ে ছিলে। আমার অপরাধ কতটুকু আমি জানি। তবু এটুকু বলব তোমাকে ঠকাতে চাইনি কোনভাবেই। চাইনি তোমাকে কোন কষ্ট দিতে। ভেবেছিলাম তোমার কাছে ফিরেও আসবনা কোনদিন। আমার ভালবাসা টুকু নিয়ে না হয় বাকী সময়টুকু পার করে দিব। ভেবেছি তুমি যেমন আছ অন্তত আমার কাছে থাকার চেয়ে ভাল আছ। কিন্তু দিনে দিনে বুঝলাম তোমাকে দুরে রেখে আমার পক্ষে এভাবে জীবনমৃত হয়ে বেঁচে থাকা সম্ভব না।


--------------------------------------------------------------------------


মে, ২০১২

পরী,

উত্তর আসেনি। আশাও করিনা। যদি উত্তর দিতে সাথে সাথে, মনে হত তুমি হয়ত রক্ত মাংশের গড়া কোন মানুষ নও। যে কষ্টের মাঝ দিয়ে প্রতিনিয়ত গিয়েছ সেটা ভুলে যাওয়া, ক্ষমা করা হয়ত কোনদিনও সম্ভব নয়। তবে ভাবছ তবু কেন লিখছি? লিখছি আমার অপরাধের প্রায়শ্চিত্য সে তো আমাকে করতে হবে।

আমি অভাবে বড় হয়েছি বা আছি সে কথা আমি কখনো বলবনা। যেটুকু পেলে স্বাচ্ছন্দে চলা যায় সেটুকু আমি সব সময়ই পেয়েছি। যেটা পাইনি সেটা হচ্ছে ভালবাসা। আমরা দু ভাই। আমি বড়। ছোট বেলা থেকেই যেনো আমাকে শিখতে হয়েছে সব কিছু স্যক্রিফাইস করে চলতে হবে। এটাই যেনো নিয়ম। নিজের বলে কিছু চাইতে পারিনি। অথচ ছোট ভাইটির বেলায় যেনো উল্টোটা। সে আব্দার করত, চাইত আবার পেতোও। আমি আমার নিজের টুকুও তাকে দিয়ে দিতাম। একবার আমার সাইকেল টা নিয়ে গেলো পাশের বাসার একটি ছেলে। পলাশ নাম ছিল। আমি আমার নিজের সাইকেল আনতে গেলে সে আমার গায়ে চা ছুড়ে মারে। অনেক ছোট বেলার ঘটনা এটা। স্কুলেও পড়িনা তখন। অথচ এখনো জ্বলজ্বল করে স্মৃতি পটে। কারন প্রচন্ড দাগ কেটেছিল মনে। বাসায় ফিরে কাউকে কিছু বলিনি। পাছে যদি আমারি দোষ বলে। নিজের জিনিস নিজের করে চাওয়া সেটাও শিখিনি আজো তাই। দেখতে ছোটখাট ছিলাম বলেই হয়ত কেউ আমাকে ঠিক পাত্তাও দিতনা। অথচ খেলাধুলায় আমি খুব ভালো ছিলাম। ডেকে ডেকে খেলতে নিত। কেন জান? কারন আমাকে দিয়ে খেলাটা জিততে পারত। কিন্তু জেতার পর সবাই এমন অদ্ভুত একটা আচরন করত যেনো তারা ডেকেছিল বলেই খেলতে পেরেছি, আর খেলায় জেতাটা তো তাদের জন্যই হয়েছিল। আমার সেই শিশুকালের পোড় খাওয়া মন আজো এভাবেই পুড়ে। এখনো অফিসের বস নির্দ্বিধায় সমস্ত কাজ আমার উপর চাঁপিয়ে ঘুরে বেড়ায়। আর আমি গভীর রাত পর্যন্ত একনাগাড়ে কাজ করে যাই। বিনিময়ে বেতন পাই কিন্তু কাজের প্রশংসা টুকুর ভাগিদার অন্যজনই হয়। খুব যে দুঃখ পাই তা না। মাঝে মাঝে দুঃখ লাগে। যদি একটু খানি ভালবাসা পেতাম, একটু খানি মমত্ববোধ থাকত। সবাই আমাকে দলে ভেড়াতে চায়, না সেখানে কোন মনের টান কিংবা ভালবাসার টান না। কেবল স্বার্থের টানে, কাজের টানে। জীবনটা তাই ভালবাসা বঞ্চিত হয়েই থেকেছে সব সময়। তবুও চেষ্টা করছি আমার চারপাশের সবাইকে খুশি রাখতে। যখন কারো মুখে হাসি দেখি আর সেটার পেছনে আমার যদি বিন্দুমাত্র অবদানও থাকে বিশ্বাস করবেনা হয়ত প্রচন্ড কিন্তু সত্যি বলছি, ভাললাগায় মনটা ভরে যায়। প্রতিদান বা স্বীকৃতি চাইনা.. ওইটুকু ভাল লাগাই চাই। আমি কাউকে ভালবাসি একথাটা হয়ত কোনদিনও বলাই হতনা। কারন কাউকে ভালবাসি বলার আগে কেউ আমাকে ভালবাসবে এটাই তো বিশ্বাস করতে পারিনি। যখন মনে হচ্ছিল তোমাকে ভালবেসে ফেলেছি.. গলার খুব কাছে যখন সারাক্ষন কথাটা বলার জন্য ঘুর ঘুর করত.. খুব সন্তর্পনে তা লুকিয়ে ফেলতাম। যদি তুমি আমাকে ভাল না বাস তবে তোমাকেই বিব্রত করা হবে। আর মনে হয়েছিল আমি কি আদৌ তোমাকে ভালবাসি? ভালবাসা কি জিনিস তাই তো জানিনা।

কিন্তু এখন জানি। এখন বিশ্বাস হয়। হ্যা কেউ আমাকেও ভালবাসতে পারে। আমি জানি ভালবাসার মানে কি। ভালবাসা মানে হচ্ছে তোমাকে শিশুর মত লালন করা, তোমাকে অভিবাবকের মত আগলে রাখা, তোমাকে প্রেমিকের মত উষ্ণতা দেওয়া, তোমাকে নারীর মত শ্রদ্ধা করা। আমি আজ পারি তোমাকে সেভাবেই ভালবাসতে। আমি তোমাকে শিশুর মত সারাক্ষন লালন করতে পারি, আমি তোমাকে অভিবাবকের মত সব কিছু থেকে আগলে রাখতে পারি, আমি তোমাকে প্রেম দিতে পারি আমি তোমাকে একই সাথে শ্রদ্ধাও করতে পারি তোমার স্বাশ্বত নারীর রুপ কে।

প্রলয়।

তুমি দরজা নাও খুলতে পারো
আমি কি পাখি যে সারারাত ভাঙ্গাগলায় তোমাকে
ডাকতে পারবো,
আমি কি নদীর ঢেউ যে আছড়ে পড়তে পারবো
তোমার দুয়ারে এসে,
এমন কি কেউ যে অবিরাম করাঘাত করতে করতে
চেনা কণ্ঠে বলতে পারবো,
দরজা খোলো;

আমি তেমন কেউ নই,
নদীর ঢেউ নই,
রাতের পাখি নই,
পুরনো প্রেমিক নই
যার মৃদু করাঘাতে বিশ্বস্ত ডাকে তুমি তৎক্ষণাৎ
দরজা খুলে দেবে।

আমি জলের স্রোতের মতো, বাতাসের
কাঁপা কণ্ঠস্বরের মতো
অস্থির শিশিরবিন্দুর মতো নিঃশব্দে তোমার
পায়ে ঝরে পড়ি
সেই জল কখনো তোমার চোখে পড়ে, কখনো পড়ে না;
এই সামান্য সঞ্চয় নিয়ে আমি তোমার কাছে খুব
বেশি কী চাইতে পারি?

তুমি ডাক শুনতে পারো, নাও পারো
ফিরে তাকাতে পারো, নাও পারো,
তখনই দরজা খুলে আমাকে অভ্যর্থনা জানাবে
সেতো আশাই করি না।



পুনশ্চঃ জানি আমার ভালোবাসার সেই শক্তি নেই তোমাকে ফিরিয়ে আনার। তাইতো মহাদেব সাহার কবিতা ও স্কেচ টা পড়ি বার বার। তবু অপেক্ষা শুধু তোমার ভালবাসার উদারতার জন্য। যদি তুমি কোনদিন ক্ষমা করতে পার। আমি জীবনের শেষ সময়টুকু পর্যন্ত সেই অপেক্ষায় থাকব।


--------------------------------------------------------------------------


জুলাই ২০১২,

পরী,

ফেইসবুক থেকে আমাকে বাদ দিয়েছ। তবু অনেকগুলো ম্যাসেজ দিয়েছি। ফোন করেছি অসংখ্য বার। তুমি প্রচ্ছন্ন ভাবেই বুঝিয়ে দিয়েছো তোমার মনভাব। সেটাই স্বাভাবিক ভাবে মেনে নেওয়া উচিৎ আমার। কিন্তু কেন জানি পারছিনা মেনে নিতে। যদি ভাল না বাসতাম, যদি কেবল মোহের টানে ছুটে আসতাম হয়ত মেনেও নিতে পারতাম। কিংবা যদি জানতাম তুমি আমাকে ভালবাসনা তুব নিজেকে প্রবোধ দিয়ে হলেও সরে আসতাম। কিস্তু এর কোনটিই তো সত্যি নয় জানি। যেমন জানি আমি ভলবাসার জন্যই ফিরে আসি বার বার, তেমনই জানি তুমি আজো বালিশে মুখ লুকিয়ে কাঁদ আমারি জন্য।

আমি জীবনে একবারই এমন তীব্র ভাবে কারো কাছ থেকে ভালবাসা পেয়েছি। একই সাথে জীবনে একবারই এমন ভাবে ভালবাসতে পেরেছি। এর সবটুকু অবদান তোমারই। তুমিই আমাকে শিখিয়েছ কিভাবে ভালবাসতে হয়। আজ তাই তোমার কাছেই ফিরে আসি বার বার । আমার যে তুমি ছাড়া আর কেউ নেই। সর্বস্ব দিয়েই তোমাকে ভালবাসি ময়না। তোমার সাথে যদি এ জীবনে আর কোনদিন দেখা নাও হয়, যদি কোনদিন ফিরে নাও আস তবুও তোমাকে ভালবেসে যাব। যেটুকু স্মৃতি তোমাকে ঘিরে আছ তাই আঁকড়ে ধরে বাকীটা সময় পার করে দিতেও পারব। আমি কারো ভালবাসা পাইনি কোনদিন। তোমার ভালবাসা আমি হারিয়ে দিতে পারবওনা।

বড় বেশি ভুল করে ফেলেছি আমি। নিজেকে বুঝতে গিয়ে আজ তোমাকেই হারিয়ে ফেলেছি। জানি এ ভুলের মাশুল আমাকে জীবন ভর দিতে হবে। জীবনে কোন কিছুই খুব সহজে আসেনি আমার জীবনে। তুমি এসেছিলে না চাইতেই, তুমি ভালবেসেছিলে না ডাকতেই। অথচ খুব সহজে সেই তোমাকেই ফিরিয়ে দিয়েছি। কি নিয়তি আমার। নিজের জন্য আজ নিজেরই করুনা হয়। জীবনটা খুব অসাড় শুন্য মনে হয়। সব কিছু যেন স্থবির একটা ছবি হয়ে আছে আমার কাছে। আমি হাটি, চলি, অফিস করি কিন্তু আসলে আমি কিছুই করিনা যেনো। একটা নিয়মের ছকে যান্ত্রিক ভাবেই যেনো চলে যাচ্ছি। কোন কিছুই আমাকে টানেনা, কোন কিছুই আমাকে ছোয়ঁনা আজ। আমি এখন বৃষ্টিতে ভিজিনা, সিনেমা দেখে কান্না পায়না, কারো গল্প শুনে হাসি পায় না। কোন অনুভতিই আমাকে এখন আর তাড়িত করেনা। রাত নিঝুম হলে সবাই যখন ঘুমের ঘোরে স্বপ্নের জাল বুনে তখন আমি কেবল ঘড়ির টিক টিক শব্দটাই শুনতে পাই। অন্ধকার রুমের সমস্ত আধাঁর আমাকে গ্রাস করে নেয়। আমি কেবল ভাবি তুমি কি তখন ঘুমাও। ঘুমের মাঝে বাতাসে তোমার চুল এলোমেলো হয়ে ছুয়ে যায় তোমার গাল। অবচেতন তুমি নিজেই তা সরিয়ে নেও। কিংবা হঠাৎ ঠান্ডা বাতাসের ঝাপটা যখন লাগে শিশুর মত কুকড়ে থাক.. স্বপ্নে দেখ কাউকে বলছ একটা চাদর দিতে। আচ্ছা তখন কি আমি তোমার স্বপ্নে আসি? তোমার স্বপ্নেও কি আমি অবাঞ্চিত ভাবেই থাকি?

জানিনা, কিচ্ছু জানিনা। আমার ভুলটা আমারই ছিল কিন্তু ভালবাসায় কোন ভুল ছিলনা। শুধু জানি কেবল তোমাকে আর তোমাকেই ভালবাসি। আর কিছুই জানিনা। মাঝে মাঝে যখন রাস্তা ধরে হাটি, মনে মনে তোমাকেই খুঁজি। যদি হঠাৎ আচমকা তোমার সাথে দেখা হয়। একটি বারের জন্য। আমি হাটু গেড়ে নিজের ক্ষমার সাজা নিয়ে নিতাম। হায় কপাল। তাও হয় না। কোথাও দেখিনা তোমাকে। কোথাও না। লক্ষ লক্ষ মানুষের মুখ কেবল তোমার মুখটিই নাই।

প্রলয়।

এ কেমন ভ্রান্তি আমার!
এলে মনে হয় দূরে স’রে আছো, বহুদূরে,
দূরত্বের পরিধি ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে আকাশ।
এলে মনে হয় অন্যরকম জল হাওয়া, প্রকৃতি,
অন্য ভূগোল, বিষুবরেখারা সব অন্য অর্থবহ-
তুমি এলে মনে হয় আকাশে জলের ঘ্রান।

হাত রাখলেই মনে হয় স্পর্শহীন করতল রেখেছো চুলে,
স্নেহ- পলাতক দারুন রুক্ষ আঙুল।
তাকালেই মনে হয় বিপরীত চোখে চেয়ে আছো,
সমর্পন ফিরে যাচ্ছে নগ্ন পায়ে একাকী বিষাদ-ক্লান্ত করুণ ছায়ার মতো
ছায়া থেকে প্রতিচ্ছায়ে।
এলে মনে হয় তুমি কোনদিন আসতে পারোনি..

কুশল শুধালে মনে হয় তুমি আসোনি।
পাশে বসলেও মনে হয় তুমি আসোনি।
করাঘাত শুনে মনে হয় তুমি এসেছো,
দুয়ার খুললেই মনে হয় তুমি আসোনি।
আসবে বললে মনে হয় অগ্রিম বিপদবার্তা,
আবহাওয়া সংকেত, আট, নয়,
নিম্নচাপ, উত্তর, পশ্চিম-
এলে মনে হয় তুমি কোনদিন আসতে পারোনি।

চ’লে গেলে মনে হয় তুমি এসেছিলে,
চ’লে গেলে মনে হয় তুমি সমস্ত ভূবনে আছো ।



পুনশ্চ:
আমার ভ্রান্তি বিলাসে যা ক্ষতি হয়েছে তা কেবল আমার একাই হয়নি। যদি তাই হত তবু নিজেকে ক্ষমা করতে পারতাম হযত কোনদিন। আমার ভ্রান্তিতে তোমারও যে অনেক বড় ক্ষতি করে ফেলেছি। তোমার মনের সবটুকু সুখ আমি কেড়ে নিয়েছি। অথচ সেই কেড়ে নেওয়া সুখও আমাকে কোন সুখ দিতে পারছেনা। আমি তো তোমার সুখ নিতে চাইনি। তোমার কষ্টটুকুই চেয়েছি। কিন্তু হলো যেনো ঠিক উল্টোটাই। রুদ্র মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ বেঁচে থাকলে “এ কেমন ভ্রান্তি আমার” কবিতাটি হয়ত অন্যরকম হত আজ।


--------------------------------------------------------------------------


অক্টোবর, ২০১১

পরী,

কি অদ্ভুত আমি। এতকিছুর পরও প্রতিদিন ভাবি আজ হয়ত তোমার চিঠি পাব। কিংবা হয়ত একটা সাদা কাগজই আসবে। তবুও তো তোমার কাছ থেকে পাওয়া !! জানি আসবে না। আসার কথাও না। তবু আমার অপেক্ষার প্রহর যেনো কাটেনা।

তোমাকে দেখার জন্য কতদিন তোমার বাসার সামনে দাড়িয়ে ছিলাম। নাহ। তোমার সামনে দাড়ানোর ক্ষমতা আমার নেই। দাড়িয়ে ছিলাম যদি দূর থেকে দেখতে পাই তোমাকে। কাউকে কিছুই বলতে পারিানা, কেউ কিছুই বোঝেওনা। শুধু আমি জানি আমার ভেতরের দহন। অনেক ছেলেমানুষি আমার মাঝে কাজ করে, খামখেয়ালীপনাও হয়ত। দ্বায়ীত্বহীন না জানি আমি। ভালবাসি পাগলের মতও। তবু কমতি টা আমার মাঝেই বেশি। অনেক বেশি। সব সময় চেষ্টা করি আশ পাশের মানুষগুলোকে খুশি রাখতে। ঘটে ঠিক তার উল্টোই। দুধের মাঝে এক ফোট চনা পড়লে যেমন সমস্ত দুধটাই নষ্ট হয়ে যায় তেমনি আমার সমস্ত ভালবাসা, সমস্ত অনুভুতিও এক মূহুর্তের ছেলেমানুষীর কারনে নিঃশেষ হয়ে যায়। জীবনকে যত সাধারন, স্বাভাবিক ও সহচ ভাবেই ভাবিনা কেন জীবনটা যে অনেক কঠিন তা দিন দিন হাড়ে হাড়েই টের পাই প্রতি মূহুর্ত। আমার কাছে জীবন মানে খোলা আকাশের নিচে সবুজ ঘাষে তোমার হাত ধরে হাঁটা, নদীর ধারে তোমার এলোমেলো হয়ে যাওয়া চুল পরম মমতা নিয়ে ঠিক করে দেওয়া, রাতের তারার মাঝে কফি মগ হাতে তোমার গান শোনা, সকাল বেলায় ঘুমিয়ে থাকা তোমার চোখে চুমু দিয়ে জাগিয়ে তোলা। কিন্তু এসবের মানেই যে জীবন না এ আধুনা পৃথিবীতে। এখানে ভালবাসার চেয়ে বেশি মুল্যবান যেনো দ্বায়িত্ববোধ, স্বাচ্ছন্দ। এখন কবির চেয়ে প্রকাশকের মূল্য বেশি, কবিতার চেয়ে বাজারের ফর্দ বেশি জরুরী।

তোমার মাঝে দেখেছি আমি সত্যিকারের ভালবাসা। যে কিনা শিল্পকলায় নাটক দেখতে, হলে সিনেমা দেখে চোখ ফোলাতে, বই পড়ে উদাস থাকতে পারে। পরী তুমি কখনো ম্যাচুরড হইওনা, মেরে ফেলোনা তোমার মন কে এই ইট দেয়ালের কংকৃটের মাঝে। তুমি তোমার মতই থেকে।

জানিনা আর কোনদিন তোমাকে দেখতে পাব কিনা, জানিনা তোমার জীবনে আর কোনদিন আমার ঠাঁই হবে কিনা। কিন্তু শুধু এটুকু জানি, জীবনের সবকিছু ঘিরেই যেনো তোমার বসবাস। সমস্ত স্বপ্ন, সমস্ত অনুুভুতি কেবল তোমাকেই ঘিরে। যতই সময় গড়ায় ততই যেনো এর মাত্রা বাড়ে, সাথে বেদনাও। তোমাকে হারানোর বেদনা। বড্ড বেশি অসহায় লাগে। নিজের উপরই নিজেরই করুনা হয়। আমি ভালবাসতে পারিনি, পারিনি ভালবাসাটুকুও ধরে রাখতে। এখন শুধু দুটো জিনিসের অপেক্ষা। এক তুমি নতুবা মৃত্যু। যে আগে আসে। তবু মনে মনে তীব্র ভাবে কামনা করি তুমি যেনো আগে আস। মৃত্যুক্ষন এসে করা নাড়লেও যেনো দেখা পাই তোমার অনন্তত।


প্রলয়।

আমি জন্মেছিলাম এক বিষণ্ন বর্ষায়,
কিন্তু আমার প্রিয় ঋতু বসন্ত ।

আমি জন্মেছিলাম এক আষাঢ় সকালে,
কিন্তু ভালোবাসি চৈত্রের বিকেল ।

আমি জন্মেছিলাম দিনের শুরুতে,
কিন্তু ভালোবাসি নিঃশব্দ নির্জন নিশি।

আমি জন্মেছিলাম ছায়াসুনিবিড় গ্রামে,
ভালোবাসি বৃক্ষহীন রৌদ্রদগ্ধ ঢাকা।

জন্মের সময় আমি খুব কেঁদেছিলাম,
এখন আমার সবকিছুতেই হাসি পায়।

আমি জন্মের প্রয়োজনে ছোট হয়েছিলাম,
এখন মৃত্যুর প্রয়োজনে বড় হচ্ছি ।



পুনশ্চ:
নির্মেলেন্দু গুনের স্ববিরোধী কবিতা পড়ছিলাম আর মনে হচ্ছিল আসলেই কেবল মৃত্যুর প্রয়োজনেই বেঁচে আছি। এছাড়া আর কোনই কারন নেই বেঁচে থাকার। প্রতিদিন নিজের মৃত্যু কামনা করেই দিন কাটে। জানিনা কবে আসবে সেই মহেন্দ্রক্ষন।


-------------------------------------------------------------------------


নভেম্বর, ২০১২


পরী,

আজ কাটাবনের পাশ দিয়ে হাটছিলাম। ফুলের দোকানের পাশ দিয়ে যাবার সময় ১০ টা গোলাপ কিনলাম। খুব ইচ্ছে হচ্ছিল তোমাকে দেই। কিন্তু ইচ্ছে থাকলেই কি তা পূরন হয়? আমার হয়ত আর কোন ইচ্ছেই পূরন হবেনা। কারন আমার সকল ইচ্ছে যে তোমাকেই ঘিরে। তুমি যেখানে নেই সেখানে আর ইচ্ছে পূরনের কোন সুযোগও নেই। তাতে কি? ইচ্ছে গুলো তো আর মরে যায়না। দিনে দিনে গাঢ় থেকে গাঢ়, গভীর থেকে গভীরেই যেতেে থাকে।

তুমি কেমন আছ? খুব জানতে ইচ্ছে করে। তুমি কি এখনো চোখে কাজল দেও। চশমাটা কি এখনো পড়? শীতকাল তুমি খুব কষ্টে থাক। শীত আসি আসি করছে। মন বলছে না আসুক। এমনই থাকুক। তোমার কষ্ট তবু একটু কম হওক। তোমার কি এখনো প্রেসার নেমে যায় অনেক? ঠান্ডা লাগলে কি নাকের ডগা লাল হয়ে যায়? অনেক ঝাল দিয়ে শুটকি মাছ কি খাও এখনো?

তুমি কি ভাল আছ? পেরেছ আমাকে ভুলতে? ভুলতে পেরে কি ভাল লাগছে? কখনো কি বিষাদ ছুয়ে যায় আকাশে মেঘ দেখলে কিংবা হলদে আকাশ দেখলে। কখনো কি কুয়াশার চাদরের মাঝে আমাকে খুঁজেছ? অথবা ভোরের শিশিরে পা ভিজে গেলে আমাকে কি অভিশাপ দিযেছ পাশে নেই বলে? কত স্বপ্ন আমি তোমাকে দেখিয়েছিলাম সেসব নিজেই ভেঙ্গে দিয়ে জানি। জানি এসব বলার যোগ্যতা রাখিনা। তোমার ভালবাসায় আমাকে ক্ষমা করার একটু খানি শক্তি কি হবে? তুমি নিরবেই নিভৃতেই এভবেই চলে যেওনা। আমি আর পারছিনা। দিনে দিনে যেনো শুধু ডুবেই যাচ্ছি অতলে। যেওনা আমাকে ছেড়ে। আমার হাতটা একবার ধরে দেখো এ হাত আর ছাড়বার নয়, এ হাত কেবল আগলে রাখার জন্য তোমাকে। বড় কষ্ট.. আহা.. মানব জন্মও মাঝে মাঝে স্বার্থক মনে হয়। এত কষ্ট না পেলে জানতেই পারতাম না কোনদিন কষ্ট কাকে বলে।

প্রলয়।

এখন তুমি কোথায় আছো কেমন আছো, পত্র দিয়ো৷
এক বিকেলে মেলায় কেনা খামখেয়ালী তাল পাখাটা
খুব নিশীথে তোমার হাতে কেমন আছে, পত্র দিয়ো৷
ক্যালেন্ডারের কোন পাতাটা আমার মতো খুব ব্যথিত
ডাগর চোখে তাকিয়ে থাকে তোমার দিকে, পত্র দিয়ো৷
কোন কথাটা অষ্টপ্রহর কেবল বাজে মনের কানে
কোন স্মৃতিটা উস্কানি দেয় ভাসতে বলে প্রেমের বানে
পত্র দিয়ো, পত্র দিয়ো৷

আর না হলে যত্ন করে ভুলেই যেয়ো, আপত্তি নেই৷
গিয়ে থাকলে আমার গেছে, কার কী তাতে?
আমি না হয় ভালোবেসেই ভুল করেছি ভুল করেছি,
নষ্ট ফুলের পরাগ মেখে
পাঁচ দুপুরের নির্জনতা খুন করেছি, কী আসে যায়?

এক জীবনে কতোটা আর নষ্ট হবে,
এক মানবী কতোটা আর কষ্ট দেবে!


পুনশ্চঃ
হেলাল হাফিজের প্রস্থান কবিতাটি বড় কষ্ট দেয়। সব কিছুই কেন আমার সাথেই মিলে যায়? নাকি সবার কষ্টের তীব্রতাই এমন ছিল? পরী, ক্ষম অপরাধ। শুধু একবার ক্ষমা কর।


--------------------------------------------------------------------------


ডিসেম্বর, ২০১২

পরী,

তোমার মনে আছে গত বছর ঠিক এই দিনটায় তোমার সাথে প্রথম দেখা হয়েছিল। উহু, প্রথম না। তৃতীয়বার। প্রথম কথা হয়েছিল বলা যায়। এই দিনে তুমি আমার কাঁধে মাথা রেখে কেঁদেছিলে। আমি এখনো মাঝে মাঝে ধানমন্ডি লেকের সেই জায়গাটায় বসে থাকি। সবই আছে তবু যেনো কিছুই নেই। চাঁদটাও যেনো আর আলো দেয়না, বাতাস থমকে থাকে। হেড়ে গলায় গান পাগল ছেলেগুলোর গানও বাজেনা কোথাও।

আচ্ছা তোমার কি কখনো মনে হয় আমার কথা? কখনো কাউকে দেখে চমকে উঠো আমার মত লাগলে? স্বপ্নে কি কখনো হানা দেই তোমার ঘুমে? কিংবা চুল আচরাতে গিয়ে তোমার মনে হয় এই চুল আমি বিলি কেটে দিয়েছিলাম। কখনো ঘাড় ব্যথা হলে কি মনে হয় তোমার ঘাড়ে আমি কুট কুট করে আঙ্গুল দিয়ে ম্যাসেজ করে দিয়েছিলাম।

জানিনা, হয়ত জানবোও না তোমার কথা। আমার মনে হয়। প্রতিটা মুহুর্তেই। সিগারেট ধরাতে গেলেই মনে হয় তুমি চোখ রাঙ্গিয়ে তাকিয়ে আছ আমার দিকে। রাস্তায় হাটতে নিলে মনে হয় তুমি আমার বাম হাত জড়িয়ে ধরে হাটছ। তুমি যে আমার প্রতিটি ক্ষনের সাথে মিশে আছ।

পরী, হয়ত ভুল করেছি নিজের ভালবাসা চিনতে জানি। নিজেকেই বুঝতে পারিনি হয়ত। কিন্তু যেদিন থেকে বুঝতে শিখেছি সেদিন থেকেই তুমি আমার হয়ে আছ। হয়ত আমি তোমার কিছুই না। তাতে আমার খুব ক্ষতিবৃদ্ধি হয়না। যে ক্ষতি আমি আমার নিজের করেছি তার চেয়ে বেশি তুমি আমার কি ক্ষতিই বা করবে। তবুও তো তোমাকে পেয়েছি। নিজের মত করেই পেয়েছি। তোমাকে আমি প্রতিদিন নিজের মত করে গড়ি। তোমার সাথে আপন মনে কথা বলি। সারাক্ষন তুমি আমার সাথেই থাকো। যখন ইচ্ছে হয় তখনই তোমাকে ডাকতে পারি, তোমার কাছে আবাদার করি, অনুযোগ করি আবার অভিমানও করি। তুমি বসাবাস কর আমার ভেতরে। তুমি বা কেউই তো এই তুমি কে কেড়ে নিতে পারবেনা।

তবু মনের গহীনে কোথায় যেনো একটা করুন সুর বাজতেই থাকে। মনের এই তুমি নও, তোমার তুমি কে যে চাই। পরিপূর্ন করেই চাই। লুকোচুরি করে নয়, কারো চোখ রাঙ্গানি এড়িয়ে নয়, সমাজের ভাবনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে তোমাকে চাই। ভোরে আলোর যে রেখা ঘরে এসে ঠিকরে পড়ে ঠিক সেখানটায় তোমাকে চাই। দুপুরে খাবার টেবিলে তোমাকেই চাই। বিকেলের রোদে তোমার হাতটাই চাই আমার হাতের তালুর মাঝে। রাতে তোমার মাথায় বিলি আমিই কেটে দিতে চাই। চাই তোমাকে নিয়ে সিনেপ্লেক্সে মুভি দেখতে গিয়ে তোমার কাধে মাথা রেখে ঘুমিয়ে যেতে। ব্র্যট পিট নয় আমার পাশে তোমার ছবি তুলতে চাই। এর কিছুই হবে না হয়ত। এই “হয়ত” শব্দটা প্রতিদিন আমাকে বাঁচায় আবার প্রতিদিনই মারে। হয়ত তুমি আসবে ফিরে আমাকে ক্ষমা করে, হয়ত ফিরে আসবেই না। আসবেনা যখনি ভাবি বুকটা যেনো চুর্ণবিচুর্ন হয়ে শত কোটি টুকরো হয়ে যায়। কোন ভাবেই আর ফিরে পাইনা নিজেকে।

আমার এখন আর কিছুই ভাল লাগেনা। প্রতিটা দিন এক ঘেয়ে লাগে। সব কিছু বিবর্ন। কোন আড্ডায় যাইনা, কারো সাথে কথাও বলিনা। অফিস সেরে রাস্তায় রাস্তায় হাটি। ফেইসবুক কিংবা মোবাইল সব বন্ধ করে ফেলেছি। আমার কাউকেই চাই না। সব কিছুর বিনিময়ে কেবল তোমাকে চাই। তোমার হাতে হাত রেখে ময়না বলে ডাকতে চাই। চোখে চোখ রেখে বলতে চাই “ওয়াইফি”

প্রলয়।

বিষাদ ছুঁয়েছে আজ, মন ভালো নেই,
মন ভালো নেই;
ফাঁকা রাস্তা, শূন্য বারান্দা
সারাদিন ডাকি সাড়া নেই,
একবার ফিরেও চায় না কেউ
পথ ভুলকরে চলে যায়, এদিকে আসে না
আমি কি সহস্র সহস্র বর্ষ এভাবে
তাকিয়ে থাকবো শূন্যতার দিকে?
এই শূন্য ঘরে, এই নির্বসনে
কতোকাল, আর কতোকাল!
আজ দুঃখ ছুঁয়েছে ঘরবাড়ি,
উদ্যানে উঠেচে ক্যাকটাস্ত
কেউ নেই, কড়া নাড়ার মতো কেউ নেই,
শুধু শূন্যতার এই দীর্ঘশ্বাস, এই দীর্ঘ পদধ্বনি।
টেলিফোন ঘোরাতে ঘোরাতে আমি ক্লান্ত
ডাকতে ডাকতে একশেষ;
কেউ ডাক শোনে না, কেউ ফিরে তাকায় না
এই হিমঘরে ভাঙা চেয়ারে একা বসে আছি।
এ কী শান্তি তুমি আমাকে দিচ্ছো ঈশ্বর,
এভাবে দগ্ধ হওয়ার নাম কি বেঁচে থাকা!
তবু মানুষ বেঁচে থাকতে চায়, আমি বেঁচে থাকতে চাই
আমি ভালোবাসতে চাই, পাগলের মতো
ভালোবাসতে চাই-
এই কি আমার অপরাধ!
আজ বিষাদ ছুঁয়েছে বুক, বিষাদ ছুঁয়েছে বুক
মন ভালো নেই, মন ভালো নেই;
তোমার আসার কথা ছিলো, তোমার যাওয়ার
কথা ছিল-
আসা-যাওয়ার পথের ধারে
ফুল ফোটানো কথা ছিলো
সেসব কিছুই হলো না, কিছুই হলো না;
আমার ভেতরে শুধু এক কোটি বছর ধরে অশ্রুপাত
শুধু হাহাকার
শুধু শূন্যতা, শূন্যতা।
তোমার শূন্য পথের দিকে তাকাতে তাকাতে
দুই চোখ অন্ধ হয়ে গেলো,
সব নদীপথ বন্ধ হলো, তোমার সময় হলো না-
আজ সারাদিন বিষাদপর্ব, সারাদিন তুষারপাত-
মন ভালো নেই, মন ভালো নেই|



পুনশ্চঃ
তুমি একবার আমাকে কবিতার ও কবি দোহাই দিয়েছিলে। আজ আমিও দিচ্ছি। হেলালা হাফিজের দোহাই, প্রস্থান কবিতার দোহাই। তুমি ফিরে এসো একটিবার। সারাজীবন তোমাকে আগলে রাখব। সারাটি জীবন ভর।


---------------------------------------------------------------------------

লেখকের কথাঃ
প্রলয় খুব আবেগি ছেলে। তার মাঝে অনেক ছেলে মানুষি, উদ্ভট ভাবনা আবার কখনো একরোখা ভাবও কাজ করে। সহজ সরল বলতে যা বোঝায় প্রলয় তেমন না হলেও চিন্তার সরলতা তার মাঝে প্রকট। তার সহজাত সহজ ভাবনাগুলো হয়ত এখনকার সময়ের সাথে সঙ্গতীপূর্ন নয় একদমই। জীবনকে সহজ ভাবে নেওয়ার ভাবনা গুলোকে বরং অন্যকেই কষ্ট দেয় বেশি। অতি আবেগ যে কেবল অন্যকে ভাল লাগাই নয় অনেক কষ্টও দেয় সেটা বুঝতেও পারেনা অনেক সময়। কিংবা পারেনা নিজের আবেগ কেও সংবরন করতে। কিন্তু তারপরও সত্যি প্রলয় পরীকেই ভালবাসে। আবেগী হওয়ার কারনে সেটায় অন্যকিছুই টলাতে পারেনি এবং হয়ত ভালবাসার পরিমানটুকুও বেশি স্বাভাবিকের তুলনায়। সেটায় কোন পার্থিব ভাবনাও কাজ করেনা। কেবল পরীকে জুড়েই তার সমস্ত কিছুই আবর্তিত হয়। তারপরও কথা থাকে, ভুল থাকে। প্রলয়েরও কথা আছে অনেক কিছু বলার পরীরও ছিল অনেক উত্তরের অপেক্ষা।

প্রলয়ের আকুতি আদৌ পরীর মন গলাতে পেরেছে কিনা কিংবা পরী ক্ষমা করবে কিনা সেটা পাঠকের ভাবনার উপরেই থাকল আপাতত।



পরী ও প্রলয়ের গল্প - প্রথম পর্ব

পরী ও প্রলয়ের গল্প - দ্বীতিয় পর্ব

পরী ও প্রলয়ের গল্প - তৃতীয় পর্ব

পরী ও প্রলয়ের গল্প - চতুর্থ পর্ব

পরী ও প্রলয়ের গল্প - পঞ্চম পর্ব
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৭
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পিরিতের সংস্কৃতিওয়ালা তুমি মুলা’র দিনে আইলা না

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৬


---- আমাদের দেশে ভাষা, সংস্কৃতি এবং সামাজিক সমুন্নয়ন তলানিতে। তেমন কোন সংস্কৃতিবান নেই, শিরদাঁড়া সোজা তেমন মানুষ নেই। সংস্কৃতির বড় দান হলো ভয়শূন্য ও বিশুদ্ধ আত্মা। যিনি মানবের স্খলনে, যেকোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসরায়েল

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮

ইসরায়েল
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

এ মাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ বাবাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
নিরীহ শিশুদের হত্যা করেছে ইসরায়েল
এই বৃ্দ্ধ-বৃদ্ধাদের হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ ভাইক হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ বোনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
তারা মানুষ, এরাও মানুষ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

গ্রামের রঙিন চাঁদ

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১২


গ্রামের ছায়া মায়া আদর সোহাগ
এক কুয়া জল বির্সজন দিয়ে আবার
ফিরলাম ইট পাথর শহরে কিন্তু দূরত্বের
চাঁদটা সঙ্গেই রইল- যত স্মৃতি অমলিন;
সোনালি সূর্যের সাথে শুধু কথাকোপন
গ্রাম আর শহরের ধূলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১৭



পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষঃ
পালবংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপালদেব অষ্টম শতকের শেষের দিকে বা নবম শতকে এই বিহার তৈরি করছিলেন।১৮৭৯ সালে স্যার কানিংহাম এই বিশাল কীর্তি আবিষ্কার করেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরবাসী ঈদ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৩

আমার বাচ্চারা সকাল থেকেই আনন্দে আত্মহারা। আজ "ঈদ!" ঈদের আনন্দের চাইতে বড় আনন্দ হচ্ছে ওদেরকে স্কুলে যেতে হচ্ছে না। সপ্তাহের মাঝে ঈদ হলে এই একটা সুবিধা ওরা পায়, বাড়তি ছুটি!... ...বাকিটুকু পড়ুন

×