জনাব ফসিল মুকতাদির সাহেব হন্তদন্ত হয়ে খাতা আর প্রশ্নের প্যাকেট হাতে নিয়ে ক্লাস রুমে ঢুকলেন। এরমধ্যেই পরীক্ষা শুরু হতে বিশ মিনিট দেরী হয়ে গেছে। আজ "ছাত্ররাজনীতি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি" পরীক্ষায় এই হলে কোন্ স্যার ডিউটি দিবেন না দিবেন এটা নিয়ে ক্যাঁচাল করতে করতেই আসলে এই দেরিটা হল। ফসিল সাহেবের মাথায় ঢুকছেন না কেন কোনো স্যার আজ পরীক্ষার হলে ডিউটি দিতে চাইছেন না ! তিনিই ছিলেন সেখানে সবচেয়ে জুনিয়র। সবে চার দিন হল জয়েন করেছেন। সিনিয়র স্যাররা কেউ চাইছেন না দেখে তিনি নিজেই এই দায়িত্ব নিয়ে এখন হল রুমে এসেছেন। তার কথা শুনে সব স্যারের মুখে হাজার পাওয়ারি বাল্বের আলো জ্বলে উঠলো কেন এটাও তিনি বুঝতে পারেননি। যাই হোক বিশ মিনিট দেরিতে এসে এত গুলো ছাত্র-ছাত্রীকে কি জবাব দিবেন এটা ভাবতে ভাবতেই তিনি ক্লাস রুমে ঢুকলেন। নিশ্চয় পরীক্ষার্থীরা কিছুটা রেগে আছে। তাদের আগে একটু ঠান্ডা করতে হবে।
ছাত্র-ছাত্রীদের দিকে তাকিয়ে ফসিল সাহেব নিজেই থতমত খেয়ে গেলেন। সবাই যে যার মত আড্ডা দিচ্ছে। একজন সোলার গিটারের বিশাল আওয়াজ তুলছে, অনেকেই তাকে ঘিরে আছে। আরেকজনকে দেখা যাচ্ছে ট্যাবলেট পিসি থেকে দেয়ালে প্রজেক্টর দিয়ে মুভি দেখছে। সেখানেও ভিড়। তেমন কেউ তাকে খেয়াল করেনি। তিনি ভুল রুমে আসেননি তো ?
ফসিল সাহেব গলা উঁচিয়ে বললেন, "ওকে, এবার সবাই বসে পড়ুন। সাময়িক বিলম্বের জন্যে আমরা দুঃখিত। পরীক্ষা শুরু হবে এখন।" তার আওয়াজ শুনে এবার সবাই তার দিকে তাকাচ্ছে। ফসিল সাহেব বেশির ভাগ ছাত্র-ছাত্রীর চেহারাতেই একটা হতাশা মিশ্রিত হাসি দেখতে পেলেন। মুভি দেখছে ছেলেটা একটা হাই তুলে আবার মুভি দেখা শুরু করল। চার-পাঁচ জনকে দেখা গেল ক্লাস থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। সবাই আবার নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে দেখে ফসিল সাহেব এবার একটু রেগেই বললেন, "কি ব্যাপার আপনাদের সমস্যা কি? সবাই আপনাদের ট্যাবলেট এগজাম পেপার অন করুন, পরীক্ষা শুরু হবে।"
ফসিল মুকতাদির অবাক হয়ে লক্ষ্য করলেন কেউ তার কথা পাত্তাই দিলনা ! সবাই যে যা করছিল তাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে ! এমন সময় সামনে থেকে একটি মেয়ে বলল, "স্যার, ভাই গব্বর এখনো আসেনি।"
"ভাই গব্বর আসেনি মানে !! সে আসেনি সেটা তো আমাদের প্রব্লেম না। সবাই রেডি হন আপনারা।"
মুভি দেখছে ছেলেটা এবার তার দিকে না ফিরেই বলল, "ওই স্যারের পো হুনেন না, ভাই গব্বর অহনো আসেনাই ?"
ফসিল সাহেব এবার রাগে ফেটে পড়লেন, "তোর গব্বরের মুখে গু। সবাই বস্ ঠিক হয়ে।"
অনেকেই এবার দেখা গেল তাদের জায়গায় বসছে। কিন্তু কেউই তাদের এগজাম ট্যাবলেট অন করছেনা। সবাই তারদিকে অদ্ভূত দৃষ্টিতে তাকাচ্ছে। সবার চোখে কেমন একটা আতংক ! ফসিল সাহেব হঠাত আঁচ করতে পারলেন কোথাও একটা গড়বর করেছেন তিনি। কে এই ভাই গব্বর ? এই চিন্তা করার ঠিক তিন মিনিটের মাথায় ফসিল সাহেব ডিপার্টমেন্টের ব্যালকনিতে একটা মোটরপ্লেন থামার আওয়াজ পেলেন। মুভি দেখছিল ছেলেটা দাঁত বের করে হেসে উঠলো, "আইসে ভাই গব্বর, এইবার খেলা জমবো।"
একটা বেঁটে খাটো ফর্সা মতন ছেলে ক্লাসে ঢুকলো। ফসিল সাহেব সাথে সাথে বুঝতে পারলেন গড়বরটা কোথায় করেছেন তিনি। তিনি এও বুঝলেন ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। তিনি আতংক বোধ করার বদলে ক্লান্তিবোধ করতে লাগলেন। এখন সব পরিষ্কার হচ্ছে, কেন কোনো স্যার এই হলে আসতে চাইছিলেন না। তাঁরা আগে থেকেই জানতেন। নিজের অজ্ঞতায় ফসিল সাহেবের নিজেরই এমন মূহুর্তে হাসি পেল। তিনি ভাই গব্বরকে চিনতে দেরী করে ফেলেছেন। বেঁটে খাটো ছেলেটা হুংকার দিয়ে বলল, "আমারে ই-নোট সেন্ড করসে কেডা?"
মুভি দেখছিল ছেলেটা দৌড়ে আসলো, "ভাই আমি।"
"আমার মুখে গু কইসে কুন হারামি? এই স্যারের পো স্যার ?"
"হ ভাই। আমরা কইসিলাম আপনি অহনো আসেন নাই।"
বেঁটে খাটো ছেলেটা ফসিল সাহেবের সামনে এসে দাঁড়ালো। লাল লাল চোখ করে বলল, " মাই নেইম ইজ গব্বর, এন্ড আই এম এ ছাত্রলীগ। ওই ঝীন্ডা, কল্লা ফালা।"
কেউ কিছু বুঝে উঠার আগেই ঝীন্ডা নামক মুভি দেখছিল ছেলেটা তিন ইঞ্চি অটোমেটিক জার্মান রামদা টা বের করে করে ঘচাং করে ফসিল মুকতাদিরের ধড় থেকে গলা আলাদা করে ফেলল। সেটা কয়েক ফুট দূরে ছিটকে পড়ল। নিথর দেহটা চেয়ারে পড়ে রইল। রক্তে সারা রুম ভেসে যাচ্ছে। ভাই গব্বর নির্বিকার ভঙ্গিতে সাইডব্যাগ থেকে তার ট্যাবলেট বের করে ডায়াল করতে করতে ক্লাসের ছেলেমেয়েদের কে বলল, "অই সবাই বাড়িত্ যা। একহপ্তা পর আইয়া আমার থাইকা ছাট্টিফিকেট লইয়া যাইস। আমি ভিসির পুতের কাছ থাইকা আনাইয়া রাখুমনে।"
ভাই গব্বরের ট্যাবলেটের স্ক্রিনে কিং কিংচু'র চেহারা ভেসে উঠল। ভাই গব্বর বলল," কিরে, কিংচু, মাইয়া কখন পাঠাবি?"
কিং কিংচু হাসিমুখে বলল, "ভাই, মাইয়া জায়গা মত আইয়া পরসে। আমি লোক পাডাইসি হে আপনার কাছে পৌছাইয়া দিয়া আসবো।"
ভাই গব্বর সন্তুষ্ট গলায় বলল, "সাবাস বেটা ছাত্রলীগের বাচ্চা। রাখ তোর টেকা ট্রান্সফার দিতাসি। দুই মিনিট পর চেক কর্।"
*************
রিসিতা একটা সাদামাটা ব্যাগ নিয়ে ভার্সিটির গেটে দাঁড়িয়ে আছে। তিন দিনের জন্যে একজায়গায় যাবে। যে তাকে নিতে আসার কথা তাকে এখনো দেখা যাচ্ছে না। যদিও এখন তার খুব ভয় হচ্ছে। কিন্তু তিন দিন পরের মুক্তির কথা ভেবে সে নিজেকে একটু সাহস দেয়ার চেষ্টা করছে। রিসিতা শহীদ ভাই বদরু বিশ্ববিদ্যালয় লেখা শ্বেতপাথরের বিশাল নামফলকটির দিকে একবার আনমনে তাকালো। অনেক আগে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য কি একটা নাম ছিল। ২০১৭ সালের বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ এই ছাত্রলীগ নেতার নামে পরে নামকরণ করা হয়েছে। এটাই এখানকার সবচেয়ে কম খারাপ বিশ্ববিদ্যালয়। তখন হয়ত এটাকে ভাল বিশ্ববিদ্যালয় বলা হত। আজ এত বছর পর মানুষ আর ভাল খুঁজেনা। কোনটা কম খারাপ সেটা বেছে নেয়। তখন নাকি কেমন যেন ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে ছেলেমেয়েরা ভর্তি হত। এখন ওসবের বালাই নেই। রিসিতার বাবা অনেক কস্টে ৩০ কোটি টাকায় রিসিতার ভর্তি ম্যানেজ করেছেন। বাবা যদি জানতেন ৩০ কোটি টাকা দেয়ার পরও আজ রিসিতাকে তিন দিনের জন্যে ভাই গব্বরের কাছে গিয়ে থাকতে হবে তাহলে হয়ত তাকেও অন্য অনেক মেয়ের মত বিয়ে দিয়ে দিতেন অথবা চিরদিনের জন্যে সরকারি গণকোষাকারে ডিপোজিট করে দিতেন। অবশ্য সেই সামর্থ্য তো আর বাবার ছিল না। ১০০০০ কোটি টাকা এককালীন জামানত !!! সম্ভব ?
তখন নাকি ইভটিজিং নামেও অদ্ভূত একটা ব্যাপার ছিল। ছেলেরা মেয়েদের উত্যক্ত করলে তাকে ইভটিজ বলা হত। রিসিতা ইন্টারনেট আর্কাইভে পড়েছে এর জন্যে অনেক মেয়ে নাকি আত্মহত্যাও করত ! কি আজব ! এখন অবশ্য ওইসব ব্যাকডেটেড ব্যাপার কেউ করেনা। কোনো ছাত্রলীগ নেতার যদি কোনো মেয়ে পছন্দ হয় তাহলে সে সরাসরি তাকে তুলে নিয়ে যায় অথবা মেয়েটির বাসায় সরকারি নোটিশ পাঠায়। নেতারা অবশ্য অনেক সহনশীল। তারা ৩/৪ দিন বেশি হলে একসপ্তাহ রেখে মেয়েটিকে আবার ফেরত দিয়ে দেয়। এটা অবশ্য সরকারের করা নিয়ম। রিসিতা আর্কাইভে পড়েছে, ইভটিজ বন্ধ করতে না পেরে সরকার বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীনতা যুদ্ধের পরপর এই আইনটি করেছিল। যে মেয়ে কে একবার তুলে নিয়ে যাওয়া হবে তাকে বাকি জীবন আর কোনো ছাত্রনেতা তুলে নিতে বা পছন্দ করতে পারবে না। এতে বাকি জীবনের জন্য মেয়েদের নিরাপত্তাও নিশ্চিত হবে আবার নেতাদেরও মন রক্ষা হবে। হাজার হলেও এই নেতাদের কারনেই সরকার ক্ষমতায় এসেছিল এবং থাকবে।
রিসিতার মাঝে মাঝে মনে হয় সেই পুরোনো ইভটিজই বোধহয় অনেক ভাল ছিল। যা টিজ করত সব কানের উপর দিয়ে চলে যেত। আর এখন তিন দিন ধরে............। অবশ্য কোনোভাবে তিন দিন সহ্য করতে পারলেই সারাজীবনের মুক্তি। তখন তো আর এটা ছিল না। যেসব মেয়েদের সরকারি গণকোষাগারে ডিপোজিট করা হয়না তাদের তো একসময় না একসময় এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতেই হয়। কত মেয়েই তো সহ্য করেছে। তাদের এখন কতই না শান্তি !
এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে ভাই কিং কিংচুর কমান্ডার চিফ ভাই মোঙ্গা তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে সে খেয়ালই করেনি। ভাই মোঙ্গা খেঁকিয়ে উঠলো, "এত ভাবনা চিন্তা পরে। জলদি গাড়িতে উঠ।" রিসিতা ব্যাগটা তুলে নিয়ে হাঁটতে শুরু করল। যদিও তার অনেক ভয় হচ্ছে কিন্তু আর মাত্র তিন দিন পরেই যে সেই মুক্তি !
মোঙ্গা তার ট্যাবলেটে টিক্কার সাথে কনফারেন্স করছে, "খেলা শুরু হতে আর কতক্ষণ? ভাই হাম্ভার সব রেডি ?"
টিক্কা আকর্ণ হেসে বলল, "রেড্ডি মানে ! সব পজিশনে। আর আধাঘন্টা। তুই তাড়াতাড়ি লগইন দে। নইলে সাইটে আর ঢুকতে পারবি না খেলাও দেখতে পারবি না।"
"আমি এই মালটা আগে জায়গায় পৌঁছে দিয়ে আসি। ভাই কিংচু কিন্তু অলরেডি ভাই হাম্ভার বিডে ১৫০ কোটি লাগিয়ে ফেলেছে।"
"তুই তোর টেনশন ল' বেটা। এখনই ৬০০০ কোটির বিড হইয়া গেছে। এইডা আমগো টেনশন। বাই।"
মোঙ্গা কনফারেন্স অফ করে মোটরপ্লেন স্টার্ট দিল। আধঘন্টার মধ্যে ভাই হাম্ভা গ্রুপ বনাম ভাই খঞ্জা গ্রুপের "ফাইট টিল ডেথ" এর ফাইনাল শুরু হবে। তার আগে এই উটকো ঝামেলা তাকে বেশ বিরক্ত করছে।
************
হাম্ভা কিঞ্চিত টেনশন বোধ করছে। খেলা শুরু হবার আগেই যার পিছনে ৬০০০ কোটি টাকার বাজি ধরা হয়ে গেছে, শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারলে যেটা ২০০০০ কোটি টাকার উপরে চলে যাবে তার তো সামান্য টেনশন হতেই পারে ! খঞ্জা গ্রুপ গত তিনবারের চ্যাম্পিয়ন। গতবার খঞ্জার পার্সোনাল পারফরমেন্স ছিল ৯ ফুল কিলিং, ২৩ উওন্ডেড ! প্রতি বছর বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে এই মারামারি খেলা "ফাইট টিল ডেথ" টুর্ণামেন্টের মাধ্যমে নেতৃত্বের পরিবর্তন হয়। সাথে থাকে বিশাল অংকের একটা ইনকাম। জয়ী গ্রুপই পুরো বিডের টাকাটা পায়। ছাত্রলীগ থেকে শুরু করে সরকারে কেন্দ্রীয় নেতারা এবং বিদেশী ইনভেস্টররাও বিড করে এখানে। একবার জিতলে একবছরের ক্ষমতা। হাজার হাজার কোটির টাকার ব্যবসায় ! বহু বছর আগে সরকার যখন কোনো ভাবেই বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে মারামারি ভাংচুর বন্ধ করতে পারছিল না তখন আইন করে এই টুর্ণামেন্টের প্রচলন করে। সব বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যায়ক্রমে এই খেলা হতে থাকবে। বিজিত দলের সকলের মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত খেলা চলতে থাকবে। যত মারামারি, হত্যা বছরে একবারই হবে। সারাবছর সবাই পরের বছরের জন্য প্রস্তুতি নেবে।
হাম্ভা তার সেভেন ব্যারেল রাশিয়ান স্যাটেলাইট গানটাতে আরেকবার হাত বুলায়। তার ১১৯ জন কমান্ডার তাদের পজিশন কনফার্ম করেছে। নাইন-জি হলোগ্রাফিক প্রজেক্টর থেকে খঞ্জার ইনিশিয়াল শোনা গেল, "হ্যালো, আই এম খঞ্জা, এন্ড আই এম এ ছাত্রলীগ।"
এবার হাম্ভার পালা। হাম্ভা অবাক হয়ে লক্ষ্য করল তার হাত ঘামছে। এমন সময় তার মনে পড়ল আর তিন মাসের মধ্যে তার বাবা হবার কথা। আজ যদি তার কিছু হয়ে যায় তাহলে ?? এই চরম মুহুর্তে এইসব কথা মনে পড়ার মানে কি ?? কয়েক মিনিটের ভেতর শুরু হবে আমৃত্যু লড়াই। ক্ষমতা জন্যে, টাকার জন্যে লড়াই ! হাম্ভা জোর করে সব চিন্তা সরিয়ে রেখে কনফারেন্স চিপটি অন করে। "হ্যালো, আই এম হাম্ভা।এন্ড আই এম এ ছাত্রলীগ। "
************
( আমার লিখা যদি কাউকে বিন্দুমাত্র আঘাত দিয়ে থাকে তাহলে আমি সত্যিই দুঃখিত। কাউকে আঘাত বা আক্রমন করার উদ্দেশ্য আমার নেই। আমি শুধু কল্পনা করতে চেয়েছি, আজ সব বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে যা চলছে তা যদি এভাবেই চলতে দেয়া হয় তাহলে ৩০ বছর পর অবস্থাটা কি দাঁড়াবে ! হয়ত এধরনের কিছুই ঘটবে না। সব কিছু এত সুন্দর থাকবে যে আমরা অবাক হয়ে যাব। তখন আমরা হয়ত খুব দুঃখ করব যে একসময় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে মারামারি, ভাংচুর, হত্যার মত অবিশ্বাস্য ব্যাপার ঘটত এবং তাতে অনেকে মারা যেতেন ! আমরাতো পড়ালেখা করতে দেশের বাইরে যাবই না উলটো বাইরের উন্নত দেশ থেকে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ছেলেমেয়েরা পড়তে আসবে ! হতে পারেনা এমনটা ? অবশ্যই হতে পারে। কিন্তু যদি আজকের মত ভয়াবহ পরিস্থিতি আগামী ৩০ বছর ধরে চলতে থাকে তাহলে ??? তাহলে ??? )