স্নিগ্ধ সকালের নির্মল কোমল বায়ু'র বেগ খুব;
দিগন্তের পথে পথে-
নিঃস্বতা আর শূন্যতা ঘেরা-
রাত্রির কান্নার সাক্ষ্য দেয়া দুব্বা ঘাসে-
শিশির বিন্দুর মতই দু’চোখে স্বচ্ছ হৃদয়ের প্রতিচ্ছবি;
গোধূলী রাঙা সন্ধ্যার কূলে রঙধনু'র রঙে হয় রঙিন।
মেঘ'হীন পূর্ণিমা-রাতের আকাশে জ্যোৎস্না ছড়ানো-
ঝলমলে ওই চাঁদমুখ দেখবো বলেই-
কাল থেকে মহা-কালের পথ পেরিয়ে পরিশ্রান্ত,
ক্লান্ত পথিকের মতই তোমার উঠোনে- চাতক দুচোখ;
বড্ড কাঙ্খিত দেখবো তোমার সাথে স্বর্ণালী প্রভাত,
দেখবো সুন্দর আলোকোজ্জ্বল নিষ্পাপ পৃথিবী...।
তপ্ত সীসার মতো করবেনা শ্রবনে আঘাত-
কোনো অত্যাচারিত শোষিতের বুকফাটা আর্তনাদ।
বাতাসে ভেসে আসবেনা আর কোন লাশের গন্ধ,
দেখবো না জাতি-বদ এর কোনো উদ্যোত তরোয়াল।
সন্ত্রাসীদের ছোঁড়া বুলেটের শব্দে-
বিদ্যুতের খুঁটি হতে পালিয়ে যাবে না কাক-পক্ষীগুলো,
মাথার উপর কিচিরমিচির কা কা শব্দে জানিয়ে যাবে-
হয়ে গেছে ঠিক বিষাদিতা কাল রাত্রির শেষ।
দেখবো আম-কাঁঠালের বাগানে কাঠবিড়ালির ছোটাছুটি,
লাঙ্গল কাঁধে গরু নিয়ে চলছে কৃষক মাঠের পথ ধরে।
নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বেরিয়ে আসা মুসল্লিদের-
সশ্রদ্ধ সালাম দিয়ে এগিয়ে যাবো দুজন ওই পূবের পথে,
দেখবো ঢেউ খেলে যাওয়া সোনালী ফসলের মাঠ।
ভেসে আসবে কাছে-দূরের বাড়িগুলো থেকে-
সচেতন মা'দের কণ্ঠে সুমিষ্ট শাসনের সুর,
দুষ্টু মিষ্টি ছেলেটিকে দেয়া পড়তে বসার তাগিদ-
'কই'রে ছোটন- উঠ বাবা, হাতমুখ ধুয়ে পড়তে বোস;
উঠ বাবা- জলদি উঠ,
তোকে যে বাবা অনেক বড় হতে হবে,
ভালো করে পড়তে হবে তোকে, মনে রাখিস-
লেখাপড়া করে উজ্জ্বল করতে হবে দেশের মুখ'।
ছবিটি গুগল সার্চ করে পাওয়া, কৃতজ্ঞতা বাংলার রূপ-প্রকৃতি
২৮-০১-২০১৯'ইং, শেরপুর।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:১৫