আমাদের শূন্য মূহুর্তগুলো শব্দের জটে বাঁধা পড়ে গেলে আমরা দিশেহারা হই।অথবা কারণের খুঁজে ধাঁধাঁ লিখি কাগজের প্রান্তরে। কিংবা অনেক সময়ই ভেবে পাইনা জট বাঁধা অক্ষর এভাবে কোথায় হারায়?
আমি নিশ্চিত অব্যক্ত কথাগুলো আরো অনেকেরই ঘোর লাগা মুহুর্তের জন্ম দেয়। তাই একা বসে ভাবিনা। লিখতেও যাইনা। ইদানিং লিখবার চেষ্ঠা বুড়োদের মত নস্টালজিয়ায় ভোগে। খুব বিরক্ত লাগে।লেখিনা।
কাগজ আর কলম সেই কবে হারিয়ে বসেছি। অবশ্য এটা আমার অতিরিক্ত আলসেমীর কারণে।এখন আধুনিক হয়ে গেছি। কী-বোর্ডের কালিহীন অক্ষরে চলে বাক্য বুনার ব্যর্থ প্রয়াস। কোলের ওপর ল্যাপটপ আর মাথায় সূতোহীন চিন্তার স্রোত। কোন ঘোর নেই তাতে।
সেদিন দোকানে ডাকাত পড়লো। মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র দেখে যতখানি ভয় পাবার কথা ততখানি পেলাম না। কী জানি অনুভূতিও হয়তো এখন ভোঁতা হবার পথে।ভাবছি খারাপ হবেনা তাহলে।পৃথিবীকে দেখা যাবে তার মত করে। একবার শুধু চোখে অন্ধকারের মত ঘোর লেগেছিল।
ব্লগে ফেলানীর কথা পড়লাম।তাকিয়ে থাকলাম। ঘৃণা হলো (আবেগের উপস্থিতি), পড়তে পড়তে গলায় গিঁট ঠেলে এলো। ফেসবুকে যারা দেশে আছে তাদের দেয়ালে লিংক সেঁটে এলাম। আমার দায়িত্ব এখানেই শেষ।ও হ্যা, হাত তোলে খোদার কাছে বিচার চেয়েছিলাম বলেও মনে পড়ে।
কোর্সওয়ার্ক জমা দেবার কথা এ মাসের একত্রিশতম দিনে। ফোল্ডার ঘেঁটে দেখি মাত্র চারটা সম্পূর্ণ।এখনো দশটা পথ চেয়ে আছে।
ইদানিং অলস হয়ে গেছি।চরম ভাবে।
গতকাল ব্লগ ভ্রমণে এসে দেখি ৩ বছর ২ সপ্তাহ হয়ে গেছে। নিজেকে এখন বুড়ো ভাবতেই পারি।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ৮:০০