অপেরার বিষয়বস্তু হচ্ছে ধর্ম ও ধর্মপ্রভুদের অত্যাচার ও তা থেকে তৈরী সামাজিক সংঘাত। বিশেষ করে মধ্যযুগে খ্রীষ্টান ধর্মগুরুদের অত্যাচার অবর্ণনীয়। তাকে ভিত্তি করেই এই অপেরার কাহিনীর বিস্তার। শেষে যিশু, মুহম্মদ, বৌদ্ধ ও পোসাইডন, চারজনেরই প্রতিকী মুন্ডিত মস্তক স্টেজে দেখানো হয়। অপেরাটি আগেও দেখানো হয়েছিল, কোন বিক্ষোভের সৃষ্টি না করেই।
জার্মানী সাংস্কৃতিক চত্তরে এই পিছু পদক্ষেপ বেশ নিন্দার মুখোমুখি হয়েছে। রাজনৈতিক অঙ্গনও প্রতিবাদে মুখর। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে অর্জিত সাংস্কৃতিক স্বাধীনতার এই পরাজয় অনুরাগীরা মেনে নিতে পারছেন না। বিশেষ করে মুসলিমদের কাছ থেকে কোন হুমকী আসার আগেই পিছু হটে যাওয়া তাদের কাছে অযৌক্তিক বলে মনে হয়েছে।
বেশ কিছু মুসলিম মহল অপেরা কর্তপক্ষের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। আবার কিছু মহল একে অযৌক্তিক বলেও আখ্যা দিয়েছেন। তুর্কী মুসলিমদের প্রতিনিধি বলেছেন, শিল্পকে রাজনীতির সাথে না জড়িয়ে শিল্প হিসেবেই মুল্যায়ন করা যুক্তিসঙ্গত।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





