*********************
ফরস্টার: আপনি একটি দেশের জন্মের প্রথম সপ্তাহেই কতগুলো জরুরী কাজ সম্পন্ন করতে পেরেছেন। জাতীয় পতাকা ও সঙ্গীত নিয়েও একটি সিদ্ধান্তে পেঁৗছাতে পেরেছেন।
মুজিব: হ্যা। পতাকাটি অনেক আগে থেকেই ব্যাবহার করা হতো। তবে ছোট্ট একটি পরিবর্তন আনতে হয়েছে। আর আমাদের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে যে গানটি নিয়েছি, তা অনেক আগে থেকেই আমাদের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে বিবেচিত হতো। এখন তার একটি অফিসিয়াল স্মীকৃতি দরকার। পতাকায় বাংলাদেশের ম্যাপ ছিল। আর কোন দেশের পতাকাতে এমন কোন ম্যাপ নেই।
ফরস্টার: কেন ?
মুজিব: পৃথিবীর কোন জায়গাতেই এমন কিছু হয়নি। আমরা দেশের মানচিত্র পতাকায় রাখতে চাইনা। আমাদের সিদ্ধান্ত দেশের জনগনও মেনে নিয়েছেন। মানচিত্রটি বাদ দিতে চাই পতাকায়, উদীয়মান সুর্য পতাকায় আগের মতোই থাকবে।
ফরস্টার: জাতীয় সঙ্গীত কার রচনা করা ?
মুজিব: এটা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত পুরোনো একটি গান।
ফরস্টার: এ গানটি কি বাংলাদেশে অনেক বছর ধরে গাওয়া হতো ?
মুজিব: হ্যা, অনেক বছর ধরে। আমার গত সাতই মার্চের সভায় এক মিলিয়ন জনতা 'জয় বাংলা' শ্লোগানে উত্তাল। এরই মঝে তরুনরা যখন এই গানটি গাইল, দশ লাখ উঠে দাড়িয়ে সন্মান জানালো গানটিকে। তখনই এই গানটিকে আমাদের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে ভাবা হয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



