অনেক দিন দেখা নেই। কথাও ঠিক ভাবে হচ্ছে না।মেয়েটির মোবাইল কেড়ে নিয়েছে তারই ভাই। ছেলেটির মেয়েটিকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে। বহু দিনের তৃষ্ণায় অন্তর শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে। নাহ! এভাবে আর নাহ। এবার দেখতেই হবে। মেয়েটিকে না জানিয়েই হুট করেই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যায় ছেলেটি। পথে যেতে যেতে হটাৎ জ্বর এসে যায়। বাসায় পৌঁছিয়েও জানায় না, মেয়েটি খুব টেনশন করবে ভেবে। আসলে মেয়েটি সব কিছুতেই একটু বেশিই টেনশন করে। জ্বরের মাত্রা বাড়তে বাড়তে ১০৪। মেয়েটির মেসেজ আসে মোবাইলে...
মেয়েঃ ঐ কুত্তা
ছেলেঃ কেমন আছিস?
মেয়েঃ ভাল খুব ভাল, তুই কোথায়?
ছেলেঃ আমি বাসায়।
মেয়েঃ কি করিস? শরীর ভাল?
ছেলেঃ হ্যা ভাল। তোর শরীর ভাল?
মেয়েঃ হুম। কবে আসবি? তোকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে রে
ছেলেঃ আমারও তোকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে।
মেয়েঃ ভাল থাকিস, আর তারাতারি বাসায় আয়। আর মেসেজ দিস না ভাইয়া আসছে।
এদিকে ২ দিন পার হয়ে গেছে জ্বর নিয়ে, তবুও জ্বর যেন কমছেই না। ৩য় দিন সকালে মেয়েটি তার চাচার বাসায় আসে। (মেয়েটির চাচার বাসা আর ছেলেটির বাসা কাছাকাছি। আর দুই বাসার সম্পর্কও খুব ভাল। এসেই জানতে পারে ছেলেটি বাসায় আসছে এবং ৩ দিন যাবৎ জ্বর। ১০ মিনিট পরেই চলে আসে ছেলেটিকে দেখতে। ছেলেটি অবাক হয়ে যায়। কোথায় ছেলেটি সারপ্রাইজ দিবে মেয়েটি নিজেই বরং তাকে সারপ্রাইজ দিয়ে বসে আছে।
মেয়েঃ খুব ভাল আছিস তাই না?
ছেলেঃ হে হে খুব ভালই তো আছি। তুই শুধু শুধু চিন্তা করিস নাতো।
মেয়েঃ দেখতেই পারছি কত ভাল আছিস, হারামি থাক ভালই থাক। আমি গেলাম।
ছেলেঃ এই শোন রাগ করিস না, শোন...
মেয়েটি তার চাচার বাসায় চলে যায়। এসেই ২ রাকাত নফল নামাজ পরে ছেলেটির জন্য দুয়া করে(মেয়েটি আগে থেকেই নামাজ পরে) ।
এদিকে রাত থেকেই জ্বর কমতে শুরু করেছে ছেলেটির। ৪র্থ দিন সকালের মাঝেই জ্বর কমে যায়। বিকেলে দুজনে রিক্সা নিয়ে ঘুরে বাসায় আসে।
ছেলেটি বিদায় নিয়ে আবার চলে আসে শহরে, আর মেয়েটি তার নিজের বাসায়। আর সেদিন রাত থেকেই মেয়েটির প্রচন্ড জ্বর। সেও আর জানায় না ছেলেটিকে তার জ্বরের কথা। আর জানানোর কোন সুযোগও ছিল না। মেয়েটি আল্লাহর কাছে দুয়া করেছিল, যেন ছেলেটির জ্বর সেরে যায়। প্রয়োজনে জ্বরটা যেন তার আসে।