somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বৈশাখী কর্মশালা

০৮ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১২:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ফেসবুকে একটা ইভেন্ট ইনভাইটেশন পেলাম, পেটের ধান্দায় ব্যস্ত থাকায়- অংশ নিতে পারছি না, কিন্তু পুরো আয়োজনটা খুব দারুন মনে হওয়ায় এখানে সবার সাথে শেয়ার করছি:
আয়োজনে: চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র
শুরু: ৭ এপ্রিল, মঙ্গলবার, সকাল ৯ টা
শেষ: ১১ এপ্রিল, শনিবার, সন্ধ্যা ৬ টা
স্থান: ডাকসু ক্যাফেটেরিয়া (দ্বিতীয় তলা), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়/ (মধুর ক্যান্টিনের উল্টো দিকে)
মডারেটর : সাখাওয়াৎ হোসেন হাওলাদার।
মোবাইল নং : ০১৯১১-২৫৮১৫৫/ ০১৭১৯-৮১৪১৩১

আলোচক :স্থপতি অধ্যাপক সামসুল ওয়ারেস
রাজেকজ্জামান রতন
স্থপতি মাসরুর মামুন মিথুন
শিল্পী সব্যসাচী হাজরা

নির্দেশক :শিল্পী মোতাসিম বিল্লাহ পিন্টু
খাইরুল আমিন, বি এফ এ
স্থপতি আবু ইফতেখার মুসা

নিবন্ধন ফি: ৩০০ টাকা

তার মানে এর মধ্যেই প্রথমদিনের সেশন শেষ। প্রথমদিনের সেশনের ছবি দেখা যাক:



----------------------
"কর্মশালায় শিল্পের পিছনের চিন্তাটাকেও ধরতে গিয়ে এই মানুষদেরকে অনুরোধ জানানো হয়েছে, বিষয় ধরে বলতে। ওয়ারেস স্যার ছাড়া মিথুন ভাই খুব মজার একটা বিষয়ে- কারুশিল্পের পিছনের চিন্তা, সভ্যদা কম্পোজিশনের বিবর্তন, বিবর্তনের পিছনের উদ্দেশ্য নিয়ে, রাজেকুজ্জামান রতন বলছেন পহেলা বৈশাখের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট নিয়ে। আর খাইরুল ভাই, পিন্টু দা আর মুসার কিছু এক্সপেরিমেন্টাল কাজতো থাকছেই।"


কর্মশালায় কি কি শেখানো হবে? আয়োজকদের বক্তব্য শোনার আগে কর্মশালার পুরো শিডিউলটি এক নজরে দেখা যাক:

৭ এপ্রিল:
সকাল: কাগজের মুখোশের জন্য ডাইস তৈরী, মাধ্যম: মাটি
শেখাবেন: খায়রুল আমিন
বিকাল: কাঁচামাল তৈরী/ ঢোল, ডুগডুগি, খঞ্জনি

৮ এপ্রিল:
সকাল:
পেপার ফোল্ডিং
শেখাবেন: শিল্পী মোতাসিম বিল্লাহ পিন্টু
বিকাল: স্টেজ ডিজাইন
শেখাবেন: স্থপতি মুসা ইফতেখার
লেকচার পর্ব ১: কম্পোজিশনের আজকাল- শিল্পী সব্যসাচী হাজরা

৯ এপ্রিল:
সকাল:
পেপার মেশ মোল্ডিং
শেখাবেন: খায়রুল আমিন
বিকাল:ওয়ার্ক অন পেপার মেশ
শেখাবেন : স্থপতি মুসা ইফতেখার
লেকচার পর্ব ২: বাংলার কারু শিল্প- স্থপতি মাসরুর মামুন মিঠুন

১০ এপ্রিল:
সকাল: রঙ পরিচয়
শেখাবেন: শিল্পী মোতাসিম বিল্লাহ পিন্টু
বিকাল: রঙ নিয়ে হাতে কলমে কাজ, স্টেজ ডিজাইন রিভিউ এবং ব্যবহারিক প্রজেক্ট
শেখাবেন: স্থপতি মুসা ইফতেখার
লেকচার পর্ব ৩: ধর্ম ও সংষ্কৃতি- স্থপতি অধ্যাপক শামসুল ওয়ারেস

১১ এপ্রিল:
সকাল:
প্রতীক, ঘুড়ি
শেখাবেন: খায়রুল আমিন
বিকাল: প্রতীক নিয়ে কাজ, এবং ফাইনাল টাচ
লেকচার পর্ব ৪: নববর্ষ ও বাংলার মানুষ- রাজেকুজ্জামান রতন

=======
বাংলা নববর্ষকে কেন্দ্র করে ব্যতিক্রমী এই আয়োজন সম্পর্কে ফেসবুকের ইভেন্ট ডেসক্রিপশনে যা আছে:
শুভ নববর্ষ।
বাঙালি সমাজে যতো উৎসব আছে তার অধিকাংশই ধর্ম, বর্ণ বা অন্য কোন সীমায় আবদ্ধ। সর্বজনীন উৎসব খুবই অল্প।তার মধ্যে পয়লা বৈশাখ অন্যতম। এদিন বাঙালি তার আপন রূপে সাজে। ধর্ম, বর্ণ বা সম্প্রদায়ের গন্ডি পেরিয়ে বেড়িয়ে পড়ে আপন উৎসের খোঁজে।। বাংলা গান-নাটক-নৃত্য-কবিতার 'অগ্নিস্নানে শুচি' হয়।কবিগুরুর সাথে সুর মিলিয়ে বৎসরের আবর্জনা-'জীর্ণ-পুরাতন'-কে ভাসিয়ে দিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেয়। বাঙলা নববর্ষ বরণের এ চিত্র আমাদের সবারই চির চেনা।
কিন্তু নতুন বছর কি সবার কাছে এক ভাবে ধরা দেয়? স্বীকার করতেই হবে, প্রকট শ্রেণী বৈষম্য সিংহভাগ মানুষের জীবনকে বিবর্ণ করে রেখেছে। নববর্ষের সকাল তাদের কাছে কখনোই রাঙা মনে হয় না। বরং পুরনো বছরের আবর্জনা নতুন বছরে তাদের ওপর যেন আরও ভারী হয়ে চেপে বসে। এখানে প্রায় পুরো বছর ক্ষয়িষ্ণু এই অর্থনৈতিক মানুষকে সমাজবিমুখ করছে, ছড়িয়ে দিচ্ছে ভোগবাদ ও অপসংস্কৃতি। এর দাপটে রবীন্দ্র-নজরুল-অতুল-দ্বিজেন্দ্র-রজনীকান্ত-মুকুন্দ দাস কিংবা লালন-হাসন চাপা পড়ে যায়, কখনো বা বিকৃতির স্বীকার হয়।রাষ্ট্রের প্রশ্রয়ে বেড়ে ওঠা মৌলবাদ-সাম্প্রদায়িকতাও এর চর্চায় বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়।

আমরা আমাদের সেই উত্তরসূরীদের সংগ্রামের ধারার প্রতিনিধি হতে চাই। আমরা জানি, একটা জনগোষ্ঠীর উদ্ভাবনী শক্তি নিহিত থাকে তার বিকাশমান সংস্কৃতির মধ্যে। আবার একটা সংস্কৃতি তার চলার পথে নানা উৎসবের জন্ম দেয়। সে হিসেবে উপযুক্ত আয়োজন ও পৃষ্ঠাপোষাকতা পেলে একটা উৎসবও একটা জনগোষ্ঠীকে জাগিয়ে তুলতে পারে। লড়াই করার শক্তি জোগাতে পারে বিভিন্ন অপশক্তির বিরুদ্ধে।

তাই আমরা আশা করি আমাদের এই আয়োজনও মানুষের সেই শক্তির যোগানে একটা ভূমিকা রাখবে। আপনাদের এই আয়োজনে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানাই।

১২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×