(সিলেট অফিস): বিশ্বনাথে ষাঁড়ের লড়াইকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন মূল্যে ষাঁড়ের লড়াই (বিছাল মাইর)-প্রতিহত করার ঘোষনা দিয়েছেন উপজেলার সর্বস্থরের আলিয়া ও কওমি মাদ্রাসাসহ এলাকার ধর্মপ্রান মুসল্লিরা।
এ নিয়ে যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষের আশংকা দেখা দিয়েছে। আগামী ১১ জানুয়ারী উপজেলার অলংকারী ইউনিয়নের শিমুলতলা গ্রামের উত্তরের মাঠে কতিপয় যুবক ষাঁড়ের লড়াইয়ের ডাক দেয়। এদিকে ওই দিনে একই স্থানে ইসলাম ও সমাজ বিরোধী কার্যকলাপ প্রতিরোধ কমিটি ও সর্বস্থরের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ডাক দিয়েছেন প্রতিবাদ মহাসমাবেশের। মুসল্লিরা ষাড়ের লড়াইয়ের নামে অনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধে ব্যবস্থা নিতে ইতোমধ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য, সিলেটের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বিশ্বনাথ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট পৃথক পৃথক স্মারকলিপি দিয়েছেন। যে কোন মূল্যে ষাঁড়ের লড়াই প্রতিরোধ করার জন্য এরই মধ্যে মুসল্লিরা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দফায় দফায় প্রতিবাদ সমাবেশ ও গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। গত শনিবার বিকেলে উপজেলা সদরে প্রতিরোধ কমিটি ও মুসল্লিয়ানদের উদ্যোগে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদিক্ষণ শেষে বাসিয়া ব্রীজে এসে প্রতিবাদ সভায় মিলিত হয়। প্রবীণ আলেমে দ্বীন মাওলানা কামরুল ইসলাম ছমীর মীরেরচরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জামেয়া মুহাম্মদিয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা ছাদিকুর রহমান শ্রীমঙ্গলী, মুহাদ্দিস আল্লামা আব্দুল হান্নান তাজপুরী, জামেয়া মাদানিয়া বিশ্বনাথের প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দুল হক, জামেয়া মোহাম্মদিয়ার ভাইস-প্রিন্সিপাল মাওলানা নুরুল হক, শিমুলতলা মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দুল হাই, বিশ্বনাথ ডিগ্রী কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান মানিক, কাজী মাওলানা আব্দুল ওয়াদুদ প্রমূখ।
সভায় মুসল্লিরা বলেন,ষাড়ের লড়াইয়ের নামে ইসলাম ও সমাজবিরোধী কর্মকান্ড বন্ধ না হলে প্রয়োজনে ৪০টি মাদরাসার ছাত্র শিক্ষকসহ এলাকার মুসল্লিয়ানদের সাথে নিয়ে সারা বিশ্বনাথকে অচল করে দেওয়া হবে। এর আগে দুপুরে উপজেলার টুকেরকান্দি গ্রামের প্রবীণ মুরব্বী আব্দুল হাকিমের বাড়িতে প্রতিরোধ কমিটির পৃথক এক সভায় আলফু মিয়ার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দুল হক, উপাধ্যক্ষ মাওলানা নুরুল হক, প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দুল হাই, অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান মানিক, কাজী মাওলানা আব্দুল ওয়াদুদ প্রমূখ। সভায় বক্তারা বলেন যে কোন মূল্যে ষাঁড়ের লড়াই প্রতিরোধ করা হবে। ইসলাম ও সমাজ বিরোধী কার্যকলাপ বিশ্বনাথে করতে দেওয়া হবে না। সভায় ১১ জানুয়ারী ষাড়ের লড়াইয়ের স্থানে প্রতিবাদ ও মহাসমাবেশ সফল করার আহবান জানানো হয়।
বিশ্বনাথে ষাঁড়ের লড়াই প্রতিরোধে বিক্ষোভ মিছিল: সংঘর্ষের আশংকা
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।
দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন
মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন
নজরুল পরিবারের প্রশ্ন: উগ্রবাদী হাদির কবর নজরুলের পাশে কেন?

প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে কাজী নজরুল ইসলামের দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে। শনিবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানেই দাফন করা হল ভারতবিদ্বেষী বলে পরিচিত ইনকিলাব মঞ্চের... ...বাকিটুকু পড়ুন
হাদির আসল হত্যাকারি জামাত শিবির কেন আলোচনার বাহিরে?

গত মাসের শেষের দিকে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারওয়ারের ছেলে সালমান, উসমান হাদির সঙ্গে খু*নি ফয়সালের পরিচয় করিয়ে দেন। সেই সময় হাদিকে আশ্বস্ত করা হয়—নির্বাচন পরিচালনা ও ক্যাম্পেইনে তারা... ...বাকিটুকু পড়ুন
দিপুকে হত্যা ও পোড়ানো বনাম তৌহিদী জনতা!

পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড (Pioneer Knitwears (BD) Ltd.) হলো বাদশা গ্রুপের (Badsha Group) একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। বাদশা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান কর্ণধার হলেন জনাব বাদশা মিয়া, যিনি একইসাথে এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।