somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

‌একটা গেছে তো কি হইছে । আরেকটা পাইছি {{ছ্যক খাওয়া টাইপ রুমানটিক গল্প}}

২১ শে জুন, ২০১২ রাত ১১:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তুমি গতকাল ক্লাসে দুষ্টামি করছিলা কেন ? ক্লাসে কান ধরে দাড়িয়ে থাকতে কি তোমার ভাল লাগে ?
## তোমাকে দেখতে খুব মন চাচ্ছিলো । আমি কান ধরেছিলাম তখন তুমি বারবার তাকাচ্ছিলা তখন যে আমার কি ভাল লাগছিলো তা তোমাকে বুঝাতে পারবোনা ।

***আমি দেখেছি তুমি আমার বাসার কলিংবেল টিপেই দৌড় দাও কেন?

## তোমার মুখে কে, ডাক শুনতে আমার খুব ইচ্ছা করছিলো তাই ।

***সেদিন বল মেরে আমাদের জানালার কাচ ভেঙ্গে দিয়েছো কেন?

## জানো? সেদিন না তোমাকে দেখতে খুব মন চাচ্ছিলো । কাচ না ভাঙলে তোমার আম্মু আমাকে গালি দিতে বের হয়ে আসতো না । তুমিও আসতেনা ।আর তোমাকেও দেখা হতনা । ।

***তুমি সানের সাথে মারামারি করছিলা কেন ?
## জানো? সেদিন না সান তোমার সম্পর্কে বাজে কথা বলছিলো । তুমি নাকি তোমার খালাতে ভাইয়ের সাথে......................তাই..আমার সহ্য হয়নি >>>>>

"""কি রে রবি এখনো ঘুমাস নি?"""

আম্মুর ডাকে ঘোর কাটলো ।দেওয়াল ঘড়ির দিকে তাকালাম । দেখলাম ৩টা বাজে । ঘড়ির পাশে টিকটিকি । টিকটিকি কেন এত রাত জেগে থাকবে সেও কি কারো স্বপ্নে বিভোর হয়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছৈ ।টিকটিকি তার লেজ টা ফেলে দৌড় দিয়ে ঘড়ির মধ্যে লুকাল । সে তার লেজের দ্বারা কি আমাকে উপহাস করে গেল । থাক এই চিন্তা বাদ । আবার তোমার কথা চিন্তা করি । সেটাই ভালো । প্যকেটের শেষ সিগারেট টা ধরালাম ।

##জানো ? যেদিন বাসে তোমার উপর হুমড়ি খেয়ে পড়ার পর তুমি আমাকে থাপ্পড় মেরে পুলিসের হাতে তুলে দিয়েছিলে । সেদিন থানা থেকে এসে আমি প্রথম সিগারেট খাই । অনেক চিৎকার করে বলেছিলাম আমি বাসের ভিড়ে তোমার পাসে দাড়িয়েছিলাম যাতে অন্য কেউ তোমাকে ধাক্কা দিতে না পারে । কিন্তু বাস এমন ভাবে ব্রেক করে যে্আমি নিজেকেই কন্ট্রোল করতে পারিনি । সত্যি বলছি আমি তোমার উপর হুমড়ি খেয়ে পড়তে চাইনি । আমার চিৎকার শুনে অনেকে আমাকে সান্তনা দিয়েছে কিন্তু কেউ তোমাকে বলেনি ।

রাত : ৩:৪০ । কারেন্ট গেলো । ভাল্ই হল । অন্ধাকারে আমি তোমার প্রতিচ্ছবি আরো ভালো দেখতে পাই । ওই সময় তোমাকে নিয়ে ভাবতে আরও ভালো লাগে । মশাগুলো অতি আনন্দে রক্ত খাচ্ছে ।আমাকে কষ্টের গান শুনাচ্ছে। আমার রক্ত নিয়ে খেলা করে আমাকে উপহাস করছে ।

আমি জানি তুমি আমাকে ভালবাস আর নাই বাস আমার কষ্টে একটু হলেও কষ্ট পেতে । যেদিন তোমাকে আমি আইসক্রিম দিতে যাই সে দিন তুমি স্যর কে বলেছিলা । স্যার আমাকে যখন মারছিলো তখন তোমার চোখে আমি পানি দেখেছিলাম । জানো সেদিনের মারের জন্য আমি ৪ দিনে জ্বরে ছিলাম । কিন্তু তার পরেও সেটা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে আনন্দের সময় । কেননা পরে আমাকে সরি বলেছিলে । আর তাইতে এখনো স্যরের হাতে আমার বার বার মার খেতে ইচ্ছা হয়। ওই একটা যায়গাতে আমি তোমাকে একটু হলেও খুজেপাই ।

এখন ক্লাসে বা বাইরে দুষ্টামি করলে আর কেউ আমাকে কিছু বলে না। ভাবছো আমি অনেক বড় বখাটে সন্ত্রাসী হয়েছি? । না সবাই আমাকে করুনা করে । সবাই ভাবে তুমি গত বছর চলে যাওয়ার পর আমি পাগল হয়ে গেছি । ওসুধ খাচ্ছি । কিন্তু কেউ বুঝেনা আমি কার জন্য পাগল । জানো আমার না বড্ড কষ্ট হয় । আমি তো কারো করুণা চাইনি আমি তো স্যরের বেতের মাঝে তোমার অস্তিত্ব খুজে পেতে চেয়েছি । কিন্তু অভাগা যে দিকে যায় সাগর শুকিয়ে যায় । আমি কি সত্যি তাই??

আমি তো তোমার বাসায় আবার কলিং বেল টিপে তোমার মুখে কে ডাক শুনতে চাই। জানো । আমি না আমার ফোনে ঠিক তোমার বাসার কলিং বেল এর মত রিং টোন দিয়ে রেখেছি । যদি কোন দিন তুমি কে বলে সামনে এসে দাড়াও । তুমি আসনি আমিও ভুলতে পারিনি । কিন্তু হয়তো আমি আর তোমার ডাক শুনার জন্য কোন দিন অপেক্ষা করবো না আর শুনতেও চাইবো না ।

{{ইস কি গরম। বাইরে গ্রিলে দাড়ালাম। বাইরে রাস্তায় কি সুন্দর করে কত লোক ঘুমাচ্ছে আমার তাদেরই সুখী মনে হল । আমিও তাদের মত নিশ্চিন্তে ঘুমাতে চাই । ২ দিন বাইরে থেকে ছিলাম কিন্তু পারিনি । বলতো তুমি কেন আমার পিছু ছাড়ছো না । আমিতো ঘুমাতে চাই ।}}

ভাবছো আমি ধুকে ধুকে মরে যাচ্ছি । না ।

বললাম না । আমার আব্বু আম্মু সহ সবাই জানে আমি এখন পাগল । কিন্তু একজন মেয়ে ছাড়া । তুমি চলে যাওয়ার পর আমি দিন ৪০ টা সিগারেট খাওয়া শুরু করি । আরও অনেক কিছু । থাক বলবোনা । তুমি শুনলে রাগ করবা । কিন্তু আমি এখন ওসব আর খাইনা । জানো ভালোবাসাই আমাকে ও সব থেকে দুরে রাখছে । মেয়েটির ভালবাসা । ভাবছিলাম তোমাকে তার নাম বলবোনা । থাক বলেই দিই । তুমি তো আর আমার হবে না । সে তোমার বান্ধবী রুমি । অবাক হচ্ছ । সে প্রথমে করুণা করে আমাকে ভাল করতে এগিয়ে এসেছিল কিন্তু তা পরে ভালবাসায় পরিণত হয়। রুমি এখন আমাকে অনেক অনেক ভালবাসে । তার জন্য আমাকে সিগারেট খাওয়াও কমাতে হয়েছে । আর আমি তার সাথে ভালবাসার অভিনয় করি । জানো আমি না অনেক ভালো অভিনেতা হয়েছি । ও কিচ্ছু বুঝতে পারেনা । আর আমিও বুঝতে দিইনা । আমি তো জানি হারানোর বেদনা কত রুক্ষ হয় । আমি চাইনা আমার জন্য কেউ কষ্ট পাক । কিন্তু আমি তো আমার মাঝে তোমার অস্তিত্ব নিয়ে বাচতে চাই । সারা জীবন । বল কি করলে পারবো । আমি যে তোমাকে হারাতে চাইনা । কিন্তু......

একদিন বিকেলে রুমি কি কারণে যেন আমাকে চোখ বন্ধ করতে বলে । আমি লক্ষী ছেলের মত চোখ বন্ধ করি । কিন্তু একি তুমি কোথায় । তোমাকে কেন দেখছিনা ।প্রথম হওয়ার আনন্দে ভরা সেদিনের তোমার হাসি মাখা মুখ কোথায়?
স্যার আমাকে স্যার মারার দিন তোমার সেই মলিন মুখ কোথায় । তোমাকে যেদিন প্রথম দেখি সেদিনের ছবি কই । চোখে শুধু অন্ধকার দেখি । চোখ বন্ধ করলেই ত তোমাকে দেখতে পেতাম । তোমার সেই অস্তিত্ব নিয়েই তো বেচে খাকতে চেয়েছিলাম । বুকের বাম দিকটা ব্যথায় চিনচিন করে উঠে । যেন শূন্যতার হাহাকার । তাহলে কি তুমি হারিয়ে যাচ্ছ ।আমি তো চাই নি ।
ভাবলাম হয়তো কোন একদিন চোখ বন্ধ করলে এই অন্ধকার ছাপিয়ে রুমির হাসি মাখা মুখ তোমার স্থান দখল করবে
{{পাশ থেকে একটি টিকটিকি ঠিকঠিক শব্দ করে যেন আমার ভাবনাকে সমথর্ন করলো ভোর হয়ে আসলো একটু পরে রুমি ফোন করে আমাকে ঘুমাতে বলবে। আজ আর নয়। না আর একটু বলি তোমার সাথে আরও কথা বলতে মন চাচ্ছে}}

সেদিন তার পর আমার কি হয়েছিল জানিনা । শুধু মনে আছে পরের দিন আমি রুমির কোলে মাথা রেখে হাসপাতালৈ শুয়ে ছিলাম ।

একদিন রুমি আমাকে বলেছিলো ''''আমি তো কণার মত সুন্দর না । তার পরেও তুমি কেন আমাকে এত ভালবাস''''
আমি উত্তর দিয়েছিলাম''তুমি সুন্দর তার জন্য আমি তোমাকে যতটুকু ভালবাসি তার চেয়েও বেশি ভালবাসি তুমি আমার জীবনটাকে সুন্দর বানিয়েছো তাই ।'''' সে তখন এমন ভাবে আমার দিকে তাকয়েছিলো যে তাকানোর মাছে আমি তোমার স্বর্গরূপ অস্বিত্ব পুরাপুরি খুজে পেয়েছিলাম ।

{{ তোমাকে লিখা আমার ৩৯ তম চিঠিটা ৯ টুকরো করে ঝুড়িতে ফেললাম । ৯ টুকরো করার কারণ চোখবন্ধ করলে তোমার নয় রকম মুখ আমি দেখতে পেতাম ১.প্রথম দেখা ২. আইসক্রিম খেতে বলার দিন তোমার রাগে ভরা মুখ ৩. কিলিংবেল টিপার ভাইয়ার হাতে মার খাওয়ার সময় তোমার মুখ৪. স্যর যখন আমাকে মারছীলো তখনকার মলিন মুখ ৫.তোমার প্রথম হওয়ার দিন হাসিমাখা মুখ ৬আমি যেদিন ক্লাসে ক্যপ্টেন হই সেদিন তুমি দাড়িয়ে তালি দিচ্ছৈলে ৭. তুমাকে অনেক অনুরোধ করার পর একদিন আমার সাথে ফুচকা খেয়েছিলে ৮.তোমার চলে যাওয়া শুণে আমার পাগলামি দেখতে এসে তোমার হাসি মাখা মুখ ৯.চলে যাওয়ার দিন রাস্তায় দাড়িয়ে গাড়ির মধ্যে তোমার দেখা ।}}

{{ফজরের আযান দিচ্ছে । রুমির ম্যসেজ** জানু ঘুমিয়ে পড় প্লিজ । ১১ টায় ক্লাস । আজও দেরি করে আসলে বকা দিব কিন্তু । আমার সোনাটাকে অনেক বড় হতে হবে }}
ভালবাসা দিয়ে সব অর্জন করা কি সম্ভব । হয়তো সম্ভব । হয়তোবা নয় । অপেক্ষার প্রহর গুণছি ........


সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুন, ২০১২ রাত ১১:২৮
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিনেতা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৫



বলতে, আমি নাকি পাক্কা অভিনেতা ,
অভিনয়ে সেরা,খুব ভালো করবো অভিনয় করলে।
আমিও বলতাম, যেদিন হবো সেদিন তুমি দেখবে তো ?
এক গাল হেসে দিয়ে বলতে, সে সময় হলে দেখা যাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×