অদৃশ্যমান আল্লাহর প্রতি যে ঈমান রাখে
তাকে আমরা আস্তিক বলি।
একজন আস্তিক ঐশ্বরিক গ্রন্থেও বিশ্বাস করে।
মূলত এ বিশ্বাস হচ্ছে এক মহাপরীক্ষা!
কারন, অদৃশ্যের প্রতি বিশ্বাস একটু কঠিনই বটে।
এবিষয়ে প্রবিত্র কুরআনে উল্লেখ রয়েছে।
আল্লাহ বলেছেন যারা অদৃশ্যে বিশ্বাস করে তারা সফলকাম। (কুরআন,২:৪)
দেখুন, একজন আস্তিক কিভাবে সম্মানিত হয়!
একজন ব্যক্তি যখন মুমিন হয়ে কুরআনে বিশ্বাস করল,
সাথেসাথে সে একটি আইডেনটিটি পেয়ে গেল।
শুরুতে যার পরিচয় ছিল কেবলই মানুষ,
ঈমান আনার পর প্রমোশন হয়ে তার পরিচয় হল মুমিন!
কুরআনের ভাষ্যমতে মুমিনরা হচ্ছে আল্লাহর বিশেষ বান্দা,
এখানে একটি কথা উল্লেখ করতে হয়,
যারা মুমিন নয় অর্থাৎ নাস্তিক, তাদেরকেও আল্লাহ তাঁর বান্দাহ বলে পরিচয় দিয়েছেন।
এর কারন ব্যাখ্যা করা আমার পক্ষে একটু কঠিন।
তবে আমার ধারনা মতে আমি বলতে পারি আমরা যখন রূহের জগৎে ছিলাম,
তখন সকলেই আল্লাহকে মনিব বলে স্বীকৃতি দিয়েছিলাম।
কিন্তু তিনি এখন দুনিয়ায় তার পরীক্ষা নিচ্ছেন।
আমরা অনেকে হয়ত এখন অঢেল সম্পত্তির মালিক, কিংবা অভাগ্রস্ত,
কেউবা মহাব্যস্ত কিংবা কর্মহীন। কেউ কেউ আবার মহাজ্ঞানী!
কোন একদিন পৃথিবীতে আমাদের কারোরই পদচিহ্ন পড়েনি,
আবার শীঘ্রই মাটির সঙ্গে বিলিন হয়ে যাবো সবাই!
আমাদের কারো কারোর পৃথিবীতে আগমন নাও হতে পারত!
যাহোক, এবার দেখুন কিভাবে আল্লাহ মুমিনকে সম্মানিত করেছেন?
আল্লাহ বলেছেন তিনি মানুষকে নিজের আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন,
তিনি আদমকে মাটি থেকে সৃষ্টি করার পর তাতে নিজের রুহ প্রেরণ করেছেন।
আল্লাহ বলেছেন তোমরাই সর্বশ্রেষ্ঠ জাতী।
আল্লাহ আদমকে সৃষ্টি করার পর সকলকে আদেশ দিয়েছেন আদমকে সিজদা করার জন্য। এছাড়া মুমিনদের জন্য বেহেশেতের সুসংবাদও দিয়েছেন। দেখুন আদম সন্তান আস্তিকদের কত সম্মান আল্লাহর কাছে!
আবার পক্ষান্তরে আল্লাহ নাস্তিকদেরকে তীরস্কারও করেছেন!
যেমন বলা হয়েছে বাল হুম আদাল (অর্থাৎ ওরা চতূস্পদ জন্তুর চেয়েও অদম!
কোন আয়াতে এটাও বলা হয়েছে ওরা নাদান, কয়টা দিন ওরা খেয়েনিক জন্তু-জানোয়ারের ন্যায়!!
শ্রীঘ্রই আমার কাছে আসতে হবে ওদের!
আরো বলা হয়েছে, তাদের কপালের চুল ধরে টেনে নিয়ে যাওয়া হবে!! ইত্যাদি ইত্যাদি।
আমি একসময় ভাবতাম কেন আল্লাহ নাস্তিকদেরকে এটা বললেন?
পরে অনেক ভেবেচিন্তে একটা উত্তর পেয়েছি।
আল্লাহ যাকে সৃষ্টির সেরা বলে পরিচয় করিয়ে দিলেন সে কিনা নিজেই নিজকে পরিচয় দেয় বানর, হনুমান, কিংবা সিম্পাঞ্জী হিসেবে!
সে বলে বেড়ায়, তারা মানুষ ছিলনা! তাদের পূর্বপূরুষরা বানর-সিম্পাঞ্জী ছিল!!
তারা বলে বেড়ায় কালের বিবর্তনে নাকি পেছনের লেজ খসে পড়ে গেছে!!
দুঃখ লাগে যিনি তার স্রষ্টা তিনি বলছেন তুই সৃষ্টির সেরা, তুই বহু সম্মানিত!
কিন্তু সে ডারউইন নামক এক শয়তানের ফাঁদে পড়ে অপমান বেইজ্জতির স্বীকার হলো!
আর বুঝিয়া না বুঝিয়াও কিছু নাস্তিক ভাই সে দলে ভিড় করিয়াছে।
অন্তরালে শয়তান দাঁত কিলিয়ে হাসে আর বলে আমার গোলামতো হইলি সেসঙ্গে বানর-সিম্পাঞ্জিও হইলি!!
বলি, ভাই আমরা সৃষ্টির সেরা জীব, আমরা বানর না।
আসুন কুরআন পড়ি, এখনো তওবা করি সময় চলে যায়নি।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১২