এক ছিলো গ্রাম, নাম তার সবুজপুর। গ্রামের পরিবেশ ছিলো মনোরম। সেখানকার মানুষগুলো খুব পরিশ্রমী ও সরল। গ্রীষ্মের শুরুতে সবুজপুরের নদীর পানি কমে যায়, তখন কৃষকরা চিন্তিত হয়ে পড়ে। পানি না থাকলে ফসল ফলানো কঠিন হয়ে পড়ে।
সবুজপুরে একটি ছোট্ট বাজার বসে প্রতি বৃহস্পতিবার। বাজারের প্রধান আকর্ষণ ছিলো মাসুদ চাচার মাছ। তাঁর মাছের কদর ছিলো পুরো জেলায়। এক বৃহস্পতিবার সকালে মাসুদ চাচা বাজারে এসে দেখলেন, তাঁর সব মাছ মরে গেছে। নদীর পানি দূষিত হয়ে যাওয়ায় মাছগুলো টিকে থাকতে পারেনি।
মাসুদ চাচা খুব দুঃখ পেলেন। বাজারে আর কোনো ক্রেতা নেই। সবাই গ্রামের সমস্যার কথা জানে। গ্রামবাসীরা সিদ্ধান্ত নিলেন, তারা এই দূষণ বন্ধ করার জন্য কিছু করবেন। তারা গ্রামের সবাই মিলে নদীর পাশে একটি বড় সভা করলেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান। তিনি গ্রামের সমস্যার কথা শুনে প্রতিশ্রুতি দিলেন, দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন। গ্রামের ছেলেমেয়েরা ও গ্রামের বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা সবাই মিলে নদী পরিষ্কার করার কাজ শুরু করলেন।
এই উদ্যোগ দেখে পাশের গ্রামের মানুষও এগিয়ে এলেন। সরকারি কর্মকর্তারাও এসে যোগ দিলেন তাদের সাথে। মাসুদ চাচা আবারও নদীতে মাছ চাষ শুরু করলেন।
এক বছর পর, সবুজপুরের নদী আবারও স্বচ্ছ হয়ে উঠল। মাছের চাষে সফল হলেন মাসুদ চাচা। গ্রামের কৃষকরা আবারও ফসল ফলাতে পারলেন।
সবুজপুর আবার তার আগের মতোই সবুজে ভরে উঠলো। গ্রামের মানুষগুলো আবারও হাসিমুখে দিন কাটাতে লাগলো।