somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মৃত্যুর আগে অন্তুত একবার হইলেও লেখাটি পইড়েন ।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজ ১১-১২-১১ ।রোজ রবিবার । আমার জন্মদিন । মনে একটা সেইরকম ইচ্ছা আছে আজকের দিনে যদি আমারে মৃত্যু হতো । কত ভালোই না হতো। তাহলে আমার জন্ম আর মৃত্যু তারিখ আলাদা করে মনে রাখার প্রয়োজন পড়ত না। তাই কিছু পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি । কিভাবে সহজ উপায়ে মরতে হয় । রাতে শুয়ে শুয়ে চিন্তা করতেছিলাম- সাত তলা বাড়ির উপরের থেইকা লাফ দিব। পরে চিন্তা করলাম--হাত পা ভাইঙ্গা গুড়া হইয়া যাইব । আবার নাও মরতে পারি । আরেকটা চিন্তা করলাম--যদি বাথরুম থেইকা হারপিক খাইয়া শুয়া থাকি তাহলে তো মনে হয় কোন কষ্টই হবে না। কেউ টের না পাইলেই হয়।

এখন মাথায় আসল আমি মৃত্যুর আগে কি করব?সেইরকম চিন্তাভাবনা । প্রথমেই মাথায় আসল--অনেকক্ষণ নামায পড়ব । আল্লাহ'র কাছে মাফ চাইব । এরপরে সিলেট যাইতে মন চাইল ।(কিন্তু কেন যে মনে চাইল এই ব্যাপার টা মাথায় আসল না) ছয় জন বন্ধু মিলে । কেন এরকম ইচ্ছা?কিছুদিন আগে একবার সিলেট গিয়েছিলাম ছয় জন । তখনের যেই আনন্দ টা হয়েছিল তা অন্য কিছুর সাথে তুলনা করার মত না ।


কিছু ঘটনা বলি--আমার একজন বন্ধু অতি তাড়াহুড়া করতে গিয়ে আন্ডারওয়্যার নিতে ভুলে গেছে ।তো সিলেটে গিয়ে আন্ডারওয়্যার কিনবে ।গেছে জিন্দাবাজার । যায়া বলে -ভাই আন্ডারওয়্যার আছে? দোকানদার বলে-না,আন্ডারওয়্যার নাই। অথচ তার পিছনে সারি সারি বক্সার সাজানো । তো আমার বন্ধুটি বলল-ঐযে আপনার পিছনে বক্সগুলা সাজানো,ঐগুলাই তো আণ্ডারওয়্যার । তখন দোকানদার বলল- ''আরে না ইতা আণ্ডারওয়্যার না ,ইতা জাঙ্গিয়া ।'' ;) X((

পরে সে গেল আরেকটা দোকানে ।ঐখানে বলল-ভাই জাঙ্গিয়া দেন তো । এইবার দোকানী বলল,তার কাছে জাঙ্গিয়া নাই ।অথচ তার পিছনেও সারি সারি বক্স ছিল । তো সে বলল যে--ভাই,ঐযে FILa এর বক্স টা দেন । দোকানী বলল- এইটা তো জাঙ্গিয়া না, ইতা প্যান্ট ।X((X((

তবে একটা বন্ধু অইত্যন্ত বিরক্ত করত।সকালে বিকালে খালি ভাত চাইত ।কইত,দোস্ত,ভাত খামু। অনেক কষ্ট কইরা ওরে বুঝায়া রাখা হইত । /:)

একদিন বাজারে যামু ঘুরতে। তখন রিক্সা ডাক দিলাম। ঐ মামা যাবা? উনি আমার দিকে ফিরাও তাকাইল না। পরে যখন বলা হইল-ড্রাইভার সাহেব যাবেন?তখন দেখি কি সুন্দর থাইমা গেল। ।:|

আজিব দুনিয়া। বাইচা থাকতে ইচ্ছা হয় আবার মইরা যাইতেও ইচ্ছা হয়।বন্ধুদের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় কি জানেন? তাদের যত উইকেট ই পড়ুক না কেন আমাদের সাথে রঙ্গ তামাশা বন্ধ হয় না। ও আচ্ছা উইকেট মানে হচ্ছে প্রেমের উইকেট । প্রেম বিষয়টা এখন কেমন জানি লাগে । ব্যাপারটা এমন যে ডাল দিয়া ভাত দিয়া খায়া ফেললাম । পুরা ফালতু একটা টপিক । আলোচনা করতে ইচ্ছা হয় না ।যারা প্রেম করে তাদের সাথে একটা তুলনা দিলেই পার্থক্য হচ্ছে প্রেম করলে হয়তো কিছু সময়ের জন্য অনেক আনন্দ পাওয়া যায় তবে অধিকাংশ সময় ই কষ্ট দেয় । এবং অনেক কষ্ট। আমার ধারণা --গার্লফ্রেন্ড যখন ঝগড়া করে তখন মুঞ্চায় গলা টিপ্পা মাইরা ফালাই আবার যখন আদরের সহিত কথা বলে তখন মুনে হয়,আহ!কত ভালো মেয়ে ।

৩ তারিখে আমার একটা ফ্রেন্ডের জন্মদিন ছিল।তাকে ভুলায়া ভালায়া ব্যাটন রাফ এ নিয়ে গেলাম । ভালোই খাইলাম। আঃ! কি স্বাদ । তো কালকে আমার ফ্রেন্ডটাকে আমি বললাম --''দোস্ত আমার কাছে তো এখন টাকা নাই ,তোগরে মোস্তাকিমে খাওয়ামু নে । '' তো সেই ফ্রেন্ড প্রথমে কিছু বলে না।আরেকজন আইসা আমারে বলল-- 'মোস্তাকিমের বটি কাবাবের সাথে মরিচের গুরা মিশায়া...। বাকিটুকু আর নাইবা কইলাম। :/''

আসলে এই লিখার মুখ্য বিষয় হল--মৃত্যুর আগে একটিবার আপনার সবচেয়ে কাছের বন্ধুদের সাথে একবার কথা বলে দেখেন। এক ঘন্টা কথা বলে দেখেন । এই সুন্দর পৃথিবী আপনার ছাড়তে ইচ্ছা করবে না । আত্নহনন করার চিন্তা মাথায় আনবেন না ।

আমার জন্মদিন টা কিভাবে কাটবে জানিনা । তবে আমার দাদু একটা মারাত্নক কথা বলছে । আমার ছোট ভাই বলতেছে--ভাইয়া,কি খাওয়াবি? তখন দাদু বলে --আরে ওর কি এখন জন্মদিন পালনের বয়স আছে নাকি?বিয়ার বয়স হয়ে গেছে । :#> (সুপাত্রী আছে নাকি?:P)
৩৬টি মন্তব্য ৩৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×