somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মিথিলা এবং অশ্লীলতা । ১৮- দের না ঢুকাই ভালো ।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

void(1);

গল্পে অনাকাঙ্খিত লিখা থাকতে পারে,নিজ দায়িত্বে ঢুকুন ।

-এগুলা কি আনছস ? যা ভালো কিছু ধইরা নিয়া আয়

ওস্তাদ এর থেকে ভালো আর নাই। আমি আর কালা সারা দিন খুইজা এই দুইটারে পাইছি ।

-তাইলে কি এগোরে দিয়া পার্টি করতে হইব ?

-ওস্তাদ আর তো কিছু করার নাই ।

-হুম,এদের বুঝাইছস কি করতে হইব ?

-জ্বি ।

-এইবার তোরা যা , ওয়াইনের বোতল টা দিয়া যাইস ।

আর মাইয়া দুইটারে দেশি খাওয়াইয়া রেডি হইয়া থাকতে কইস ।(এইভাবে পার্টি করে রাত কাটায় হাসান)

২ মাস পরঃ
সকাল বেলা মিথিলা বের হয় ভার্সিটি যাবে বলে । মন টা খারাপ, গতকাল ই রিহ্যাব থেকে ফেরত এসেছে। বয়ফ্রেন্ড হাসানের সাথে ব্রেকআপ হয়েছে,ভার্সিটির ক্লাস করতে ইচ্ছে করছিল না , কি করবে ? মার বকুনি খেয়ে বের হল । হাসান অনেক ভালো ছিল,ঠিকমত ওর খোজ খবর নিত ,হঠাত করে কি যেন হয়,ওর সঙ্গ আর নাকি ভালো লাগে না তার । মিথিলা অগত্যা রাগ করে রিলেশন ব্রেক আপ করে ফেলে। এখনো ওর প্রচন্ড মন খারাপ । হাসানের সাথে প্রথম দিনের দেখার কথা মনে হচ্ছিল ,গাড়িতে যেতে যেতে মনে করতে থাকে পুরনো দিনের কথা--

-এই মিথিলা,তুই যাবি না? আজকে তোর ভয়েস ছাড়া গান রেকর্ড করা যাবে না । আর রেকর্ড না হইলে ওই শালারে তো চিনস ই ।তোর জান কবয কইরা ফালাইব ।

-নারে,ভাল্লাগতেছেনা,এখানে কিছুক্ষণ বসে থাকি,তাই বেশ । তোরা যা ।আমি আসছি ।

মিথিলা অনেক চিন্তা করে দেখে যে তার এই ব্যান্ডের কেউ ই ভা্লো না ,সবাই তাকে ইউজ করে ছেড়ে দিয়েছে । তার সতীত্ব না থাকলেও স্বচ্ছ পানিতে সাতার কাটার ইচ্ছে এখনো আছে । যাকে বিশ্বাস করে তার সবচেয়ে দামি জিনিস আমানত দেয় সেই খিয়ানত করে তাকে ছেড়ে চলে যায় । সে এখন একা,বড় একা।

হুদা নামে তার একজন ব্যান্ড মেম্বার ছিল । ঐ কুত্তার বাচ্চা এক নাইট ক্লাবে নিয়ে যায় ওকে । বলে যে ওই ক্লাবের মালিক তার এক বান্ধবী । মিথিলাকে নিয়ে হুদা মিলির সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় । মিথিলার মনে হল,মিলি তার থেকে কম সুন্দরী নয়।ডানা কাটা পরীর মত ।শাড়ি-ব্লাউজ যেভাবে পড়েছে,তাতে করে সবাই তার দিকে লোলুপ দৃষ্টীতে তাকাচ্ছে।সেদিকে মিলির কোন খেয়াল নেই । সবাইকে নিজের উদভ্রান্ত যৌবন দেখিয়ে বাড়ানোই যেন তার প্রধান কাজ । পাতলা ফিনফিনে জর্জেটের শাড়ি পরনে,গায়ে তিন ইঞ্চি বহরের স্যান্ডো ব্লাউজ । ফর্সা ধবধবে প্রায় গোটা পিঠটা দেখা যাচ্ছে । মাঝে মাঝে শাড়িটা খসে পড়ে গেলে সেটাকে সময় নিয়ে ধীরে সুস্থে যথাস্থানে রাখছে ।যেন তা্র যৌবন দেখানোর জন্যই এই ক্লাব কিনা ।

হঠাৎ করে গোটা রুমটা কুয়াশার মত আচ্ছন্ন হয়ে গেল। হুদা তখন মিথিলার পিঠে হাত রাখল । মিথিলা এক থাপ্পড় দিয়ে হুদা কে বলল-তোর নামটা হুদা না হয়ে বেহুদা হইলে বহুত ভালো হইত । ক্যারেক্টারলেস জানোয়ার ।

গাড়ির হর্ণের আওয়াজে ওর কল্পনায় ছেদ পড়ল । জ্যাম ।আজকে ভার্সিটিতে যেতে পারবে না,গেলেও এক ক্লাস তো মিস ।

হাসানের সাথে পরিচয় হবার পর মিথিলা একবার হাসানের জন্য ফুল কিনে নিয়ে যায় , ভার্সিটিতে সবার সামনে ফুল নেয় হাসান। বাসায় যাওয়ার সময় মা সন্দেহ করবে বলে হাসান বাসার সামনের ডাস্টবিনে সবকয়টা ফুল ফেলে দেয় । সে মিথিলাকে ভালোবাসে না,আর সবার মতই দেহ ভোগ ছাড়া আর কিছুই নয় ।

হাসান মিথিলাকে নিয়ে নাইট ক্লাবে যায় । গিয়ে পুরা পিনিক নিয়া বাড়ি ফিরে । কার হাত কার উপর ,আর কে গায়ে হাত দিল তা আর তখন খেয়াল করে না মিথিলা।আধুনিকা ।

হাসান তার কর্মোদ্ধারের জন্য মিথিলাকে নিয়ে তার ফ্ল্যাটে যায় । আগে থেকেই সব ব্যবস্থা করা ছিল । মিথিলাকে বলে তুমি রেস্ট নাও,আমি আসছি । মিথিলা চিন্তা করেছিল হাসান বুঝি তার মার সাথে পরিচয় করিয়ে দিবে । কিন্তু তখন পুরো বাসা খালি ছিল । মিথিলা র মনে আতঙ্ক ভর করেছে ততক্ষণে । হাসান ফিরে এলে মিথিলা তাকে বাসায় নামিয়ে দিয়ে আসার অনুরোধ করে । হাসান তখন গাজার পিনিকে ছিল । মিথিলা বুঝতে পেরে ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেস্টা করে । প্রথমে নেশাগ্রস্থ হাসান বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে ,পরে আর পারে না । মিথিলা হাসানকে ফুলদানি দিয়ে বাড়ি দেয় নিজের ইজ্জত বাচাতে । মিথিলা জানে না ও এরকম কেন করেছে,ওর সতীত্ব তো আগে থেকেই নেই,তাহলে হাসান কে এভাবে রক্তলীলায় ভাসিয়ে আসল কেন?

ব্রেক আপ হওয়ার পর আজ ২ মাস । নতুন বছরে মিথিলা সব স্নাফিং ছেড়ে দিয়েছে । আজ সে মুক্ত । কিন্তু নিজের কাছে পরাজিত । হারের ভয় আর জিতার আশা -এই দুইয়ের মাঝে মিথিলা কখনোই নিজেকে রাখতে চায় নাই । হয়,হেরে গিয়ে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছে নাহলে জিতে এসে করেছে নিজেকে সমাজের কাছে ছোট (কোন মেয়েকে একটা ছেলের বাসা থেকে দৌড়ে বেড়িয়ে যেতে দেখলে মেয়েটাই ছোট হয় )।আমাদের সমাজ টাই এইরকম । ধিক্কার । আধুনিকতার নামে মানুষ হয়ে যায় পশু ।পশুরও তখন হয়তো লজ্জা লাগে ।

বরাবরের মতো -কারো যদি খারাপ লাগে তাহলে ভুল ধরিয়ে দিবেন । বড়রা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন ।আমার পোস্ট তো আর কেউ প্রিয়তে নিবেন না , তাই রাগ কইরা রম্য লিখ ছাইড়া দিছি । ;) রম্য ছাড়া কখনো কিছু না লিখলেও হঠাৎ সমাজ ব্যবস্থার নিকৃষ্ট আধুনিকায়ন নিয়ে লিখতে ইচ্ছা হল। তাই লিখলাম । আশা করি ভালো লাগবে ।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:০২
২৯টি মন্তব্য ৩০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিনেতা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৫



বলতে, আমি নাকি পাক্কা অভিনেতা ,
অভিনয়ে সেরা,খুব ভালো করবো অভিনয় করলে।
আমিও বলতাম, যেদিন হবো সেদিন তুমি দেখবে তো ?
এক গাল হেসে দিয়ে বলতে, সে সময় হলে দেখা যাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×