সত্য ভাষণ আর নিন্দার বচনের পার্থক্যটুকু বুঝতে হবে। অপ্রিয় সত্য কথা সবাইকে বলা যায়না। কিন্তু যাকে বলা হয় তাকে নিতান্ত আপন জেনেই বলা হয়। তার মঙ্গলের জন্যই বলা হয়। তো সেই সত্য ভাষণকে নিন্দা মনে করে প্রিয়জনকে যদি দুরে ঠেলে দেন, সে দায় আপনারই। আমি যাকে ভালোবাসতে না পারি তার ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করিনা। যদিও ভালোবাসার পাত্র নির্বাচন সব সময় সঠিক হয়না। যেমন, আপনি। সত্য সইতে পারেন না, অথচ ঘরের দরজায় ঝুলিয়ে রেখেছেন সত্য প্রকাশের সাইনবোর্ড। মানুষের কথায় আর কাজে মিল না পেলেও আমার বিরক্তি ধরে। মুখে যা বলেন তা যদি করতেই না পারেন, তো বলেন কোন উদ্দেশ্যে?
আমি নিজেকে নির্ভুল মনে করিনা। আমার বিশ্বাস কোন মানুষই শতভাগ নির্ভূল নয়। তাই মানুষকে ক্ষমা করতে জানতে হয়। আমি কারো কাছে ক্ষমা পাই বা না পাই, সহজেই যে কাউকে ক্ষমা করতে জানি। মানুষকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হইবেই। ঘরে-বাইরে সর্বত্রই মানুষকে সমালোচনার পাত্র হইতে হয়। সমালোচনা সইতে না জানলে তো মানব সমাজে বাস করা যাবেনা। জঙ্গলে চলে যেতে হবে।
যাহোক আপনার এহেন আচরণে আমি বিস্মিত! আপনার এমন আচরণের কোন হেতু খুজে পাইনা। আপনার এতটা ঘনিষ্ঠ হইতে যাওয়াটাই কি আমার ভুল ছিল? নাকি নিজেকে এতটা প্রকাশ অনুচিত ছিল? অনেক ভেবেছি, আর ভাবতেও চাইনা। আপনার মঙ্গল হোক, এই কামনাই করি। ভালো থাকুন নিরন্তর।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৮:৪৬