somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সৌদি কল্লাকাটা - দায়ী আওয়ামীলীগ দূতিয়ালী - তাই প্রতিবাদকারীরা নিরব

১৭ ই অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ২:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আগের পোষ্ট লিখেছিলাম আলু পোড়া খেতে কত মজা তাই নিয়ে। সৌদি সরকার কল্লা কাটলো আর দোষ হলো ইসলামের। ইসলাম মানে বর্বরতা, ইসলাম মানে কল্লা কাটা আরো কত কি! যস্মিন দেশে যদাচার। বাংলাদেশে আমরা দেই রশিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ফাঁসী, আমেরিকা দেয় ইলেকট্রিক শক অথবা পয়জন সৌদিরা কাটে কল্লা। এগুলো অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান।অপরাধ ছাড়াও সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান আমরা বিভিন্ন দেশে দেখতে পাই। যেমন ধরুন, ৭১ এ পাকি আর্মিরা যা করেছে, আমিনবাজার হত্যাকান্ড, ইসরাইল কতৃক ফিলিস্তিনে যা হচ্ছে, আমেরিকা, ফ্রান্স, বৃটেন এদের কথা বাদ ই দিলাম , এদের কাছেতো মানুষ মারার সার্টিফিকেটই আছ। যেকোন দেশে যেকোন সময় এরা দিনে হাজার মানুষ ও মেরে ফেলার অধিকার রাখে। এছাড়া আছে বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠী এরাও এদের ইচ্ছানুযায়ী কেবল নিরপরাধ মানুষই বেছে বেছে মারে। ফিরে আসি কল্লাকাটা প্রসংগে।
একজন মানুষ খুনের বদলে ৮ জনকে শিরোচ্ছেদ কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যায়না। সঠিক বিচার হলে কখনই শাস্তিটা এমন হতে পারেনা। এমনকি আমি এখনও সন্দিহান তারা আসলেই প্রকৃত অপরাধী ছিলো কিনা। তারা তো নিজেদেরকে ডিফেন্ড ই করেনি (কতটা অসহায় ছিলো তারা!) সাদাচোখে আমরা যেটা দেখতে পেয়েছি সেটা হলো অপরাধ সংঘটিত হয়েছে ২০০৭ সালে। তখন থেকেই বিচারকার্য শুরু হয়ছে। অপরাধীরা শাস্তি পেয়েছে ২০১১ সালে। তার মানে মাঝখানে ৪ টি বছর পার হয়েছে। এবং আমরা জানতে পেরেছি শিরোচ্ছেদ কার্যকর হবার পর। তাও ভালো যে আ্যমেনেস্টি বলে কিছু একটা ছিলো। নাহলে আমাদের সরকার ঘটনাটা বেমালুম চেপে যেত। সৌদিতে সব বিচারকার্য চলে আরবীতে। অপরাধীর দায়িত্ব দোভাষী এবং আইনজীবি যোগাড় করে নিজেকে ডিফেন্ড করা। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে অপরাধীরা ছিলো গরীব এবং দোভাষীতো দুরে থাক তাদের কোন আইনজীবিও ছিলোনা। আর আমাদের অক্ষম সৌদি রাষ্ট্রদূত ব্যস্ত ছিলেন আরাম আয়েশে (আমার জানা নাই তিনি ওখানে কি করেন)।

Most of the defendants have no defense lawyer, have insufficient hold of the Arabic language to follow proceedings and in many cases are not informed of the progress of legal proceedings against them. They have no access to influential figures or money, both of which might have secured them pardons. Saudi applies the death penalty for a wide range of offences, the Amnesty International said.

টেলিগ্রাফের কলাম

আমার মনে ঘটনাটার যে চিত্র দাড়ায় তা এরকম:
৮ বাংলাদেশির বিচার হচ্ছে আরবীতে । তারা তার আগামাথা কিছুই বোঝেনা।হয়তো কোনভাবে তাদের আত্মীয়দের কাছে খবর গিয়েছে। দোভাষী নিয়োগ দিতে হবে। আইনজীবি যোগাড় করতে হবে। তাহলে তারা নির্দোষ প্রমানিত হবে (নিশ্চয়ই আটজন ই খুনি না। আটজন ডাকাত হতে পারে কিন্তু একজনের খুনি আটজন হতে পারেনা)। তার আত্মীয়রা দৌড়িয়েছে সরকারের কাছে।বাংলাদেশ তখন উত্তাল। দুই দেশদরদী নেত্রী তখন জেলে। কে শোনে কার কথা! হয়তো সৌদিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে ঘটনার রিপোর্ট এসেছে (অবশ্যই এসেছে) তারা তেমন পাত্তা দেয়নি আউল ফাউল ঘটনা ভেবে। হয়তো তারা ভেবেছে আছি মাত্র কয়দিন, আগে লুটেপুটে খেয়ে নিই পরে হজম করা যাবে। ভিকটিমরা আশায় আশায় দিন গুনেছে কবে নির্বাচিত সরকার আসবে। তখন হয়তো তাদের কথা কেউ শুনবে। নির্বাচিত সরকারও এসেছে।সরকার প্রধান সৌদি বাদশার সাথে প্রথমবারের মতো সাক্ষাতে গদগদ হয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেই গর্বে গর্ভবতী (রূপক) হয়েছেন। কিন্তু হায়! আট বাংলাদেশীর আর্তনাদ কেউ শোনেনি। নিয়োগ হয়নি কোন দোভাষীর ,নিয়োগ হয়নি কোন আইনজীবির। ব্লাড মানি তো বহুদূরের কথা। আদালত আরবীতে তাদেরকে হয়তো বলেছে

"তোমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে খুনের , এর বিরুদ্ধে তোমাদের কিছু বলার থাকলে বলো। অভিযুক্ত নিরব থেকেছে। আদলত বলেছে তোমাদের নিরবতাকে সম্মতি হিসাবে ধরে নেয়া হবে। অভিযুক্ত নিরব থেকেছে কারন তারা বিচারকের কথার আগামাথা কিছুই বোঝেনা। আদালত হয়তো অনেকবার মূলতবী হয়েছে এই চার বছরে। কিন্তু নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আমাদের মোটা বেতনের রাষ্ট্রদূত কোন আপিল করার সময় পাননি। হায়রে মানবতা!!!"

তারেক, কোকো, মামুন কত শত কোটি টাকা মেরে দিলো , আমার আবুল অল্প কয়দিনে শত কোটি টাকা মেরে দিলো, দরবেশরা মিলে কত হাজার কোটি টাকা পাচার করে দিলো দেশের রিজার্ভ খালি করে দিয়ে..কিন্তু হায় এই আট হতভাগার ব্লাড মানি দেওয়ার সামর্থ কারো নাই। আমাদের গরীব জনগনকে অন্তত এক মাস আগে তোর জানতে দিতি। আমরাই তুলে দিতাম ব্লাড মানি।

পররাষ্ট্র সচীব বলে অযৌক্তিক কিছু হয়নি (গালাগালি)

দেখুন কত অসহায় বাংলাদেশিরা

সৌদি আরব -- প্রসন্গ কল্লা কাটা এবং আলুপোড়া খাওয়া
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ২:১৫
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত যেসব বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ পাওয়া গেছে…

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:০৭




মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত যেসব বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ পাওয়া গেছে…
১. প্রথমে বলেছেন মৃতদের পেটে কাটাছেড়ার ডাহা মিথ্যা। পরে স্বীকার করেছেন দাগ থাকে।
২. আশ্রমে বৃদ্ধদের চিকিৎসা দেয়া হয় না। কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সা.) পক্ষ নিলে আল্লাহ হেদায়াত প্রদান করেন

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৪২



সূরা: ৩৯ যুমার, ২৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৩। আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম হাদিস, যা সুসমঞ্জস্য, পুন: পুন: আবৃত। এতে যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের শরির রোমাঞ্চিত হয়।অত:পর তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগটা তো ছ্যাড়াব্যাড়া হয়ে গেলো :(

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৫৭



আমি আমার ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে লেখালেখির মাধ্যমে। ব্লগটির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কারণ প্রথম আলো ব্লগ আমায় লেখালেখিতে মনোযোগী হতে শিখিয়েছে । সে এক যুগ আগের কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

লুঙ্গিসুট

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



ছোটবেলায় হরেক রঙের খেলা খেলেছি। লাটিম,চেঙ্গু পান্টি, ঘুড়ি,মার্বেল,আরো কত কি। আমার মতো আপনারাও খেলেছেন এগুলো।রোদ ঝড় বৃষ্টি কোনো বাধাই মানতাম না। আগে খেলা তারপর সব কিছু।
ছোটবেলায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

লিখেছেন নতুন নকিব, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:২৫

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

ছবি কৃতজ্ঞতা: অন্তর্জাল।

একবার শাইখুল হাদিস মুফতি তাকি উসমানী দামাত বারাকাতুহুম সাহেবকে জিজ্ঞেস করা হল, জীবনের সারকথা কী? উত্তরে তিনি এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×