
কংক্রিটের ভেতর তৃষ্ণাত্ব সভ্যতা ,
আলো অন্যকোন নামে এখানে,
বাতাসের যে মায়াবী গন্ধ হাত ছুঁয়ে গেছে সেই ছোট্টবেলায়
সেই হাতে এখন অচেনা প্রেমিকার স্পর্শ ।
ভেতর জেগে আছে শ্যাওলাভরা মনে
গলিত সমাজের স্পর্শের হাত ছুঁয়ে ,
সেখানে সত্যিকারের ব্যাকুলতা
কিছুক্ষণের জন্যে মানুষ হয়ে উঠে ।
কত উত্তর পুরুষ হেঁটে গেছে
রক্তের লিপ্সায় সমাজকে বদলে দেবে এই কথা বলে ,
সেখানে ঘুণপোকা ধরেছে
মরিচা ধরেছে লৌহের বেড়িতে ।
কত অনুসন্ধানী চোখে এপোড় ওপোড় হয়েছে হৃদয়
তবুও ঠিকরে বেরোয়নি কান্না ,
শিকড় উপড়ে গেছে সভ্যতার হাসি দিয়ে
সমুজ্জ্বল সকাল দেখা হয়নি এরপর থেকে ।
পাথর-নদী এক হতে পারেনি
মুখমণ্ডল ভুলে গেছে মুখের অবয়ব ,
স্পন্দিত স্বর্গ ছুঁয়ে এসেছিল বৃষ্টি হয়ে
রোদ গ্রাস করে নিয়েছিল সেই আনন্দের উচ্ছল্য।
চোখে চোখ রেখে কথা বলা ছিল অনেক
তাতে আপন হতে চেয়েছিল হৃদ ,
তালুতে বন্দী করা ছিল ভালোবাসা
সেখানে স্পন্দিত ছিল স্বর্গের প্রেম ।
তবুও আমি মানুষ হতে পারিনি
বুভুক্ষু থেকেছে আমার মন ,
স্বর্গ আমি ছুঁতে পারেনি
স্পন্দিত স্বর্গের খোঁজে আমি মরেছি ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


