somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভালবাসার ধ্রুবতারা

২৪ শে জুন, ২০০৯ রাত ১:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনেক দিন ধরে মনটা খুব একটা ভাল না, কেমন জানি নিজেকে পৃথিবীর মুল্যহীন একটা প্রানীর মত মনে হয়।আজ জুনের ২৩ তারিখ, রাত ১০.০৫ বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় চেয়ার নিয়ে ছাদে বসে ভাবছি, অনেক দিন কিছু লেখা হয় না। কিছু একটা লেখার বাসনা নিয়ে আমার আজকের এই লেখা। ছাদের কার্নিশে মাথা রেখে কিছুক্ষন এলোমেলো ভাবনা, কিছুক্ষন বোকার মত আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকা। আকশে চাঁদ ছিল না, কিন্তু চাঁদনী রাতের মত আলো ছিল আমার চারপাশে। তাই অনেক্ষন ধরে ভাবতে থাকলাম এত আলো আসলো কোথা থেকে? ভাল করে আকাশ দেখলাম, না কোন চাঁদতো নাই, একটা তাঁরাও খুঁজে পেলাম না। আনমনে ভাবছি ... অনেক্ষন ধরে খুঁজে যখন কোনো চাঁদ বা তাঁরাকেও পেলাম না তখন হঠাৎ করে স্মৃতির আকাশ হাতরে পেলাম আমার আকাশের একটা দুঃখ তারা (আমি অবশ্য ধ্রুবতারা বলতেই ভালবাসি)। আজ থেকে প্রায় ১২ বছর আগে আমার মনের আকাশে ছোট একটা তারা ছিল, নাম দিয়েছিলাম ধ্রুবতারা। রাতের আকাশের তারা যেমন বেশিক্ষন থাকে না তেমনি আমার আকাশে ধ্রুবতারাও বেশিদিন আমার ধ্রুবতারা হিসাবে ছিল না। মাস তিনেক ধরে আমার আকশে সে প্রতিদিন আলো দিত। আজও আমি ভুলতে পারি না ক্ষনিকের জন্য জলে ওঠা আমার মনের আকাশের ধ্রুবতারার কথা। সেই সময়টা খুব ভাল ছিল না। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ভাবতাম আজকে ওর সামনে কিভাবে যাব, কেমন করে ওকে বুঝাব যে ও আমার মনের আকাশের ধ্রুবতারা, ভাবতাম ও কি আমার অব্যক্ত ভালবাসার কথা বুঝতে পারবে! অনেক আশা নিয়ে, বুকে অনেক সাহস নিয়ে আমি ওর সামনে যেতাম। কিন্তু কি অবাককান্ড! আমি যখন ওর সামনে হাজির হতাম তখন আমার মুখের কথা হারিয়ে যেত, লজ্জায় আমি মাথা তুলে ওর সামনে দাঁড়াতে পারতাম না। কিন্তু নিয়তির কি নির্মম পরিহাস, সে একটি বারের জন্যও বুঝল না যে তার মনের আকশে সুখতারা উদিয়মান। সন্ধায় যখন বাসায় ফিরতাম, মনে থাকত একটি দিনের কষ্ট। তারপর নির্ঘুম সারা রাত জেগে কত ভাবনা আমার মনে ঘুরপাক খেত। ভাবতাম পরের দিন তাকে কিভাবে বুঝানো যায়। এভাবে দিনরাত শুধু নতুন নতুন বীজ বোনা আর মুকুল হওয়ার আগেই অংকুরে বিনষ্ট হওয়া। এখন মনে হয় বীজ বপন করা হয়েছিল ঠিকই কিন্তু হয়ত পরিচর্যার অভাবে সেটা আর কুঁড়িতে পরিনত হচ্ছিল না। এভাবে দিন চলছিল। একদিন খবর পেলাম ধ্রুবতারা আমার আকাশ থেকে চলে যাচ্ছে অন্য আকাশে। আমি পাগলের মত ছুটে গেলাম আমার ধ্রুবতারার কাছে। সেদিন আর আমার কোন ভয় ছিল না, আমি বলে ফেললাম ওকে আমার সুখতারা হওয়ার কথা। আমার চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ছিল। আমি নিচের দিকে তাকিয়েছিলাম। সে আমার চোখের এক ফোঁটা জল হাতে নিয়ে বলল আমি আমার সুখতারাকে তো পেলাম না কিন্তু আজ থেকে এই এক ফোঁটা জল দিয়ে আমি ভালবাসার সুমুদ্র বানিয়ে প্রতিদিন স্নান করব। এটাই হবে আমার প্রতিদিনের ভালবাসায় সিক্ত হাওয়া। আমি এতদিন এই একফোঁটা জলের অপেক্ষায় ছিলাম। আজ সেটা পেয়েছিও বটে, কিন্তু সেটা সুখের না, দুঃখের জল। এই জল দিয়ে দুঃখের সুমুদ্র বানিয়ে স্নান করা যায় না কিন্তু ঝাঁপ দেয়া যায়। আমি জিঙাসা, আর কিছু বলবে না? সে আমার চোখের দিকে তাকিয়ে শুধু বলল, অনেক দেরি হয়ে গেছে যে! আমি তাকে হারিয়ে ফেললাম চিরদিনের জন্য আমার মনের আকাশ থেকে ।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুন, ২০০৯ রাত ১১:৫১
৬টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×