আহ্লাদি বিবি-বাচ্চা নিয়ে বেড়াতে যাওয়া মানে ফি-বছর একবার কক্সবাজার ট্রিপ!....আর তাদের বেড়ানোর আনন্দই হচ্ছে ইচ্ছেমত শপিং, মজার মজার খাবার আর ছবি তোলা !
আমার হাতে নিজের ডিজিটাল ক্যামেরা থাকতেও বীচের এক নাছোরবান্দা ফটোগ্রাফার ক্যামনে ক্যামনে পাম-পট্টি দিয়ে আমার স্ত্রীকে রাজী করিয়ে ফেল্লো...'' ম্যাডাম, ভিউ-কার্ডের মত ছবি হবে, আপনার আর স্যারের কয়েকটা সুন্দর ছবি তুলে দেই!'' ভিউ কার্ডে আমার আকর্ষণ নাই, তবে ভাবলাম ফ্যামিলির গ্রুপ ছবি তুলতে আবার কাকে না কাকে রিকোয়েস্ট করবো!... ব্যাটা ফটোগ্রফারই তুলুক কয়েকটা ছবি! ব্যাস শুরু হয়ে গেল...টপাটপ ছবি তোলা! একই জায়গায়, একই পোজে ছবির পর ছবি.....ফটোগ্রাফার ব্যাটা আস্বস্ত করলো....ল্যাপটপে ছবি দেখে শুধু ম্যাডামের পছন্দমত ছবিগুলো প্রিন্টের অর্ডার দিলেই চলবে....সুতরাং ক্লিক করতে কোন অসুবিধা নেই! ছবি তুলতে যেন কোন পয়সা-ই লাগেনা!
বীচে স্নান শেষে ফেরার সময় বল্লাম '' কি হে...., কতগুলি ছবি তুললেন?''.... ফটোগ্রাফার বিগলিত হাসি হেসে বল্লো..'' বেশিনা স্যার, একশত বিয়াল্লিশ-টা!'' আমার স্ত্রী জানান দিলেন, ''এখন এই অবস্থায় এত ছবি দেখে সিলেক্ট করা সম্ভব না....বরং সব ছবি প্রিন্ট করুক!'' ফটোগ্রাফার সাহেব-তো এমনটই চান....আকর্ণ বিস্তৃত হাসি দিয়ে বল্লো..'' অসুবিধা নাই ম্যাডাম, বিকেলে সানসেটের ছবি তুলে রাত আটটার মধ্যে সব ছবি প্রিন্ট করে রুমে দিয়ে আসবো।'' রাতে হোটেল রুমে ছবি নিয়ে এলো...., সকাল আর বিকালের সব মিলিয়ে দুইশত ছত্রিশখানা ছবি! সাথে সিডি-তে সফট্ কপি...তার জন্য এডিশনাল চার্জ!
আপনারাও দেখুন সেই নাছোরবান্দা ফটোগ্রাফারের তোলা ছবিগুলো থেকে গোটা কতক ফটুক...
এক ফ্রেমে পুরো ফ্যামিলি
''ম্যাডাম...আরও একটু ক্লোজ.....হ্যা এবার ঠিক আছে''...ক্লিক!
মোরা আর জনমে হংস মিথুন হবো.......
শী
এন ইভিনিং ইন কক্সবাজার!
সেদিন দু'জনে.... দুলেছিনু বীচে....
সাগরের তীর থেকে...মিস্টি কিছু হাওয়া এনে...
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:২৬