দেখা হলে প্রথমেই জিজ্ঞেস করতো, উস্তাদ, আছেন কিরাম?!
আমি হাসতাম।
তারে দেখতাম। তার ছিলো একেকসময় একেক ভাব, বোঝার চেষ্টা করতাম মনের ভাব গতিক কোন দিকে।
মাঝে মাঝে সে সিরিয়াস।
বেশিরভাগ সময় পাগলাটে আলাপ হতো আমাদের। আমাদের দুজনের অনেক ব্লগ নিক ছিলো। একেক নিকের ভাষার ব্যবহার ছিলো একেক রকম। আমরা দুজনে দেখা হলে সে সব নিকের ভাষারীতি ব্যবহার করে কথা বলতাম।
তার সাথে শত স্মৃতি।
ব্লগে একবার খুব ঝামেলা চলছে। পুরো ব্লগ জুড়ে অস্থিরতা। সেসব দিনে আমরা ২৪ ঘণ্টা কানেকটেড ছিলাম। পোষ্ট মন্তব্য নিক ফেইক নিক, দিনরাত নেটেই থাকি।
ভার্চুয়াল যুদ্ধ।
কবি কুহক আমার সেই সময়ের সাথী।
যখন আমার পাশে কেউ ছিলো না তখনো সে ছিলো আমার সাথে।
একসাথে মোকাবিলা করেছি অনলাইনের শত্রুদের।
বইমেলার প্রতিটি দিন
কতো আলাপ
বই প্রকাশ
কবিতাকে নিয়ে ধুনফুন কতো কাহিনী।
অনুপ্রাণন এর দিনগুলো
কনকর্ডে গেলেই চৈতী আপা আর কুহকের সংগে দেখা করে আসতাম। কিছুক্ষণ আড্ডা
চা সিগারেট পুড়িয়ে তবে ফেরা।
কুহকের শরীর দীর্ঘদিন ধরেই খারাপ ছিল। মৃত্যুকে নিয়ে তার এক ধরনের নির্বিকার ভাব ছিল। ছিলো বেপরোয়া বোহেমিয়ান কবি মন। সে যেন জানতো চলে যেতে যেতেও রয়ে যাওয়াদের একজন না মানুষ সে।
কতোবার হাসপাতাল আইসিও ঘুরে এসেছে সে। ফিরে আসার পর আবার সেই পুরনো কুহক। তবে গতো ২/৩ বছরে সে যেন কিছুটা ম্রিয়মাণ হয়ে গিয়েছিল। আগের উচ্ছ্বাস পাগলামিও কমে গিয়েছিল অনেকটা।
এভাবে তার চলে যাওয়া
চির প্রস্থানের খবর আমাকে বিষণ্ণতায় ডুবিয়েছে। প্রিয় বন্ধু ভালো থেকো।
শেষবারের মতোন দেখা হলো না এটা আক্ষেপ হয়ে থাকবে।
সুপ্রিয় জাদিদের সাথে আমার কথা হয়েছে। আমরা ভিন্ন একটি প্রসঙ্গে আলাপের সময় কবি কুহক মাহমুদ স্মরণে একটি শোকসভা আয়োজনের কথা বলছিলাম। তার একদিন আগে কবি এবং সংগঠক লাকী ভাইয়ের সাথেও আমি কথা বলেছি। তিনিও এই একই কথা বলেছেন। যদি সহ ব্লগার কবি সাহিত্যিক সকলেই একমত হোন তবে আসুন একদিন বসে তার কবিতা কথা ছবি নিয়ে স্মৃতিচারণ করি।
ধন্যবাদ।
বেশ কদিন পর ব্লগে লগ ইন করে পোষ্ট দিতে পারছি।
ভালো লাগছে। আশা করছি সকলেই ভালো আছেন।
ভালোবাসা।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৫৭