এটা একটা গল্পঃ এক ভদ্রলোকের প্রচুর টাকা। টাকার 'ঠ্যালায়, খুশিতে, ভাল্লাগে' দেখে মানুষ তারে খালি এওয়ার্ড দেয়, পদক দেয় এমনকি কেউ কেউ সম্মানজনক সার্টিফিকেটও দেয়।
এত কিছুর প্রেশার পড়ে ভদ্রলোকের পোলাপইনগোর উপরে। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে যেখানেই যায়, সবাই খ্যাপায় এই বলে যে, 'তোর বাপে এইসব সম্মান জনক পদক টাকায় কিনে'।
তো পোলাপাইনের কান্নাকাটি থামানোর জন্য ভদ্রলোক একটা বিশ্ববিদ্যালয়কে একগাদা টাকা দিলেন ঠিকি, তবে বললেন এবার আমি রিসার্চ করে পিএই.ডি নিমু।
ভদ্রলোকের দিন যায়, রাত যায়, সন্ধ্যা আর ভোরও যায়; কিন্তু টপিক পান না। হঠাৎই একদিন তার সামনে পড়ে এক পিপড়া। তিনি পিপড়া নিয়া গবেষনা করা শুরু করেন।
তিনি একটা পিপড়া ধরলেন, তারপর তাকে ছেড়ে দিয়ে বললেন, দৌড়া ব্যাটা। পিপড়া দিলো দৌড়।
এবার তিনি পিপড়াটাকে ধরে একটা পা ছিড়ে দিলেন, আর বললেন, দৌড়া ব্যাটা। পিপড়া কষ্টেশিষ্ঠে দৌড় দিলো।
তিনি আবার পিপড়াটাকে ধরলেন, আর একটা পা ছিড়লেন, আর ছেড়ে দিয়ে বললেন, দৌড়া ব্যাটা। পিপড়া এবারও দৌড়ালো।
এভাবে একে একে তিনি পিপড়ার ছয়টা পা-ই ছিড়ে দিয়ে পিপড়াকে বললেন, দৌড়া ব্যাটা। কিন্তু পিপড়াতো আর নড়ে না। কয়েকবার 'দৌড়া ব্যাটা' বলার পরও যখন পিপড়া দৌড়ালো না, তখন তিনি তার রিসার্চ পেপারে গোটা গোটা করে লিখলেন, "পিপড়ার সব কয়টা পা ছিড়ে দিলে পিপড়া আর কানে শুনতে পায় না!"
=======
সব যানবাহন বন্ধ রেখে জনগনকে কাজে যোগদান করতে বললে জনগন পায়ে হেটে রওনা হয়। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা যখন জনগন আর পায়ে হেটে রওনা হবে না; আর আমরা বলবো, আমাদের জনগন এখন করনার বিষয়ে সচেতন!
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা আগস্ট, ২০২১ রাত ২:২৯