আফগান যুদ্ধ আম্রিকা হালাল করে নিয়েছে ইসলামের দোহাই দিয়ে। ইরাক যুদ্ধও তাই। ফিলিস্তিনেতো স্বাধীনতাকামীদেরকে রীতিমত টেরোরিষ্ট বানিয়ে দিয়েছে আম্রিকা। সিরিয়া, লিবিয়া, ইয়েমেন..... সব খানে ইসলামকে মাখিয়ে পক্ষ নেওয়া গেছে।
বিশ্ব মিডিয়ার অন্যতম বড় একটা কাজ হচ্ছে ইসলামপন্থী কাউকে পেলে তাকে টেরোরিষ্ট বানিয়ে ফাটিয়ে ফেলা।
আম্রিকার স্কুল গুলিতে প্রতি বছরই কোন একজন না একজন বন্দুক নিয়ে গুলি করে কিছু মানুষ মারে। কোন একবার মুসলিম কেউ করলেই তা টেরোরিষ্ট কর্মকান্ড করে দেওয়া যায়, তা বাদে অন্য ধর্মের কেউ করলে তা মস্তিস্কবিকৃতি বলে চালিয়ে দেওয়া যায়।
এখন ইউক্রেনে যেহেতু ইসলামের দোহাই নাই, তাই মিডিয়া কাউকে আর টেরোরিষ্ট বলতে পারতেছে না! তার উপর ন্যাটোর ইউক্রেনকে গাছে তুলে মই নিয়ে ভো দৌড় দেওয়ার ঘটনা চাপা দিতে হিমসিম খাচ্ছে মিডিয়া।
এদিকে মিডিয়ার চেয়ে বিপদে পড়েছে ভাবধরা বামেরা! সারা পৃথীবিতে এরা সব সময় মানবতার গান গেয়ে বেড়ায়। যদিও ইসলামের ক্ষেত্রে এরা টেরোরিষ্টদের সাহায্যকারী হিসাবে মার্ক হয়ে যাবে একথা বলে এড়াতে পারে। কিন্তু ইউক্রেনের বিষয়ে কি হবে?
এরা না পারছে মানবতার গান গাইতে, না পারছে রাশিয়ার পক্ষ নিতে।
এক বন্ধুর সাথে কথা হচ্ছিলো, ও বললো কোন নাইকার নামে ভিডিও বের হলে সেই টপিক সামনে থেকে না যাওয়া পর্যন্ত নাইকার কি কষ্ট হয় তারা নাকি হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে! হাইপ চেঞ্জ না হলে নাকি ফেসবুকেও স্ট্যাটাস দিতে কষ্ট হচ্ছে, কারণ কিছু একটা নিয়ে স্ট্যাটাস দিলে লোকে খোঁচাইতেছে রাশিয়া নিয়ে কিছু বলতে। কি বিপদ!
ওদিকে নাকি পুটিনকে ঘিরে জার্মানির ডান ও বাম মহলে চরম অস্বস্তি বিরাজ করছে!
-----------------------------
এদিকে কিছু বলদ-ছলদ দেখি ইউক্রেনে আক্রমণে খুব খুশি! তাদের কথা ফিলিস্তিনে আক্রমণ সমর্থন কারীদের এমনই শিক্ষা হওয়া উচিত। তবে এরা ভুলেই গেছে যে সব রসুনের পাছা এক জায়গায়।
-----------------------------
গতকাল কার পোষ্টে পড়তেছিলাম পুতিন নাকি ব্লগ গুলিতে ঘোরা ফেরা করতেছে বুদ্ধি নিতে! ভাবলাম পুতিনকে একটু জানান দেই আমাদের মিডিয়া ও বামেদের কষ্ট ও তার প্রতি ভালোবাসার সম্পর্কে।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মার্চ, ২০২২ রাত ২:২৩