আমি মনে-প্রানে চাই যেন চাল সহ সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিষের দাম কমে। সরকার যদি শুল্ক তুলে নিয়ে এই কাজ করে, তাহলে তার সাধুবাদ জানাই। তবে সরকারকেই এটা নিশ্চিত করতে হবে যেন কোন খারাপ লোকে এই শুল্ক প্রত্যাহারের সুযোগ নিয়ে মুনাফার হাট খুলে না বসে।
(ছবি প্রথম আলো)।
প্রথম আলো রিপোর্ট করছে যে, তেল, চিনি, ছোলার শুল্ক উঠে যাচ্ছে। রিপোর্টের শুরুতে লেখা হয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিষের উপর থেকে আরোপিত শুল্ক কমানো হয়েছে। কিন্তু ভিতরে গিয়ে দেখা গেলো মূলত রমাদানে যেগুলি মানুষ বেশী খায়, সেগুলির উপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে।
মজার বিষয় হচ্ছে রমাদানের সাথে এগুলির কোনটিরই সম্পর্ক নাই। মানুষ কেন রমাদানকে কেন খাদ্য উৎসবের মাস বানিয়ে ফেলেছে, আর কেনই বা সরকারও সেটাকে প্রশ্রয় দিচ্ছে তা চিন্তার বিষয়।
---------------------------
করোনার লকডাউনের শুরুতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ভিডিও আসতে লাগলো যে টয়লেট টিস্যু নিয়ে মারামারি, কাড়াকাড়ি। কেউ কেউ বাজার থেকে টয়লেট টিস্যু কিনে অনলাইনে বেশী দামে বিক্রি শুরু করলো। দুধ নিয়েও একই ধরণের সমস্যা শুরু হলো।
সৌদী সরকারকে দেখেছি সুন্দর ভাবে এটা নিয়ন্ত্রণ করতে। প্রথম ২সপ্তাহ দুধ, ডিম এবং লেবুর একটা ঘাটতি ছিলো। কিন্তু ২সপ্তাহের মধ্যে প্রতিটি মুদি দোকানে আলাদা সেলফ সহ কার্টুেনের উপর কার্টুন দুধ আর ডিম রাখা হয়েছে। অন্য সব কিছুর চালান ও দাম ছিলো স্বাভাবিক (শুধু সরকার ঐ সময়ে তেলের দাম বাড়ানো কমানো করেছে)।
------------------------
আমাদের দেশে সরকার আগেও এই ধরণের ব্যবস্থা নিয়েছেন, তবে তাৎক্ষনিক কোন উন্নতি দেখা যায়নি। সেই টিসিবিই ভরসা হয়ে থাকে।
সরকারের প্রতি অনুরোধ (যদিও আমার এই লেখা সরকারের কেউ পড়তে আসতেছে এমন না) যেন সরকার কঠোর হাতে এগুলি নিয়ন্ত্রণ করে।
-------------
দাম বাড়া-কমা নিয়ে একটা পোষ্ট লিখে ফেলেছি; কিন্তু ইনফ্লেশন শব্দ ব্যবহার করি নাই। মহাজ্ঞানীরা কি এটা মেনে নিবে? তাই ইনফ্লেশন শব্দটা রেখে গেলাম। যাতে মহাজ্ঞানীরা এসে জেনে জান যে আমি শব্দটা জানি!
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৬