বেশ কিছুদিন আগে অন্য কেউ কথা বলার সময় যে কাজটি কখনও করা উচিত নয় শিরোনামে একটি লেখা লিখেছিলাম। সেখানে উল্ল্যেখ করেছিলাম যে, "অনেক সময় দেখা যায় আপনি একটা কথা বলছেন, এমন ভাবে কেউ কথা কেড়ে নিলে আপনার কথার খেই হারিয়ে যায়।"
কথার মাঝে কাউকে থামিয়ে দিয়ে নিজের কথা বলাটা অন্যায়। তেমন একটা অন্যায় হচ্ছে কোন একটা লেখা পড়ে না বুঝেই মন্তব্য বা নতুন একটা পোষ্ট পয়দা করে ফেলা।
আমার লেখার ও কথা বলার একটা ধরণ আছে, আমি সাধারণত উদাহরণ দিয়ে লিখতে ও বলতে পছন্দ করি। আমার কাছে মনে হয় উদাহরণ দিয়ে কথা বললে বা লিখলে মানুষের কথাটার মূল ভাব বুঝতে সুবিধা হয়। এবং এটাতে লেখার বা কথার প্রতি আকর্ষণ বাড়ে।
আমি দেশে থাকতে যখন বিভিন্ন প্রোগ্রামে কথা বলতাম, তখনও এটা ফলো করতাম। বিভিন্ন প্রেজেন্টেশনে এখনও আমার লোক ধরে রাখার একটা অন্য রকম সুবিধা করে দেয় এই অভ্যাসটি।
তবে কষ্ট লাগে, ইদানিং মানুষ মূল ভাবে যায় না, শুধুমাত্র যে কথাটা উদাহরণ হিসাবে লেখা হয়েছে সেটা নিয়েই পড়ে থাকে! এটা একজন ব্লগার ও লেখকের জন্য কষ্টদায়ক।
ধরেন একজন বলল, "শৈবাল দিঘির বলে উচ্চ করে শির, লিখে রেখো, একফোঁটা দিলেম শিশির"; এবং এর পর এর ব্যাখ্যা দিলো। সবাই যদি বুঝতে নাও পরে, কিন্তু বোঝার চেষ্টা করে, তাহলে বক্তার পুরা কাজে সাফল্যের ধরাছোঁয়া আছে। কিন্তু কেউ যদি কমেন্টে প্রশ্ন করে বসে, "শৈবাল কথা বলে কি করে?" তখন কিন্তু বিপদ।
আমি মাঝে মধ্যেই আমার ব্লগে কমেন্টকারীদের স্বরণ করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি যে তারা আমার লেখা রিলেটেড মন্তব্য করেন নাই (স্যাম্পলঃ এ্যা ফাইভ স্টার রাইড!)। কিন্তু তারা আর পোষ্ট রিলেটেড মন্তব্য করেন না ।
আপনি হয়ত ব্লগে হাজার হাজার মন্তব্য করেন, হাজারে হাজারে পোষ্ট করেন; কিন্তু আপনি কি আসলেই এক্টিভ পাঠক? আপনি যখন ব্লগ রিলেটেড মন্তব্য করতে পারবেন, তখন খুব সহজেই ধরে নেওয়া যায় যে আপনি আসলেই পড়ছেন। আপনি যদি না পড়তে চান, না পড়েন। এতে লেখকের খুব বেশী কিছু আসে যায় না। কিন্তু ঠিক ভাবে না পড়ে, ঠিক ম্যাসেজটা না বুঝে হুড়াতাড়া মন্তব্য (ক্ষেত্র বিশেষে নতুন পোষ্ট) করে ফেললেতো ভাই বিপদ!
যাই হোক, আজকেও আমার সাথে এমন হয়েছে। দেখে হাসবো না কাঁদবো বুঝে পারছি না। হ্যাপি ব্লগিং!
ছবিঃ আনস্প্লাস
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৪২