স্কুলে পড়ুয়া ছেলে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৫০ টা প্রান চলে গেলো। কিন্তু কিছু মানুষের ভেতরে এখনো কোন অনুভুতি দেখি না। তারা এখনো গোবেলসের প্রচারনাতেই আটকে আছে।
তাদের সামনে গুলি করে মানুষ মারার দৃস্ট দেখেও মনে হয় না এটা বন্ধ হউয়া উচিত। তারা ছাত্রদের মাঝে জামাত শিবিরের খোজে, যেমনটা ওবায়দুল কাদের বলেছেন।
এই দেশে সাইকোপ্যাথ সোসিওপ্যাথের কথা মনে পরে গেলো।
বলা হয়ে থাকে সমাজে ১% সাইকোপ্যাথ থাকতে পারে। সেই হিসেবে ২০ কোটি বাংলাদেশীর মাঝে ২০ লক্ষ সাইকোপ্যাথ থাকাটা সাভাবিক।
নাহলে যেই পুলিশ আবু সাইদকে গুলি করলো, তার সামনে কিন্তু চয়েস ছিলো ফাকা গুলি করা নতুবা বুকে। উনি বুকে গুলি করেছেন।
আজ দেখলাম পুলিশের একটা গাড়ীর উপর থেকে বস্তা নামানোর মতন একটা ছেলেকে নামাচ্ছেন, মাটিতে পড়ার পরে বোঝা গেলো সে জীবিত আছে, তাকে যেই ভাবে নিয়ে যাচ্ছে তাতো সে মারা যেতেও পারে।
এমন অনেক ভিডিওই পাবেন যেখানে তারা যেই কাজটা করেছেন সেটা তিনি করেছেন নিজের ইচ্ছাতেই। তাদের সামনে চয়েস ছিলো ছেলেগুলিকে মানুষ হিসেবে ভেবে তাদের হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি না করা।
ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা সাধারন ছাত্রদের পেটাতেই এসেছিলো, তাদের কাউকেই তারা চেনা না। তাদের চেয়ে অনেক বেশি মেধাবী ছাত্রদের পেটাতে তারা দুর থেকে এসেছে নেতার আদেশে। তারা এগুলি করে আনন্দ পায় বলেই এসেছে।
শেখ হাসিনার আয়ামীলীগ এখন এই সব মানুষের কেন্দবিন্দুতে পরিনত হয়েছে।
নিচে সাইকোপ্যাথ এবং সোসিওপ্যাথের লক্ষনগুলি দিলাম, মেলালেই বুঝতে পারবেন আপনার পাশের মানুষটির হৃদয়ে কেন এখনো কোন অনুভুতি কাজ করছে না।
সোসিওপ্যাথ শব্দটি সামাজিক আচরণে অস্বাভাবিকতা প্রকাশ করা ব্যক্তিদের নির্দেশ করে। এটি একটি অ্যান্টিসোশ্যাল পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার (ASPD) এর একটি রূপ। সোসিওপ্যাথরা সাধারণত নির্দিষ্ট কিছু লক্ষণ প্রদর্শন করে, যা তাদের আচরণে এবং মানসিকতায় প্রকাশ পায়।
সোসিওপ্যাথের লক্ষণসমূহ
অন্যদের প্রতি সহানুভূতির অভাব:
সোসিওপ্যাথরা অন্যদের অনুভূতি বা দুর্ভোগের প্রতি সহানুভূতি বা মমত্ব প্রকাশ করে না।
অপরাধমূলক আচরণ:
তারা প্রায়শই অপরাধমূলক কার্যকলাপে জড়িত থাকে এবং সামাজিক নিয়ম-নীতি মানতে অক্ষম হয়।
বিভিন্ন সম্পর্কগুলোতে সমস্যা:
সোসিওপ্যাথরা সাধারণত সম্পর্কগুলোতে সমস্যা করে এবং তারা সম্পর্কগুলি বজায় রাখতে অক্ষম হয়।
অভ্যন্তরীণ গঠনহীনতা:
তারা অভ্যন্তরীণ গঠনহীনতা বা পরিকল্পনার অভাব দেখায় এবং প্রায়শই ঝুঁকিপূর্ণ বা বিপদজনক কাজ করে।
অনুশোচনা বা অপরাধবোধের অভাব:
তারা তাদের কৃতকর্মের জন্য অনুশোচনা বা অপরাধবোধ অনুভব করে না।
মিথ্যা বলা ও প্রতারণা করা:
তারা প্রায়শই মিথ্যা বলে এবং তাদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রতারণা করে।
সাইকোপ্যাথ এবং সোসিওপ্যাথের পার্থক্য
সাইকোপ্যাথ এবং সোসিওপ্যাথ উভয়েই অ্যান্টিসোশ্যাল পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার (ASPD) এর অন্তর্ভুক্ত, তবে তাদের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে:
সাইকোপ্যাথ: সাইকোপ্যাথরা সাধারণত খুব শীতল ও চমৎকার হয় এবং তাদের অপরাধমূলক কার্যকলাপগুলি খুব সুশৃঙ্খল ও পরিকল্পিত হয়।
সোসিওপ্যাথ: সোসিওপ্যাথরা সাধারণত বেশি আবেগপ্রবণ হয় এবং তাদের অপরাধমূলক কার্যকলাপগুলি খুব পরিকল্পিত না হয়ে আবেগপ্রবণ ও প্রতিশোধমূলক হয়।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ২:৩৫