ম্যাচ ফিক্সিং ইস্যুতে বাংলাদেশের ফেসবুক দুনিয়া স্পষ্টত এখন দুই ভাগে বিভক্ত।
> একদল মনে করে বাংলাদেশের খেলোয়াররা ফিক্সিং করতেই পারেনা, সবই ভারতের চক্রান্ত।
>>ভাই আপনাদের বলি, নিশ্চয়ই ভুলে যান নাই যে আমরা কয়েক বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন ছিলাম। এখনো লিস্টের উপরের দিকেই আছি। তো, এই সব দুর্নীতি নিশ্চয়ই ভারতের কেউ করে দেয়নি। আপনি কি বাংলাদেশের সব মানুষ কে বিশ্বাস করতে পারবেন? আমার তো মনে হয় পারবেনা। তাহলে সব ক্রিকেটার কে কিভাবে বিশ্বাস করেন? দুই একজন ভুল পথে পা দিতেই পারে। এটাই স্বাভাবিক। আর একটা কথা, ভারতের যদি এদেশের ক্রিকেটের ক্ষতি করার ইচ্ছে হয় তবে তো এই কলঙ্ক সাকিব/তামিম কে দিতে পারতো। তাহলে নিশ্চয়ই আরো বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হতাম আমারা।
> আর অন্য দল চায় অভিযুক্ত খেলোয়ারদের ফাঁসি দেওয়া হোক।
>> ভাই ফাঁসি কি বাংলা লিংক দামে পাইছেন?
কিছু ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে। এখনো আনুষ্ঠানিক রিপোর্ট আসেনি। রিপোর্ট আসার পর আইন অনুযায়ী শাস্তি হবে। তারা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাবে। আপিল করবে। আরো কত কি!!
জুয়ারিদের নেটওয়ার্ক কত বড় চিন্তা করেছেন? কতটা প্রভাবশালী তারা, তা কি কখনো ভেবেছেন? অনেক সময় ক্রিকেটাররা তাদের কথা শুনতে বাধ্যও হয়। জুয়ারিদের ভয়ে এক পাকিস্তানি ক্রিকেটারের হোটেল ছেড়ে পালানোর কথা ভুলেননি নিশ্চয়ই।
পরিশষে বলি, পাওয়ার প্লেতে যখন সারা দেশের মানুষ টিভির সামনে বসে প্রার্থনা করতে থাকে, একটা ৪/৬ হলে উল্লাসে ফেটে পড়ে, মনে আশার সঞ্চার হয়। একটা ডট বল হলে কোটি মনে যে আফসোস হয় তার দাম কি কয়েক হাজার ডলারের চেয়ে কম? আমারা যখন পাওয়ার প্লের ১টা ডট বলের জন্য মন খারাপ করি, তারা ডলারের লোভে পাওয়ার প্লের ৩ওভারে ১০রান এর কম নেয়। কত বড় প্রতারণা আমাদের আবেগের সাথে। তাই আমাদের দাবি হওয়া উচিৎ, যদি এই সকল ক্রিকেটাররা সত্যিই অপরাধ করে থাকে, তাহলে তাদের আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিৎ করতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে কোনো খেলো্যার আমাদের আবেগ কে ধর্ষণ করার আগে দ্বিতীয় বার ভাবে।