বিশিষ্ট কবি, কলামিস্ট ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ফরহাদ মজহার বলেছেন, সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশে ‘ঢাকা ক্লাব’ নামক ‘কলোনিয়াল’ প্রতিষ্ঠানকে বহাল থাকতে দেয়া উচিত নয়। অথচ দুঃজনক হলেও ঔপনিবেশিক, অগণতান্ত্রিক, সামরিক-একনায়ক শাসনবিরোধী আন্দোলনের সূতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মুক্তিযুদ্ধের শিখা চিরন্তনের পাশে এরকম একটি ক্লাব বহাল আছে এবং তার সদস্যরা পুরো জাতিকে অপমান করছে।
গতকাল রাতে আমাদের সময়ের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, গত পরশু বড় ভাইয়ের মেয়ের জš§দিনে ঢাকা ক্লাবে গেলে তাকে ঢুকতে দেয়া হয়নি। কারণ তিনি লুঙ্গি পরে এসেছিলেন। এ সময় ঢাকা ক্লাবের সচিব মুজাহিদুল ইসলামের সঙ্গে ফরহাদ মজহারের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়।
ফরহাদ মজহার বলেন, ২৪ ঘণ্টা কেটে গেছে এখনো আমার ‘শক’ কাটেনি। জাতিসংঘ, বিশ্ববাণিজ্য সংস্থাসহ বিশের এমন কোনো দেশ নেই যেখানে আমি বাংলাদেশের ১৫ কোটি মানুষের পোশাক লুঙ্গি পরে যাইনি। কিন্তু কোথাও এজন্য বিন্দুমাত্র বাধার শিকার হইনি। অথচ শুক্রবার নিজ দেশ বাংলাদেশেই নাজেহাল হয়েছি। তাই ঢাকা ক্লাবে যারা দেশের সমগ্র জনগণের বিরুদ্ধে এ ধরনের ঘৃণার চর্চা করার দুঃশাসহ ও ধৃষ্টতা দেখাচ্ছে বিস্তারিত পরিচয়সহ জাতির কাছে তাদের মুখোশ উন্মোচন করা দরকার এবং এখনি তা করার উপযুক্ত সময়। একই সঙ্গে ক্লাবের কোনো সভায় এ ধরনের ঘৃণা চর্চার সিদ্ধান্ত হয়েছে তার মিনুটসসহ এতে স্বাক্ষরদাতাদের নাম ও তাদের স্বরূপ উদঘাটন করে তাও প্রকাশ করতে হবে। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে লাঞ্ছিত হয়েছি এটায় আমি কিছু মনে করছি না কিন্তু স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে ঘৃণা চর্চার সংবিধান বিরোধী আইন থাকবে এবং একটি ক্লাব তার চর্চা করে যাবে তা হতে দেয়া যায় না।