পুরস্কার প্রদানের কারণ হিসেবে উক্ত অনুষ্ঠানে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ‘তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর’, ‘এক সাগর রক্তের বিনিময়ে’, ‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে’, ‘মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে’সহ এমন অসংখ্য গানের কথা-সুর ও কণ্ঠের মধ্য দিয়ে উপহার দেয়ার জন্য গোবিন্দ হালদারকে এই সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে। এমন সম্মাননা প্রদানের খবর প্রকাশের পর এ দেশের মানুষ এবং শিল্পীরা বিষয়টিকে মূল্যায়ন করেছেন অত্যন্ত সম্মানের চোখে। কারণ মহান মুক্তিযুদ্ধে গোবিন্দ হালদারের গান জুগিয়েছে প্রাণশক্তি আর সমৃদ্ধ করেছে বাংলা গানকে- এমন স্বীকৃতি উড়িয়ে দেয়ার নয়। কিন্তু ‘তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর’ গানটি প্রকৃতপৰে আপেল মাহমুদের লেখা, সুর করা এবং প্রথম গাওয়া বলে এ শিল্পী তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তিনি গতকাল প্রতিক্রিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আর তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেছেন গোবিন্দ হালদারের প্রতি। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ‘তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর’ গানটি তার নিজের কথা-সুর ও কণ্ঠের। অথচ সেটির মালিকানা আমাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রদান করা হয়েছে ভিনদেশী গোবিন্দ হালদারকে। আর গোবিন্দ হালদারও এ বিষয়টিকে চাপা রেখে নিচু মন-মানসিকতার প্রমাণ দিয়েছে। বিস্তারিত
এর আগে এইচএসবিসি ব্যাংক এর অর্থায়নে ‘শত বর্ষের বাংলা গান’ শীর্ষক একটি অ্যালাবামে অনুমতিবিহীন তার গান প্রকাশ এবং ভুল তথ্য প্রকাশের জন্য আপেল মাহমুদ মামলা করেন এইচএসবিসি’র বির্বদ্ধে। যার বিচারকার্য এখন চলছে বলে জানান তিনি। সব শেষ মন্তব্যে আপেল মাহমুদ বলেন, এ বয়সে আমি আর পারছি না। আমার এবং আমার মতো অসহায় শিল্পীদের গান নিয়ে একটি কুচক্রী মহল ব্যবসা করছে, বঞ্চিত করছে আমাদের অর্থ এবং সম্মান। এর জন্য আমি সরাসরি সরকারকে দায়ী করবো না, তবে সরকারকে এ ব্যাপারে একটু সচেতন হওয়ার জন্য মিনতি করছি। মৃত্যুর আগে প্রাপ্য সম্মানটুকু না পাই- দুঃখ নেই, তবে নিজের সৃষ্টিগুলোকে অৰত দেখে যেতে চাই।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১:১১