মধ্যযুগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে ভয়াবহভাবে হত্যা করা হতো। হত্যাকাণ্ডের পদ্ধতিগুলো এতই পৈশাচিক ছিলো যা নির্মমতার মাত্রা ছাড়িয়ে যেতো। যা অনেক ক্ষেত্রে বর্তমানের নৃশংস হত্যাকাণ্ডর সাথে তুলনা করা হয় । তখনকার সেই হত্যাকাণ্ডের কথা শুনলেও যে গা শিউরে ওঠে।আজ সে রকম কিছু ছবি নিয়েই এ লেখা ।
এ শাস্তি দেয়ার পদ্ধটি হল ত্রিকোণ কাঠের প্রতিটি ধার থাকত তরবারির থেকেও ধারালো। তার উপরে নগ্ন করে বসিয়ে দেয়া হত দোষী পুরুষ বা নারীকে। বর্শার মতো ক্রেডল হলে তা প্রবেশ করানো হত নারীর যৌনাঙ্গ দিয়ে। পাটাতনের মতো ক্রেডল হলে তা প্রবেশ করানো হত পশ্চাদ্দেশ দিয়ে।
এটাও অতন্ত এক ভয়ভহ মৃত্যু দণ্ড ছিল এ যন্ত্রটি যা নারীদের যৌনাঙ্গ বা পুরুষ অথবা সমকামীদের পায়ুদ্বার অথবা মুখ দিয়ে ঢুকিয়ে দেয়া হত । তার পরে প্যাচ দিতেই যন্ত্রটি শরীরের ভিতরে গিয়ে ফুলের পাপড়ির মতো খুলে যেত।
এ মৃত্যু দণ্ডটি এমন ভাবে দেয়া হত এটি বড় একটি কাঠের চাকায় হাত পা বেঁধে দেয়া হত। এমনভাবে বাঁধা হত যাতে করে চাকা ঘুরলেই হাড়গোড় ভাঙতে শুরু করে। হাড় ভাঙার শব্দ মিশে যেত আর্তনাদের সঙ্গে। সকলের সামনে এই সাজা দেয়া হত ।
শাস্তি দেয়া ব্যক্তিকে একটি লোহার কাঁটা দেয়া চেয়ারে বসিয়ে দেয়া হত। তার পরে ক্রমশ চারপাশ থেকে চাপ দেয়া হত। আর তাতে লোহার কাঁটা সেই ব্যক্তির মাংস ভেদ করে প্রবেশ করত শরীরের ভিতরে।আস্তে আস্তে যন্ত্রণা ভোগ করত সে সাজা প্রাপ্ত ব্যক্তি ।
ঠিক এভাবেই লম্বা করাত দিয়ে চিরে ফেলা হত একটি জীবন্ত মানুষের দেহটিকে।
শাস্তি পাওয়া ব্যক্তিকে লোহার হেলমেট পরিয়ে দেয়া হত তার মাথায়। তার পরে উপর থেকে হাতল ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে অনেকটা স্ক্রু-র মতো করে লোহা ভেদ করানো হত মাথা দিয়ে।
এভাবে শাস্তি পাওয়া ব্যক্তির হাত পা বেঁধে টেবিলে শুইয়ে দেয়া হত। তারপর গায়ে ছেড়ে দেয়া হত ক্ষুধার্ত ইঁদুর। অনেক ক্ষেত্রেই একটি খাঁচায় ক্ষুধার্ত ইঁদুর রেখে সেটিকে স্থাপন করা হত শুইয়ে দেয়া ব্যক্তির পেটের উপরে। ইঁদুরটি ক্ষুধার তাড়নায় খুবলে খেত সে ব্যক্তির মাংস। মৃত্যু পর্যন্ত এভাবেই ইঁদুর দিয়ে খাওয়ানো হত।
কোনো নারীর বিরুদ্ধে ব্যাভিচারের অভিযোগ উঠলে তার স্তনযুগল এই যন্ত্র দিয়ে উপড়ে নেয়া হত। লোহার এই যন্ত্রটি গরম করে তারপর চিমটের মতো ধরা হত স্তনে। ধীরে ধীরে ছিঁড়ে নেয়া হত স্তন।
এ যন্ত্রটি শাস্তি পাওয়া ব্যক্তির হাঁটুতে বসানো হত। হাঁটুকে দাঁতের মতো দুদিক থেকে কামড়ে ধরত লোহার এই পেরেকগুলি। দুই দিক থেকে প্রবল চাপে হাঁটু গুঁড়িয়ে যেত।
এটা ছিল জ্যান্ত ডুবিয়ে মারার একটি পদ্ধতি। লোহার খাঁচায় ঠিক এইভাবে বেঁধে ফেলা হত দোষীকে। তারপর পানিতে ডুবিয়ে মারা হত। তার আগে অবশ্য রাস্তায় সকলের সামনে ঝুলিয়ে রাখা হত বেশ কিছুক্ষণ যাতে সাধারণ লোকে ঢিল ছুড়তে পারে।
সূত্র:নেট
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:০৩