সত্য বললে যদি খুন হতে হয় গুম হতে হয় তাহলে কি দরকার ভাই।
৮০০ কোঠি টাকার থেকে একটা জীবনের মূল্য অনেক বেশী।
কিন্তু লোভী অশুরেরা তা বুঝবে না। নিজের জীবন ছাড়া অন্য কারো জীবন তাদের কাছে তুচ্ছ ছারপোকার মত।
ওরা হাজার হাজার কোঠি টাকা লুটে ফুটে খাচ্ছে, খাক। কত টাকা কতভাবে আত্মসাৎ করতেছে, করুক। আপনি আমি মরলে কেউ দেখতে আসবেনা, কেউ আপনার আমার পরিবারকে দেখভাল করবেনা, আপনার আমার সন্তান অভিবাবক ছাড়া বেড়ে উঠতে হবে। কেউ আপনার আমার পরিবার পরিজনের ভরন পোষণের দায়িত্ব নিবেনা।
হ্যাঁ, জানি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা উচিৎ, সত্যকে প্রাকাশ্যে তুলে ধরা উচিৎ। কিন্তু লাভ কি?
অন্যায়ের প্রতিবাদ করলেই যদি ন্যায় বিচার পাওয়া যেত, সত্য বলার ফলে যদি অপরাধীকে শায়েস্থা করা যেত, তাহলে কথা ছিল। কিন্তু অন্যায়কারী ঠিকই পার পেয়ে যাবে, আর যে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াল বিপদ এসে জুটবে তার কপালে।
জীবন উৎসর্গ করার প্রত্যয় নিয়েও যে সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য লড়বেন তাও পারবেন না। কারণ আপনার পিছুটান আছে। আপনার বউ-বাচ্চা, বাবা মা, আত্মীয়স্বজন আছে। পরিবারের দেখভাল আপনাকেই করতে হয়। এখন আপনি মারা গেলে একটা গোটা পরিবারই পারতপক্ষে মারা পড়বে। আপনার যে রাষ্ট্রে জন্ম, সেখানে আপনার পরিবারের দায়িত্ব রাষ্ট্র নিবেনা। সমাজ আপনার পরিবার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে। আপনি যে সত্যের জন্য লড়ে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, সমাজ তখন ভুলে যাবে।
আমরা কি আসলেই স্বাধীন? সত্যিকার স্বাধীনতা থাকলে আজ এমন হত না। পরাধীন রাষ্ট্রের মত বসবাস আমাদের। আমরা পারিনা স্বাধীনভাবে কথা বলতে, পথ চলতে, অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাতে, সত্যকে সত্য আর মিথ্যাকে মিথ্যা বলতে। যাই ঘটুক না কেনো দেখেও না দেখার মত করে থাকতে হচ্ছে, মুখ বুঝে সহ্য করে নিতে হচ্ছে।
কত শত কোঠি টাকা কতভাবে চলে যাচ্ছে, ৮০০ কোঠি টাকা থাকলেই কি, না থাকলেই বা কি। কিন্তু আর চাইনা কোনো জীবন অকালে ঝরে যাক। তানভীর হাসান জোহার সুস্থ ও জীবিত ফিরে আসাটাই আমাদের কাম্য।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:২১